তানোরে শিক্ষকের কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় মারধর

 

তানোর প্রতিনিধি: রাজশাহীর তানোর মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের ইংরেজি বিষয়ের শিক্ষক আলমগীর হোসেন প্রাইভেট পড়া অবস্থায় এক শিক্ষার্থীকে জড়িয়ে ধরে ছবি তুলে কু প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় মারধর করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এঘটনায় ওই শিক্ষার্থী মানুষিক রোগী হয়ে পড়েছেন। সে গত শুক্রবারে রাজশাহীর এক মানুষিক রোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলেও নিশ্চিত করেন একাধিক সুত্র। গত সপ্তাহে পৌর সদরে ঘটে এ অমানুবিক ঘটনাটি। এঘটনার পর থেকে ওই ছাত্রী বাহিরে যাওয়া বন্ধ করে দেন এবং ভুলভাল কথাবার্তা বলা, যাকে বলে এক ধরনের মানুষিক রোগী।
এখবর ছড়িয়ে পড়লে শিক্ষকের শাস্তির দাবিতে ফু্ঁসে উঠেছে স্থানীয়রা, সেই সাথে মানুষ গড়ার কারিগরের চাকুরী থেকে বহিস্কারের জোরালো দাবি তুলেছেন শিক্ষক মহল থেকে শুরু করে অভিভাবক মহলও। ফলে ঘটনাটি টক অব দ্যা মডেল পাইলটে পরিনত হয়েছে।
জানা গেছে, তানোর পৌর সদর মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের ইংরেজি বিষয়ের শিক্ষক হিসেবে কর্মরত আলমগীর। তিনি ইংরেজির শিক্ষক, যার কারনে প্রাইভেট ও কোচিংয়ে তার চাহিদা রয়েছে। আলমগীর সদরে প্রাইভেট পড়ান। চলতি সপ্তাহে প্রাইভেটের সব শিক্ষার্থীকে পাঠিয়ে দিয়ে ওই ছাত্রীকে বিভিন্ন কথা বলার আছে বলে থাকতে হবে। এরই এক পর্যায়ে ওই ছাত্রীকে জড়িয়ে ধরে ছবি তুলে কুপ্রস্তাব দেন, নইলে ছবি ভাইরাল করার হুমকি দেয় শিক্ষক। কিন্তু অনেক দেরি হওয়ায় সহপাঠিরা প্রাইভেট পড়ার স্থানে এলে ওই ছাত্রী কান্না শুরু করেন। ওই অবস্থায় তাকে বাড়িতে নিয়ে যায়। পরদিন আর প্রাইভেট পড়তে আসে নি। কিন্তু শিক্ষক তার খায়েস পুরুনে ওই ছাত্রীকে প্রাইভেটে না আসলে পুনরায় শিক্ষক ছবি ইন্টার নেটে ছাড়ার হুমকি দেন। এরই প্রেক্ষিতে ওই ছাত্রী চিন্তায় মানষিক রোগির মত আচরন শুরু করলে পরিবারের লোকজন কোন কিছু হয়েছে কিনা জানতে চাইলে সবকিছু বলেন। কিন্তু ছাত্রীর মানুষিক শারিরিক অবস্থা বেগতিক দেখে পিতা মাতা শহরের মানুষিক রোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যায়। ওই ছাত্রীর পিতা মাতা জানান, শিক্ষক মানে মানুষ গড়ার কারিগর, আর শিক্ষার্থী হচ্ছে ছেলে মেয়ের মত। আর একজন শিক্ষক কিভাবে এত নোংরা হতে পারে। এজাতীয় শিক্ষকের জন্য সমাজের এঅবস্থা। এদের মত শিক্ষক দের কোন অধিকার নেই চাকুরী করার। আমার মেয়ের সম্মানের ইজ্জতের কথা ভেবে চুপ আছি, কিন্তু স্কুল কর্তৃপক্ষ এর বিচার না করলে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে সকল ধরনের ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য যাযা করনীয় করা হবে।
সদর বাসী জানান, মডেল পাইলট স্কুল তার অতীত গৌরব সবকিছু হারিয়েছে। যে প্রতিষ্ঠানের এত সুনাম,আর সেই প্রতিষ্ঠানের লিখাপড়া এবং নিয়োগে অনিয়ম চরিত্রহীন শিক্ষক এভাবে চলতে পারেনা। পাইলট স্কুলে নারী কেলেন্কারী ছিল না, কিন্তু শিক্ষক আলমগীর যেটা করেছে ক্ষমার অযোগ্য। মনে হয় ক্রাইম এলার্ট বাস্তবে রুপ দিয়েছে মানুষরুপী অমানুষ শিক্ষক আলমগীর। তার বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে মানববন্ধন থেকে শুরু করে নানা কর্মসূচি দেওয়া হবে।
শিক্ষক আলমগীরের মোবাইলে ফোন দেওয়া হলে তার স্ত্রী রিসিভ করে বলে ব্যস্ত আছে, তার সাথে কথা বলা যাবে কিনা সাথে সাথে মোবাইল দেওয়া আলমগীরকে তার কাছে ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান কোন প্রমান আছে আমি এসব করেছি বলে দম্ভক্তি প্রকাশ করেন। তার স্ত্রী প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক।
মডেল পাইলট স্কুলের প্রধান শিক্ষক মাইনুল ইসলাম সেলিমের মোবাইলে একাধিক বার ফোন দিলেও রিসিভ করেন নি। তবে অন্য এক শিক্ষক বলেন খবর প্রকাশ না করে সমন্বয় করা যায় না বলে অফার করেন।
মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সিদ্দিকুর রহমান জানান, ঘটনা অজানা অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সারোয়ার হোসেন
১০ অক্টোবর /২০২২ইং

Leave a Reply

Your email address will not be published.

আজকের দিন-তারিখ
  • শুক্রবার (সকাল ১০:৫৪)
  • ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • ১০ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি
  • ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ (গ্রীষ্মকাল)
পুরানো সংবাদ
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০