আবদুল কাদির জীবন, সিলেট মহানগর প্রতিনিধিঃ দেশবরেণ্য ক্যালিগ্রাফার আরিফুর রহমান বলেন, ‘সিলেট ক্যালিগ্রাফি সোসাইটি একদিন প্রাতিষ্ঠানিক রুপ ধারণ করবে। সিলেট একটি আধ্যাতিক নগরী। এখান থেকে অনেককিছু সৃষ্টি হয়ে সফল হয়েছে। ইনশাআল্লাহ সিলেট ক্যালিগ্রাফি সোসাইটির যাত্রাও সফল হবে।
গতকাল মঙ্গলবার (১ নভেম্বর ২০২২) রাত ৯ ঘটিকার সময় সিলেট নগরীর শাহী-ঈদগাস্থ কবি সৈয়দ মবনুর বাসভবনে দেশবরেণ্য ক্যালিগ্রাফার আরিফুর রহমান সিলেট আগমন উপলক্ষে সিলেট ক্যালিগ্রাফি সোসাইটির আয়োজনে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সিলেট ক্যালিগ্রাফি সোসাইটি সভাপতি কবি ও সংগঠক দেওয়ান এ.এইচ মাহমুদ রাজা চৌধুরী সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সিলেট ক্যালিগ্রাফি সোসাইটির সহ-সভাপতি কবি ও গবেষক সৈয়দ মবনু, সাধারণ সম্পাদক গবেষক সৈয়দ জয়নুস শামস, সহ-সভাপতি ক্যালিগ্রাফার নুরুর রহমান।
সিলেট ক্যালিগ্রাফি সোসাইটির সহ-প্রচার সম্পাদক আবদুল কাদির জীবনের পরিচালনায় আলোচনাসভায় বক্তব্য রাখেন কেমুসাসের মুখপত্র আল-ইসলাহ সম্পাদক ও ক্যালিগ্রাফি সোসাইটির সদস্য কথাসাহিত্যিক সেলিম আউয়াল, সিলেট প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি সাংবাদিক আব্দুল কাদের তাফাদার, হলিসিটি পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ মোঃ ছয়ফুল করিম চৌধুরী হায়াত, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার ও সিলেট ক্যালিগ্রাফি সোসাইটির গবেষণার-প্রকাশনা সম্পাদক আহমদ মাহবুব ফেরদৌস, জামেয়াহ দারুল ইসলাম খাদিম পাড়া মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা প্রিন্সিপাল মুহাম্মদ জয়নুল ইসলাম, জামিআ সিদ্দিকিয়া মাদ্রাসার উপ-পরিচালক রেজাউল হক, কবি আব্দুস সোবহান, কবি কামাল আহমদ, সিলেট ক্যালিগ্রাফি সোসাইটির সহ অফিস সম্পাদক মঈন উদ্দিন, শিক্ষা সম্পাদক ক্যালিগ্রাফার আবুল হাসান প্রমুখ।
মোঃ আজির হোসেনের মহাগ্রন্থ আল-কোরান তেলাওয়াতের মাধ্যমে শুরু হওয়া অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন সিলেট ক্যালিগ্রাফি সোসাইটির প্রচার সম্পাদক ইশরাক জাহান জেলী, অফিস সম্পাদক ইসমত হানিফা চৌধুরী, কবি সাইয়ি্যদ মুজাদ্দিদ প্রমুখ বিজ্ঞপ্তি
অনুষ্ঠান শেষে বিশিষ্ট ক্যালিগ্রাফার আরিফুর রহমানকে ফুল দিয়ে ভরন করেন সিলেট ক্যালিগ্রাফি সোসাইটির নেতৃবৃন্দ।
আরিফুর রহমান বলেন, ‘বাদশা আলমগীরের হাতে লেখা কোরান শরীফ সিলেটে আছে। এটা ক্যালিগ্রাফির জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। ক্যালিগ্রাফির মননশীল শিল্পচর্চার গুরুত্ব ও তাৎপর্য সিলেট ক্যালিগ্রাফির মাধ্যমে তুলে ধরা হচ্ছে। এটাকে সামনে আরো এগিয়ে নিতে হবে।
তিনি আরো বলেন, ‘সিলেটবাসী চাইলে বড় করে ক্যালিগ্রাফি প্রদর্শনী করতে পারে তাহলে আমাদের সন্তানরা এটার প্রতি আরো উৎসাহ ও প্রেরণা পাবে। সিলেট ক্যালিগ্রাফি সোসাইটিকে প্রাতিষ্ঠানিক রুপ দিতে পারলে সিলেটে ক্যালিগ্রাফির একটি সুন্দর ভবিষ্যত তৈরি হবে।’
সভাপতির বক্তব্যে দেওয়ান এ এইচ মাহমুদ রাজা চৌধুরী বলেন, ‘আরিফুর রহমান একজন আন্তর্জাতিক মানের ক্যালিগ্রাফার। তিনি আমাদের দেশের সম্পদ, ক্যালিগ্রাফির সম্পদ। এই দেশবরেণ্য ক্যালিগ্রাফারকে নিয়ে বসতে পেরে গর্বিত বোধ করছে সিলেট ক্যালিগ্রাফি সোসাইটি। সিলেটে সাহিত্য সংস্কৃতি, রাজনীতি প্রতিটি ক্ষেত্রে অগ্রগণ্য ছিল বর্তমানেও আছে। ক্যালিগ্রাফির ক্ষেত্রেও বিপ্লব সাধিত হবে’ সিলেটে’