তানোর প্রতিনিধি: রাজশাহীর তানোরে পুকুরে মাছ লুট কারী সেই সাইদ সাজুকে গণধোলাই দেওয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৩ টার দিকে মুন্ডুমালা পৌর এলাকার চিনাশো মৌজার বুড়া-বুড়ি তলা পুকুরে ঘটে গণধোলাইয়ের ঘটনাটি। এখবর ছড়িয়ে পড়লে মৎস্য চাষী থেকে শুরু করে জনসাধারণের মাঝে স্বস্তির নিঃশ্বাস সহ মিষ্টি বিতরণের খবর পাওয়া গেছে।
জানা গেছে, উপজেলার মুন্ডুমালা পৌর এলাকার চিনাশো গ্রামের চিনাশো মৎস্যচাষী সমবায় সমিতি লিমিটেড বিগত তিন বছর আগে ভূমি অফিস থেকে চিনাশো মৌজায় অবস্থিত বুড়া-বুড়ি তলা নামক পুকুর ৬৫ হাজার টাকায় লীজ নেয়। এঅবস্থায় গত বৈশাখ মাসে মেয়াদ শেষ হয়। সমিতির লোকেজন পুনরায় লীজ নিতে ভূমি অফিসে আসলে কর্তৃপক্ষ মুন্ডুমালা তহসীল অফিস থেকে লীজ নেওয়ার পরামর্শ দেন।
সমিতির সভাপতি ইমরান ও সদস্য মাইনুল জানান মুন্ডুমালা তহসীল অফিসে গেলে তহসিলদার রবিউল একসাথে ৬৫ হাজার টাকা দিতে বলেন। তাহলে মাত্র এক বছরের জন্য লীজ দিবে। তার এমন অযৌক্তিক কথার কারনে আমরা বলি প্রকাশ্যে নিলাম দিলে আমরা অংশ নিয়ে ডাক দিব। কিন্তু রবিউল অনৈতিক সুবিধা নিয়ে অতি গোপনে তানোর পাড়া গ্রামের মৃত দেলজানের পুত্র সাইদ সাজুকে লীজ দেন। পুকুরে আমাদের প্রায় ৪০-৫০ হাজার টাকার মাছ ছিল। গত ১ লা নভেম্বর মঙ্গলবার সকালের দিকে সাইদ ও চুনিয়াপাড়াগ্রামের আশরাফুল ইসলাম রঞ্জু জোরপূর্বক মাছ লুট করেন। জানতে পেরে আমরা এর সুষ্ঠু বিচারের জন্য নির্বাহী কর্মকর্তা সহ বিভিন্ন জায়গায় লিখিত অভিযোগ দিই। কিন্তু সমিতির সদস্য সহ এলাকার লোকজন প্রচুর ক্ষিপ্ত ছিল। সাইদ পুনরায় বৃহস্পতিবার বিকেলের দিকে মাছ মারতে আসলে উত্তেজিত জনতা গণধোলাই দেন। শুধু এপুকুর না তারা তহসিলদার কে পকেটে রেখে জালিয়াতি করে লীজ নিয়ে মাছ লুট করেই যাচ্ছেন। এর আগে পাঁচন্দর ইউপির চককাজিজিয়া গ্রামে ব্যক্তি মালিকানা পুকুরে লাল নিশানা সাটিয়েছিলেন। পরে তহসিলদার সহ তাদের বিরুদ্ধে মামলা করতে চাইলে রাতারাতি নিশানা তুলে ফেলেন।
প্রসঙ্গতঃ গত ১ লা নভেম্বর মঙ্গলবার সাইদ সাজু ও রঞ্জু জালিয়াতি করে লীজ নিয়ে গায়ের জোরে চিনাশো মৎস্য চাষী সমবায় সমিতির লীজকৃত পুকুরের মাছ লুট করেন। এঘটনায় জাতীয় স্থানীয় সহ বিভিন্ন অনলাইন পোর্টালে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়।
সারোয়ার হোসেন
০৩ নভেম্বর /২০২২ইং