শাহাদাত হোসেন, রাউজান প্রতিনিধি:
রাউজান পৌরসভার মেয়র জমির উদ্দিন পারভেজ বলেছেন, রাউজান সম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উপজেলা। ছাত্র জীবন থেকে এ অঞ্চলের সনাতন ধর্মালম্বীদের সাথে আমার সামাজিক, রাজনৈতিক আত্মার সম্পর্ক। আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে আর্ন্তজাতিক ইস্যু সৃষ্টি করতে স্বাধীনতার পরাজিতরা ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চাই। কিন্তু রাউজানের সাংসদ এবিএম ফজলে করিম চৌধুরীর নেতৃত্বে যেই কোন পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে প্রস্তুত রয়েছে আওয়ামীলীগ। তারপর দেশে স্বাধীনতা বিরোধীদের অপতৎপরতার বিষয়টিকে মাথায় রেখে পুলিশের পাশাপাশি পৌরসভা থেকে বিশেষ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। বিশেষ পোষাকে ট্রাপিক ব্যবস্থা ও রাতে পূজা মন্ডপ পাহাড়ায় নিয়োগ দিয়েছি অভিজ্ঞ লোক। তারা পৌর এলাকা ৫৪টি পূজা মন্ডপের প্রতিটিতে রাতে একজন করে পাহাড়া দিবে। তিনি গত ৩ অক্টোবর রাতে রাউজান সদর জলিল নগর ঢেউয়াপাড়া উদয়াচল সংসদ পূজা মন্ডপে আলোচনা সভা, বস্ত্র বিতরণ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরুস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। উদয়াচন সংসদ পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি নির্মল ভট্টাচার্য্যরে সভাপতিত্বের অনুষ্ঠানে উদ্বোধক ছিলেন রাউজান উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি প্রিয়তোষ চৌধুরী, প্রধান বক্তা ছিলেন উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সুমন দে, বিশেষ অতিথি ছিলেন রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল হারুন, পৌরসভার কাউন্সিলর এডভোকেট দীলিপ কুমার চৌধুরী, রাউজান উপজেলা সেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহবায়ক শওকত হোসেন, রাউজান জগন্নাথ সেবাশ্রমের সভাপতি দীলিপ কুমার চক্রবর্তী। রাউজান জম্মাষ্টামী উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক তপন দে’র সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন জগন্নাথ সেবাশ্রমের সাধারণ সম্পাদক টিপু কান্তি দে, অশোক পালিত, ধীলন মুহুরী, প্রদীপ শীল, দিপলু দে দিপু, বিজন চৌধুরী, রনজিত শীল, চন্দ্র শেখর দে, প্রভাষ চক্রবর্তী, সমীর শীল, দিবাকর বোস, বাসু পালিত, বাপ্পা পালিত, অমিত শর্মা, দুর্জয় শীল প্রমুখ। পরে প্রধান অতিথি ও পূজা কমিটির নেতৃবৃন্দরা গীতাপাঠ, নৃত্য ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরুস্কার বিতরণ করেন।