জাতীয় পতাকা নামিয়ে চলছে তানোর ভূমি অফিসের কাজ

 

তানোর প্রতিনিধি: সোমবার বিকেল ৩.৩০ মিনিট, যাওয়া হয় তানোর উপজেলা ভূমি অফিসে। অবাক ব্যাপার জাতীয় পতাকা নামানো হয়েছে, কিন্তু অফিস খোলা, আছেন কর্মকর্তাসহ অফিসের অন্য পদের লোকজনও, তখন পর্যন্ত অফিসে আসছেন গ্রাহক। তবে অনেকেই বলছেন গ্রাহক না এরা বিভিন্ন তহসিল অফিসের নাম্বার ওয়ান দালাল। তারা প্রতিনিয়তই আসেন এমন সময়। কিন্তু অফিস চললেও নেই জাতীয় পতাকা, একজন উচ্চ পর্যারের কর্মকর্তার অফিসের যদি এই অবস্থা হয়, তাহলে তহসিল অফিসগুলো কেন সন্ধ্যা পর্যন্ত চলবে না এমন প্রশ্ন বিরাজমান । হ্যাঁ অনেক ক্ষেত্রে দুএক দিন হতে পারে তাই বলে প্রতিদিন চলবে এটা কোন ধরনের নিয়ম। এসব কর্মকর্তারা দেখভাল ও সরকারী প্রজ্ঞাপন মানতে চালাবে অভিযান, নচেৎ তারা মানছেন না প্রজ্ঞাপন। যদি নাই মানে তাহলে কিসের জন্য প্রজ্ঞাপন। মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের উদাসীনতায় সরকারের মহৎ কাজগুলো প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে।
সহকারী কমিশনার ভূমি আদিবা সিফাত দপ্তরে বসে ছিলেন , জানতে চাওয়া পতাকা নামানো অফিস কিভাবে চলে, তিনি মুনসুর নামের এক কর্মচারীকে ডেকে বলেন পতাকা নামানো কেন, মুনসুর বলেন স্যার এটাতো নতুন না প্রজ্ঞাপনের পর থেকে অফিস সময় ৩ টার পরে নামানো হয়। এসিল্যান্ডের কাছে পুনরায় বলা হয় অফিস সময় ৩ টা এজন্য পতাকা নামানো হল আর অফিস চলে কিভাবে। পতাকা নামানো ক্ষেত্রে সরকারী নিয়ম মানা হচ্ছে, আর অফিস সময় মানা হচ্ছে না প্রশ্ন করা হলে উত্তরে তিনি বলেন করোনার লকডাউনের সময় আমি চাঁদপুরে ছিলাম তখন কাজ করতে হয়েছে। অনেক গ্রাহক রয়েছে তাদের কাজ না করলে আবার খবর করে দিবেন। এরকম কি আপনি দেখেছেন আর গ্রাহকরা কেন এসময় আসবেন, যদি অফিস বন্ধ থাকত তাহলে আসত না জানতে চাইলে তিনি জানান আমি বিষয়টি দেখছি। সহকারী কমিশনার ভুমির কক্ষ থেকে বেরিয়ে দেখা যায়, মুল কাচি গেট একজনের যাওয়ার ব্যবস্থা রেখে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আর কিছু ভূমি দালাল বাহিরে বসে ছিলেন।
জানা গেছে, জালানি সংকট, বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের জন্য সকাল ০৮ টা থেকে বিকেল ০৩ টা পর্যন্ত সরকারী বেসরকারি অফিস চলবে মর্মে প্রজ্ঞাপন জারি করেন। কিছুদিন সরকারী দপ্তর গুলো নিয়ম মানলেও নানা অজুহাতে দেদারসে অফিস করছেন। তাহলে কি সরকার লোক দেখানোর জন্য প্রজ্ঞাপন দিয়েছে, নাকি সংকট মোকাবিলার জন্য। ঢাকাসহ আশপাশের বিদ্যুৎতের করুন অবস্থা। জালানী সংকটের জন্য উৎপাদন বন্ধের মুখে অনেক কোম্পানি। যদিও তানোরে এখন পর্যন্ত বিদ্যুৎতের পরিস্থিতি কিছুটা ভালো থাকলেও সেটি বেশিদিন থাকবে না বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। এখন থেকে সতর্ক না হলে রোপা আমন ও আলু এবং বোরো চাষ মারাত্মকভাবে হুমকির মধ্যে পড়বে বলেও ধারনা কৃষকদের। সেই দিক বিবেচনা করে সরকার প্রজ্ঞাপন দিয়েছে। সরকার তো অযথা এমন সিদ্ধান্ত নেয় নি। আগামীর চিন্তা থেকেই এমন ঘোষনা। যেখানে সরকার প্রধান বলছেন আমি অনেক কিছু চালানো বন্ধ করে দিয়েছি। সেখানে এসব মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের এত গাফলতি কেন। আসলে সকাল ৮ টার সময় অফিসে আসেন না কর্তাবাবুরা। তাহলে নিয়ম মানবেন কিভাবে।

 

সারোয়ার হোসেন
১০ অক্টোবর /২০২২ইং

Leave a Reply

Your email address will not be published.

আজকের দিন-তারিখ
  • শনিবার (রাত ৩:০৪)
  • ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • ১১ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি
  • ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ (গ্রীষ্মকাল)
পুরানো সংবাদ
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০