বিজয়ী থেকে প্রশিক্ষন নিয়ে মেহজাবিন ঝুমুরের “বিজয়ী” হওয়ার গল্প

 

 

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

পৃথিবীতে যা কিছু মহান সৃষ্টি চির কল্যাণকর, অর্ধেক তার করিয়াছে নারী অর্ধেক তার নর’। নারী ও পুরুষকে এভাবেই দেখেছেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম। বর্তমানে নারীরা কোনো কাজেই পিছিয়ে নেই। তারা তাদের নিজ যোগ্যতায় এগিয়ে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। ঘরে বাইরে সব পেশায় নিজেদের নিয়োজিত করছে। সৃষ্টি হচ্ছে নতুন নতুন উদ্যোক্তা। অনলাইন ব্যবসায়ের প্রবর্তনের ফলে নারীরা আরও বেশি পরিমাণে সফল উদ্যোক্তায় পরিণত হচ্ছে। তেমনি একজন বিজয়ী নারী উদ্যোক্তা মেহজাবিন ঝুমুর, পিতা মো. মনির হোসেন, ইলিশের বাড়ি চাঁদপুরের জন্ম ঝুমুরের, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নাম J&J colection।

 

ঝুমুর সম্প্রতি মুখোমুখি হয়েছেন গ্রীন বাংলা নিউজের প্রতিনিধির। শুনিয়েছেন তার সফলতার গল্প। সাক্ষাতকারটি নিয়েছেন গ্রীন বাংলা নিউজের নিজস্ব প্রতিবেদক।

প্রতিবেদক : আপনার বিজয়ী নারী উদ্যোক্তা হওয়ার এর শুরুর গল্পটা জানতে চাই-

উত্তরঃ–চাঁদপুরে প্রথম নারী সংগঠন বিজয়ী তে আমি প্রথম আসতে পারি বিজয়ীর এডমিন মারিয়া ইসলাম রাত্রির মাধ্যমে। তারপর থেকে একটা একটা করে বিজয়ী কতৃক আয়েজিত ফ্রি ট্রেনিং নিতে থাকি। যেমন পিজ্জা,হেড পিছ,ব্রুজ ইত্যাদি। আর এই প্রতিটি ট্রেনিং পরিচালনা করেছেন বিজয়ীর ফাউন্ডার তানিয়া ইসতিয়াক খান আপু।উনি এত ভাল একজন মানুষ বলে শেষ করা যাবে না ওনার স্বপ্ন চাঁদপুরের নারীদের সাবলম্বী করা, আর তার সেই স্বপ্ন পূরনে কাজ করে যাচ্ছেন নিরলসভাবে নিজ অর্থায়ানে। তাই আমি ধন্যবাদ জানাই বিজয়ী এর স্বপ্নদ্রষ্টা তানিয়া এবং আশিক ভাইয়া কে।।

প্রতিবেদকঃ আপনার পন্য সম্পর্কে বলুন-

উত্তর- হোমমেড ফুড,

রেডিমেড ড্রেস, কসমেটিকস ইত্যাদি।

প্রতিবেদকঃ আপনার ব্যবসায়িক অবস্থান কীভাবে বেড়েছে, ভবিষ্যত পরিকল্পনা কি-

উত্তর -আমার ব্যবসা বিজয়ী থেকে শুরু,  বিজয়ীর হাত ধরেই একদিন অনেক দূরে যাব। তানিয়া আপুর মত মানুষের হাত আমার মাথার উপর থাকলে বিজয়ী এর সাথে আমিও এগিয়ে যাবো ইনশাআল্লাহ ।

প্রতিবেদকঃ নারী হিসেবে ব্যবসা করতে এসে কোনো ধরনের প্রতিবন্ধকতার সন্মুখীন হয়েছেন কি?

উত্তরঃ অবশ্যই নারী বলে একটু তো সমস্যায় পরতেই হয়েছে। তবে আমরা নারী আমরাই পারি- এই স্লোগানই এগিয়ে যাব ইনশাআল্লাহ ।

প্রতিবেদকঃ উদ্যোক্তা হওয়ার পেছনে সবচেয়ে বেশি কার সহযোগিতা ও উৎসাহ পেয়েছেন এবং কিভাবে পেয়েছেন?

উত্তরঃ আমি সবচেয়ে বেশি সাপোর্ট পেয়েছি আমার আম্মু থেকে। আমি যে কোনো কাজে গেলে আমার সব কিছু বাচ্চা, সংসার, রান্নাবান্না সবকিছু করে রাখত। আর আরেকজন আমার ছোট বোন ও সবসময় আমাকে মেন্টালি সাপোর্ট করে, বলে তুই পারবি আপু এবং আমার হাজবেন্ড আমার কাজে আমাকে বাধা দেয় না বলে তুমি এগিয়ে যাও আমি আছি তোমার পাশে। তো ওনারাই আমার সবচেয়ে বড় সাপোর্ট।

প্রতিবেদক- নতুন নারী উদ্যোক্তাদের জন্য আপনার পরামর্শ কি?

উত্তর-আমি এইটুকুই বলব তোমরা কেউ ঘরের কোনে বসে থাকবা না।।।যা আছে তা দিয়েই শুরু কর এবং উদ্যোক্তা হও, তানিয়া আপুর পরামর্শ নাও, বিজয়ী থেকে ফ্রি প্রশিক্ষন নিয়ে নিজের পরিবারের তথা দেশেকে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী  করো।।কারন আমরা নারী আমরাই পারি….

Leave a Reply

Your email address will not be published.

আজকের দিন-তারিখ
  • বৃহস্পতিবার (রাত ১০:১৩)
  • ২৮শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • ১৮ই রমজান, ১৪৪৫ হিজরি
  • ১৪ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ (বসন্তকাল)
পুরানো সংবাদ
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১