শাহাবুদ্দিন মোড়ল ঝিকরগাছা যশোর : যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার ৩নং শিমুলিয়া ইউনিয়নের আজমপুর গ্রামের একটি পরিবাবারি জমি নিয়ে বিজ্ঞ আদালতের মামলা চলমান রয়েছে। মামলার বাদী মৃত গহর আলীর মেয়ে হাজিরা খাতুন। উক্ত মামলায় বাড়ি নির্মাণের উপর নিষেধাজ্ঞা থাকলেও মানছে না বিবাদীপক্ষ। উক্ত জমিতে পাকা বাড়ি নির্মাণ করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। উক্ত মামলায় মৃত রওশন আলীর ছেলে আলাল উদ্দিন, আমিনুদ্দিন, সেলিমুদ্দিন, শফি উদ্দিন, শহরুদ্দিন, সাহাবুদ্দিন, তাজ উদ্দিন ও মনিরুদ্দিনকে বিবাদী করে ০২/০৩/২০২২্্্ইং তারিখে মোকদ্দমা ১৪৪/১৪৫ দঃ বিঃ ধারায় বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত, যশোর এ মামলা দায়ের করেন।
মামলার সূত্রে জানা যায়, ঝিকরগাছা উপজেলার ৩নং শিমুলিয়া ইউনিয়নের ২৩নং আজমপুর মৌজার দরখাস্তের তফসিলে বর্ণিত এসএ ২০৩নং খতিয়ানের অহেদ আলী আট আনা ও গহর আলী ও রওশন আলী প্রত্যেকে চার আনায় এসএ রেকর্ড থাকে। এসএ ৩৪২দাগের ২৬শতকের মধ্যে ২১শতক ও ৩৪৩দাগের ৩১শতক একুনে ৫২শতক জমির মধ্যে গহর আলী চার আনা অংশে ১৩ শতক ও রওশন আলী চার আনা অংশে ১৩ শতক জমিতে ভোগ দখলে থাকেন। উক্ত গহর আলী ৪ ছেলে ২/৩ নং দরখাস্তকারী আছির উদ্দিন ও আলী হককে ও মেয়ে ১নং দরখাস্তকারীকে ওয়ারেশ রাখিয় মারা যায়। উক্ত আলী হক ২ছেলে ৫/৬নং দরখাস্তকারী ও মেয়ে ৭/৮নং দরখাস্তকারীকে রাখিয়া মারা যান। গহর আলী ওয়ারেশসূত্রে এই দরখাস্তকারী ও এই দরখাস্তকারী ও আছর উদ্দিন ১৩ শতক জমিতে ভোগ দখলে ছিলেন। উক্ত আছির উদ্দিন কর্মসংস্থানের জন্য বিদেশ যাওয়ায় এবং তার ওয়ারেশগণ কর্মসংস্থানের জন্য ঢাকায় যাওয়ায় ঐ সুযোগে প্রতিপক্ষ বেআইনি ও অন্যায় ভাবে নালিশী জমিতে ইট বালি খোয়া আনিয়া ঘর করিবার চেষ্টা করিলে এই দরখাস্তকারীগণের বাধার মুখে ফিরিয়া যাইয়া অত্রাদালতে মূল ৭৯/২২নং মোকদ্দমা দাখিল করিয়া বিজ্ঞ আদালতের কাছে ঘর তৈরি করার জন্য নিষেধাজ্ঞার দরখাস্তের মাধ্যমে অনুমতি প্রার্থনা করেন। দোতরফা শুনানি অন্তে গত ৪/৪/২২ইং তারিখে নিষেধাজ্ঞার আদেশ দেন। উক্ত আদেশের বিরুদ্ধে এই দরখাস্তকারী ১৪/২২নং মিস আপীল দাখিল করেন। বিজ্ঞ জেলা জজ গত ৭/৪/২২ ইং তারিখে নিম্ন আদালতের নিষেধাজ্ঞার কার্যকারিতা স্থগিত করেন। অসম্পন্ন ঘরের কাজ বন্ধ থাকে। ঐ অবস্থায় বিজ্ঞ জেলা জজ ২৯/৬/২২ইং তারিখে দোতরফা শুনানি অন্তে স্থিতিবস্থা বজায় রাখিবার আদেশ দেন। ২৯/৬/২২ইং তারিখে উক্ত স্থিতিবস্থার ভুল ব্যাখ্যা দিয়া প্রতিপক্ষ ৩০/৪০জন লোক লইয়া ৩০/৬/২২ইং তারিখ হইতে শুরু করিয়া শুক্র ও শনিবার ৩/৭/২২ ইং তারিখ পর্যন্ত ছাদ দেওয়ার জন্য রড বাইন্ডিং এর কাজ করান। তাৎক্ষণিকভাবে এই দরখাস্তকারী ২১/৭/২২ইং তারিখে সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইনের ৫৫ ধারা মতে দরখাস্ত করিয়া নিজ খরচে অসম্পন্ন দেয়াল গাথার কাজ, রড বাইন্ডিং এর কাজ, সেন্টারিং এর কাজ প্রতিপক্ষ ৪দিনে যা করিয়াছে তাহা ম্যান্ডাটরি নিষেধাজ্ঞার আদেশ দিয়া প্রতিপক্ষের নিজ খরচায় অপসারণ করিবার আবেদন করেন। উহা নথিভুক্ত আছে। ঐ অবস্থায় ২১/৮/২২ইং তারিখ হইতে অসম্পন্ন নির্মাণ কাজ করার চেষ্টা করিলে এই দরখাস্তকারী ২১/৮/২২ইং তারিখে ১৫১ ধারামতে ঘরের কাজ বন্ধ করার জন্য আদালতের দরখাস্ত দেন। উহা নথিভুক্ত আছে। মূলত প্রতিপক্ষ দুর্দান্ত, দুর্নীতিপরায়ণ, আইন অমান্যকারী ব্যক্তি হইতেছেন। প্রতিপক্ষ বিজ্ঞ আদালতকে কটুক্তি করিয়া অসম্পূর্ণ নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করিয়া অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করিয়া বিজ্ঞ আদালতের আদেশের প্রতি অবমাননা করা সহ শাস্তিযোগ্য অপরাধ করিয়াছেন। সে কারণে প্রতিপক্ষ আদালতের আদেশ অবমাননা করায় তাহার মাল ক্রোক সহ সিভিল জেলে আবদ্ধ করা আবশ্যক বলে মনে করেন মামলার বাদী পক্ষে আজমপুর গ্রামের মৃত গহর আলীর মেয়ে হাজিরা খাতুন, রফি উদ্দিন, পাল্লা গ্রামের মৃত জাহান আলীর ছেলে তুহিন, আজমপুর গ্রামের মৃত আলী হোসেনের ছেলে জাহিদুল আসাদুল মেয়ে পারভিনা, রুমা, মৃত আলি হোসেনের স্ত্রী মোমেনা খাতুন, মৃত অহেদ আলীর ছেলে সায়েদ আলী মাজেদ আলী, মেয়ে মেরী খাতুন। বর্তমানে উল্লেখিত জমির উপর বিজ্ঞ আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকার পরও মামলার বিবাদীরা বাড়ি নির্মাণের মাধ্যমে বিজ্ঞ আদালতকে অবমাননা করেছে। যার বিচার বিজ্ঞ আদালতই করবেন বলে আশাব্যক্ত করেছেন মামলার বাদি হাজিরা খাতুন গং।
মামলার বিবাদী সেলিম উদ্দিন বলেন, আমরা হাই কোর্ট করেছি। আমাদের হাইকোর্ট থেকে বাড়ি করার জন্য আদেশ দিয়েছে। ওদের (বিাদীদের) নিকট নোটিশ আসবে। কিন্তু তার নিটক সংবাদকর্মীরা হাইকোর্টের আদেশ দেখতে চাইলে তিনি আদেশ দেখাতে পারেন নি।