হাইমচর মধ্যচরের মাটি বিক্রি হচ্ছে ইটভাটায়,নীলকমলের মানচিত্রে মাটি খেকু চক্রের কু-নজর

 

হাইমচর প্রতিনিধিঃ

হাইমচর উপজেলার ৪নং নীলকমল ইউনিয়নের ৭ ও ৮নং ওয়ার্ডের মাঝি কান্দি এলাকার মাটি মুন্সিগঞ্জের একটি ইটভাটায় বিক্রি করে যাচ্ছেন স্থানীয় কতিপয় মাটি খেকু। যার ফলে নীলকমল ইউনিয়নের মানচিত্র থেকে বিলীন হয়ে যাচ্ছে এ দুটি ওয়ার্ড। এ বালু খেকুদের হাত থেকে নীলকমল ইউনিয়নকে রক্ষা করার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করে বালু খেকুদের আইনের আওতায় আনার জোর দাবী জানান এলাকাবাসী।
মাটি কেটে নিয়ে যাওয়ার সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে যান উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) আব্দুল আল ফয়সাল মাটি খেকুরা সহকারি কমিশনার ভুমির আসার সংবাদ পেয়ে পালিয়ে যায়। তিনি চলে আসার পর এই চক্র পুনরায় মাটি কাটার প্রস্তুতি নেয়। রাতের আধারে মাটি কাটবে বলে জানাগেছে।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হাইমচর উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের মধ্যে ৩ টি ইউনিয়ন নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ৩টি ইউনিয়ন কাগজে কলমে থাকলেও ঐ তিনটি ইউনিয়নের বেশির ভাগই এখন নদীর গর্ভে বিলীন হয়েছে। নীলকমল ইউনিয়নে যে টুকু জায়গা রয়েছে সেটুকুতেও কুনজর পড়েছে স্থানীয় কতিপয় মাটি খেকু সদস্যদের। দিনে দুপুরে ৪টি বেকু দিয়ে কয়েকটি জাহাজে করে প্রতিদিনই বিক্রি করছে মাটি। যার ফলে মানচিত্র থেকে বিলীনের পথে রয়েছে নীলকমল ইউনিয়নে অর্থনৈতিক অঞ্চল ঘোষণাকৃত এ মধ্যচরের মাটি কেটে মানচিত্র থেকে মুছে ফেলার মত জঘন্যতম কাজ করছে এ মাটি খেকু চক্রটি। এ মাটি কাটার সাথে জড়িত স্থানীয় কবির মাঝি, সেলিম মাঝি, আবু চকিদার, সেলিম চকিদার, মুকবিল। যারা নীলকমল ইউনিয়নের প্রভাবশালী লোক। যার কারণে ভয়ে প্রতিবাদ করতে পারেনি স্থানীয় লোকজন।
নাম বলতে অনিচ্ছুক স্থানীয় কয়েকজন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমাদের এলাকার ফসলী জমি জোর করে কেটে নিয়ে যাচ্ছে কবির মাঝি, সেলিম সহ প্রায় ১০ থেকে ১২ জনের নেতৃত্বে আরও কয়েকজন। তারা ৪টি বেকু দিয়ে মাটি কেটে জাহাজে করে নিয়ে মুন্সিগঞ্জে মাটি বিক্রি করছে। যার কারণে আমাদের গ্রামটা এখন বিলীনের পথে। আমরা প্রশানের হস্তক্ষেপ কামনা করছি এবং এ চরের মাটি বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থাগ্রহন করার জন্য জোর দাবী জানাচ্ছি।

ইউপি সদস্য বাচ্চু সরকার জানান, আমার পাশের ওয়ার্ডের মাঝি কান্দি গ্রামের মাটি অন্যত্র বিক্রি করার কারনে গ্রামটি বিলুপ্তির পথে। যা অত্যান্ত দুঃখজনক বিষয়। কে বা কারা এ মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে এবং মুন্সিগঞ্জে বিক্রি করছে এটা সকলেরই জানা। তবে গ্রামটি রক্ষার স্বার্থে এ মাটি কাটা বন্ধ করা প্রয়োজন এবং অবৈধ মাটি কাটা বন্ধের জন্য ইউনিয়ন পরিষদে কোনো লিখিত অভিযোগ করেন না।

৭নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য রতন জানান, আমার ওয়ার্ডে মাটি কাটার সংবাদ পেয়ে উপজেলা সহকারি কমিশনার ভূমি স্যার এবং বায়ারচর পুলিশ ফাঁড়ির কর্মকর্তাকে অবহিত করেছি। আজ এসিল্যান্ড এসে বন্ধ করে দিয়েছে। স্যার আসার সংবাদ পেয়ে সব কিছু নিয়ে তারা পালিয়ে যায়।

স্থানীয় এলাকাবাসী জানান নীলকমল ইউনিয়নের বাসিন্দা
কবির মাঝি, বাচ্চু মাঝি,সেলিম চকিদার, আবু চকিদারের মুকবিল
জমির মালিক দাবি করে মাটি বিক্রি করেন।

অভিযুক্ত কবির মাঝি,বাচ্চু মাঝি, সেলিম চকিদার, আবু চকিদার মুকবিল বলেন আমরা ৪/৫ দিন মাটি কেটেছি। আজ এসিল্যান্ড এসে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে গেছেন,তাই আমরা আর মাটি কাটবো না।

নীলকমল ইউপি চেয়ারম্যান সাউদ আল নাসের বলেন ৮,৯ নং ওয়ার্ডের কৃষকদের জমির পাশাপাশি সরকারি জমির মাটি কেটে নিচ্ছিল স্থানীয় প্রভাবশালীরা। অবৈধ ভাবে মাটি কাটার বিষয়ে হাইমচর উপজেলা ভুমি কর্মকর্তাকে অবগত করি এবং অবগত করলে ঘটনা স্থানে আমি সহ হাইমচর উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা ঘটনা স্হলে যাই।

ইউপি চেয়ারম্যান সাউদ আল নাসের আরো বলেন মাটি কাটার সঙ্গে জড়িত এবং যারা অবৈধ ভাবে মাটি কাটছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিনি আরও বলেন, ১টি ভেকু ও ৩টি স্যালো মেশিন বিকল করে দেওয়া হয়।এ সময় জড়িতদের কাউকে পাওয়া যায়নি।

ভূমিদস্যুদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসনের জোর দাবি জানান এবং ইউপি চেয়ারম্যান সাউদ আল নাসের এর বিরুদ্ধে মিথ্যা বানোয়াট সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে তা মিথ্যা ভিত্তিহীন ও ষড়যন্ত্রমূলক।।

Leave a Reply

Your email address will not be published.

আজকের দিন-তারিখ
  • শনিবার (সকাল ৯:০৬)
  • ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • ১১ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি
  • ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ (গ্রীষ্মকাল)
পুরানো সংবাদ
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০