ময়না টিভি সংবাদাতাঃ বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা কামাল উদ্দিন সরকারকে জিম্মি করে ৪৭ হাজার টাকা আদায়ের মামলায় সাত আসামিকে তিন দিনের রিমান্ডে শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।
আসামিরা হলেন, শিবগঞ্জের বিহার ইউনিয়নের নাটমরিচাই গ্রামের মাসুদ রানা (২৬), একই গ্রামের শাকিল আহম্মেদ (২৮), পৌন এলাকার মীরের চক মহল্লার বিপ্লু আকন্দ (৩০), সংসারদিঘী গ্রামের নাছের উদ্দিনের প্রথম স্ত্রী মাহফুজা বেগম (৩৫), দ্বিতীয় স্ত্রী তানজিলা বেগম (২৬), নাটমরিচাই গ্রামের দুলু মিয়ার মেয়ে সাথী বেগম (৩৫), সংসারদিঘী পশ্চিম পাড়া গ্রামের মেহেদী হাসান (২৫)।
পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ১ জুন বিকেলে শিবগঞ্জ উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কামাল উদ্দিন সরকার সিএনজিচালিত অটোরিকশা রিজার্ভ নিয়ে নাগরবন্দরে খাদ্যগুদামে যাচ্ছিলেন। এ সময় অপরিচিত দুজন নারী তার সিএনজিতে উঠে বসে। কিছু দূর যাওয়ার পর অপর এক যুবকও সিএনজিতে উঠে অটোচালককে জিম্মি করে নাটমরিচাই গ্রামের একটি বাড়িতে নিয়ে যায়।সেখানে খাদ্য কর্মকর্তাকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে তার কাছ থেকে মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়। পরে এক নারীকে রুমের ভিতরে প্রবেশ করিয়ে দিয়ে ওই কর্মকর্তাকে নারীঘটিত ব্যাপারে ফাঁসানোর চেষ্টা করে। অপরিচিত ব্যক্তিরা খাদ্য কর্মকর্তার ছবি ও ভিডিও ধারণ করার চেষ্টা করে। এ সময় তারা ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকিসহ প্রাণনাশের হুমকি দেয়। তারা ৫ লাখ টাকা দাবি করে। সেখানে প্রতারক চক্রের সদস্যরা সোনালী ব্যাংকের চেকের মাধ্যমে ১০ হাজার টাকা লিখে নেয় ও বিকাশের মাধ্যমে দুটি নম্বরে ৩৫ হাজার টাকা চাঁদা নেয়। তার পকেটে থাকা নগদ ২ হাজার ৩০০ টাকাসহ মোট ৪৭ হাজার ৩০০ টাকা হাতিয়ে নিয়ে তাকে ছেড়ে দেয়।
ঐ ঘটনায় ১ জুন রাতেই খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা কামাল উদ্দিন সরকার বাদী হয়ে থানায় সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
মামলার পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে ওই চক্রের সাতজনকে গ্রেপ্তার করে। পরে আদালতের মাধ্যমে তিন দিনের রিমান্ডে নেন। আজ রিমান্ড শেষে তাদের জেলহাজতে পাঠানো হয়।
শিবগঞ্জ সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার কুদতর-ই-খোদা শুভ বলেন, তিন দিনের রিমান্ডে আটকৃতদের কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। তারা অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।
সহকারী পুলিশ সুপার জানান, এ ঘটনার সঙ্গে অজ্ঞাতনামা আরও চার-পাঁচজন জড়িত আছে। তাদের অচিরেই গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে। সেই সঙ্গে চেকের পাতা উদ্ধার করা হয়েছে। টাকা উদ্ধারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, জুন ৪, ২০২০, ১৫৫ বার পঠিত
