শাহিনুর ইসলাম প্রান্ত,
লালমনিরহাট প্রতিনিধি:
একাই দুইটি পদে নিয়োগ নিয়ে বেতন ভাতা উত্তোলন করার অভিযোগ উঠেছে লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার ভেলাবাড়ি কেরামতিয়া দাখিল মাদরাসার অফিস সহকারী এজাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে।
এটা ছাড়াও তিনি ওই ভেলাবাড়ি ইউনিয়নের নিকাহ রেজিস্টার হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।
সোমবার(২৬ সেপ্টেম্বর) এঘটনার তদন্ত পুর্বক আইনগত ব্যবস্থা নিতে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন আব্দুল হাকিম নামে একজন সেবাগ্রহীতা।
অভিযোগকারী আব্দুল হাকিম উপজেলার ভেলাবাড়ি ইউনিয়নের মহিষতুলি গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে।
অভিযোগে জানা গেছে, উপজেলার ভেলাবাড়ি কেরামতিয়া দাখিল মাদরাসার তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী হিসেবে কর্মরত রয়েছেন এজাজুল ইসলাম। তিনি তথ্য গোপন করে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের বিচার শাখা ৭ থেকে ভেলাবাড়ি ইউনিয়নের নিকাহ রেজিস্টার হিসেবেও নিয়োগ নিয়েছেন। যা বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান(মাদরাসা) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা ২০১৮ এর ১১,১০(ক),১৭,৩,১৮,১,২৭(ঙ) ধারার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
স্থানীয়রা জানান, প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদে নিকাহ রেজিস্টারদের জন্য একটি কার্যালয় রয়েছে। সেখানেই নিকাহ রেজিস্টার বসার কথা থাকলেও দিনের বেলা নিকাহ রেজিস্টার এজাজুল ইসলাম মাদরাসায় কর্মরত থাকায় কাংখিত সেবা বঞ্চিত হচ্ছে স্থানীয়রা। নিকাহ রেজিস্টার কাজে ব্যস্থ থাকলে মাদরাসার কাজে বিঘ্ন ঘটে। তাই পৃথক পদে পৃথক ব্যাক্তির উপর ন্যাস্থ করতে স্থানীয়রা ঊর্দ্ধতন মহলের সুদৃষ্টি কামনা করেন।
নিকাহ রেজিস্টার কাজে ভোগান্তির রোধকল্পে স্থানীয় মহিষতুলি গ্রামের আব্দুল হাকিম বাদি হয়ে লালমনিরহাট জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগকারী আব্দুল হাকিম বলেন, এলাকার হাজার হাজার মেধাবী শিক্ষত যুবক বেকারত্বের কষাঘাতে পিষ্ট। অথচ নিকাহ রেজিস্টার এজাজুল ইসলাম তথ্য গোপন করে একাই দুইটি পদে নিয়োগ নিয়ে আত্নসাৎ করছেন বেতন ভাতা। তাই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি।
তবে অভিযুক্ত ভেলাবাড়ি ইউনিয়ন নিকাহ রেজিস্টার ও ভেলাবাড়ি কেরামতিয়া দাখিল মাদরাসার অফিস সহকারী এজাজুল ইসলাম সত্যতা স্বীকার করে বলেন, দুই পদেই কর্মরত রয়েছি ঠিকই তবে তথ্য গোপন করিনি। আমার জানামতে শিক্ষা অফিস এবং জেলা রেজিস্টার দুই তদারকি কর্মকর্তাই বিষয়টি জানেন। একাই একই সময়ে দুই স্থানে সেবা কিভাবে দিচ্ছেন -এমন প্রশ্নে তিনি কোন সদুত্তর দেননি।
লালমনিরহাট জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুল বারি অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।