দেশের অর্থনীতি সচল রাখতে ও দেশের অর্থনীতিতে ব্যাংকিং সেক্টরের ভূমিকাসহ দূর্যোগকালীন ঝুঁকি নিয়ে জনগনের পাশে থাকা ব্যাংকগুলো তাদের স্বীকৃতি চায়। এ রকম চরম অসহায় বিশ্ব পরিস্থিতিতে ব্যাংকের শাখাগুলো মানুষের অর্থনৈতিক চাহিদা পূরণ করে আসছে নির্বিঘ্নে নিরবে।
এ মূহুর্তের ডাক্তারের পর সবচেয়ে ঝুঁকিতে ব্যাংকাররাই। এ বিষয়ে সকলে শতভাগ একমত। বিশ্বের প্রায় সবগুলো দেশই এখনও ব্যাংক বন্ধ রাখার সাহস দেখাতে পারেনি।
গার্মেন্টস যখন খোলা রাখলো সবাই (সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবি, অর্থনীতিবিদ, ডাক্তার) আওয়াজ তুললো বন্ধ রাখার জন্য। কিন্তু ব্যাংক বন্ধ রাখার বিষয়ে কোন শ্রেণী হতে কোন আওয়াজ উঠেনি। কারণ আসলেই টাকা ছাড়া কোনো কিছুই সফলভাবে সম্পাদন করা যায় না। ব্যাংক বন্ধ রাখলে দেশে করোনার চেয়ে বেশি মানুষ টাকার অভাবে, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, বেতন না পাওয়া ইত্যাদি সমস্যায় পড়বে; দেশের অবস্থা হবে আরো নাজুক।
জাতির এ দূর্যোগ মূহুর্তে মানুষের টাকার বিশেষ প্রয়োজন থাকায় গ্রাহকদের লেনদেন আগের তুলনায় আরো বেড়ে গেছে। ফলে ব্যাংকের প্রতিটি কর্মী তাদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নিরলস পরিশ্রম করে ৬ ঘন্টার সেবা ৩ ঘন্টায় দিয়ে গ্রাহকদের সন্তুষ্টি অর্জন করছেন।
দুঃখের বিষয় প্রত্যেকটা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ তারা এ মূহুর্তে তাদের কর্মীদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি এড়ানোর জন্য যথাযথ পদক্ষেপ নিচ্ছেন না এবং ক্ষতিগ্রস্ত ব্যাংকারদের ও তাদের পরিবারের জন্য কোনো প্রনোদনা ঘোষণা দিচ্ছেন না।
এছাড়াও ব্যাংকে প্রবেশের পর গ্রাহকগন সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখছেন না বা শতবার বলে কয়েও তা রক্ষা সম্ভব হচ্ছে না। সীমিত ব্যাংকিংয়ে সীমিত সময় হওয়ার কারনে গ্রাহকগন কার আগে কে কাজ সেরে বিদায় হবেন তার প্রতিযোগিতায় মেতে উঠেন। ফলে এসকল কারনে ব্যাংকিং ব্যবস্থায় মহামারি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার শতভাগ সম্ভাবনা রয়েছে।
ব্যাংক কর্মীরা প্রতিদিন মৃত্যুকে আলিঙ্গন করে জাতীয় এ দূর্যোগের সময় অপারগতা ঘোষণা না করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আর্থিক সেবা প্রদান করায় এ খাতকে জরুরি সেবা খাত হিসেবে ঘোষণা করার জোর দাবি তুলেছেন। সামাজিক যোগাযোগ ফেইসবুকে বিভিন্ন যুক্তিতে তোলপাড় করছেন। এবং জরুরি খাত হিসেবে সরকার প্রধানের ঘোষণার অপেক্ষা করছেন।