তানোর প্রতিনিধি: রাজশাহীর তানোরে মডেল মসজিদ নির্মানের কাজে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ব্যাপক অনিয়ম দূর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এমনকি নিয়ম বহির্ভুত ভাবে তিন নম্বর ইট খোয়া দিয়ে ঢালায়ের কাজ করা হচ্ছে। এতে করে মসজিদের টিকসই নিয়েও সন্দিহান। ফলে দ্রুত সময়ের মধ্যে কাজ বন্ধ করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে জোর দাবি উঠেছে।
জানা গেছে, বর্তমান সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী দেশের প্রতিটি উপজেলায় মডেল মসজিদ সহ ইসলামী কালচার সেন্টার গড়ে তুলে সাধারন মানুষের মাঝে ইসলামী জ্ঞান অর্জন ছড়িয়ে দিতেই মডেল মজসিদ তৈরির সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়। দেশের বিভিন্ন উপজেলায় ইতিপূর্বেই মডেল মসজিদের শুভ উদ্বোধন করেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এউপজেলায় মসজিদ নির্মানের শুরু থেকেই নানা অনিয়ম করে আসছে ঠিকাদার আতিক।
মঙ্গলবার দুপুরের দিকে সরেজমিনে দেখা যায়, যুব উন্নয়ন অফিসের পিছনে ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হচ্ছে মডেল মসজিদটি। নির্মান কাজ প্রায় শেষের দিকে। মসজিদে নিচে তিন নম্বর ইট খোয়া বিছানো আছে, উত্তর দিকে কিছু অংশ আরসিসি ঢালায়ের কাজ হয়ে গেছে। বাকি জায়গায় ময়লা আবর্জনার মধ্যে যত সামান্য বালি দিয়ে যাতামাতা করে ইট বিছিয়ে রাখা হয়েছে সবকিছুই তিন নম্বর ইট ও খোয়ায় কাজ চলছে। সেখানেই ছিলেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রকৌশলী সাজ্জাদ হোসেন, তার কাছে জানতে চাওয়া হয় তিন নম্বর ইট দিয়ে কিভাবে কাজ করছেন তিনি জানান ঠিকাদার যে ভাবে বলেছে সে ভাবে করা হচ্ছে বলে ঠিকাদার আতিকের মোবাইল নম্বর দিয়ে আর কোন কথা বলতে রাজি হননি। দেখভালের দায়িত্বে কে আছেন সেটা বলতেও নারাজ তিনি।
ঠিকাদার আতিকের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ভাটায় এর চেয়ে ভালো ইট পাওয়া যায়নি। এজন্য এসব দিয়েই কাজ করতে হচ্ছে। নির্বাহী দপ্তরে সিডিউল আছে দেখে নেন বলেও দম্ভক্তি প্রকাশ করেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার পংকজ চন্দ্র দেবনাথ কে বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত করা হলে তিনি দ্রুত কাজ বন্ধ করে দিয়ে বলেন তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপজেলার সীমানা প্রাচীরে তানোর মডেল মসজিদ ও ইসলামী সংস্কৃতিক কালচার সেন্টারের ভিত্তি প্রস্তরের উদ্বোধন করেন বিগত ২০২০ সালের আগষ্ট মাসে স্থানীয় সংসদ। বাস্তবায়নে রাজশাহী গণপূর্ত বিভাগ-২ রাজশাহী।
বেশকিছু নির্মান শ্রমিকরা জানান, মসজিদ নির্মান থেকে অদ্যবদি নানা অনিয়ম করা হয়েছে। নির্মান সামগ্রীর বাড়তি দামের দোহায় তুলে ইট, খোয়া, সিমেন্ট,রোড থেকে শুরু করে সবকিছুতেই অনিয়ম করা হয়েছে। কারন দেখভালের দায়িত্বে থাকা গণপূর্ত বিভাগের কেউ আসেনা।
এর প্রমানও পাওয়া যায়
ওয়েব সাইডে রাজশাহী গণপূর্ত বিভাগ-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমানের ০১৮৮২১১৫২৯০ মোবাইলে ফোন দেওয়া হলে ফরওয়াড লিখা আসে।
উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী(সিভিল) রবিউল ইসলাম খানের ০১৮৮২১১৫২৯৯ মোবাইল নম্বরে একাধিকবার ফোন দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ করেন নি।
সারোয়ার হোসেন
০৮ নভেম্বর /২০২২ইং