বিজয়ী এর হাত ধরে উম্মে তাসলিম এর বিজয়ী হওয়ার গল্প

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

প্রতিটি নারীর সফলতার পিছনে থাকেন তিনি নিজেই। কারণ তার ইচ্ছা শক্তি এবং মনোবল ,তাকে নিয়ে যেতে পারে বহুদূর। নিজের ইচ্ছা শক্তিকে কাজে লাগিয়ে আজকের নারীরা এগিয়ে যাচ্ছে বহুদূর। তেমনি ভাবে একজন সফল উদ্যোক্তার পরিচয় গড়ে তুলেছে নিজের নামের পাশে উম্মে তাসলিম।

Innaya’s collection এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক উম্মে তাসলিম।

সাক্ষাতকারটি নিয়েছেন গ্রীন বাংলা নিউজের নিজস্ব প্রতিবেদক মূসা তপাদার।

প্রতিবেদক : আপনার বিজয়ী নারী উদ্যোক্তা হওয়ার এর শুরুর গল্পটা জানতে চাই-

উত্তরঃ–আমার পরিবারে বাবা মারা যাওয়ার পর আমার পরিবারটি ভেঙে পরেছিল এবং এ অবস্থায় আমাদের পাশে কিংবা আমার আম্মুর পাশে দাড়ানোর মতো কেউ ছিল না। তখন পরিবারের নানা সমস্যা মুখোমুখি পরতে দেখি। তখন থেকেই মনোবল তৈরি করি পরিবারের পাশে দাঁড়াবো কিছু করবো।একটা জব ও করতাম নার্সিং কিন্তু পারিবারিক আর পরিস্থিতি জটিলতার সৃষ্টি কারণে কিছু সময় পর ছেড়ে দেই। যখন দেখতাম পরিবারের পাশে আর কিভাবে দাড়ানো যায় আম্মুর পাশে তখন আমি চিন্তা করতাম যে আমাকে কিছু করতে হবেই । তো তারপর আমার এক ছোট বোন আপন বোন বল্লেও কম হয়ে যাবে, মেয়েটা বিজয়ীর সাথে যুক্ত ছিল। এবং সেও একজন সফল উদ্যোক্তা এখন।তারপর তার হাত ধরে আমার বিজয়ী তে আসা।বিজয়ীতে আসার পর দেখি একটার পর একটা একটা ফ্রি ট্রেনিং বিজয়ী দিচ্ছে। যেখানে আর চার পাচটা প্লাটফর্ম ফ্রি করায় না সবকিছুতেই প্রয়োজন অর্থ। এই বিজয়ী এমন একটা প্লাটফর্ম যেখানে তানিয়া ইশতিয়াক খান আপু শুধু প্রতিশ্রুতি একটাই আমাদের মতো সমাজে মেয়েদের পাশে দাড়ানো। তারপর বিজয়ী থেকে ট্রেনিং গুলো পরিচালনা করেন বিজয়ীর ফাউন্ডার তানিয়া আপু। তানিয়া আপুর ইন্সপিরেশন এ আমি নিজে কিছু করার সাহস পেয়েছি বিজয় থেকে ফ্রি ট্রেনিং নিয়ে কিভাবে প্রোডাক্ট সম্পর্কে বুঝতে হবে শিখতে হবে এবং কিভাবে একজন সৎ উদ্যোক্ততা হওয়া যায়।আপু এ ট্রেনিং গুলো আমার ঘুরে দারানোর জন্য যথেষ্ট ছিল থাকবে এবং ভবিষৎতে। আজ সেল করে নিজে সাবলম্বী হচ্ছি এবং সামান্য হলে পরিবারের পাশে থাকছি। আম্মুর পাশে থাকছি.. আলহামদুলিল্লাহ

প্রতিবেদকঃ আপনার পন্য সম্পর্কে বলুন-

উত্তর- ড্রেস এবং কসমেটিক্স ইত্যাদি।

প্রতিবেদকঃ আপনার ব্যবসায়িক অবস্থান কীভাবে বেড়েছে, ভবিষ্যত পরিকল্পনা কি-

উত্তরঃ বিজয়ীর প্লাটফর্ম এসে বিজয়ীর হাত ধরে আমি স্বাবলম্ভী হতে শুরু করেছি ইনশাআল্লাহ বিজয়ীর হাত ধরে চলে যাবো বহুদূর আর এভাবেই আমি সামনে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করব এবং পরিবারের পাশে থাকবো।

প্রতিবেদকঃ নারী হিসেবে ব্যবসা করতে এসে কোনো ধরনের প্রতিবন্ধকতার সন্মুখীন হয়েছেন কি?

 


উত্তরঃ আমাদের বর্তমান সময়ে সমাজ বাংলাদেশ এতোটা উন্নতির পথে আছে কিন্তু কোথাও ঠিক সমাজে বলে না ভালোটা থাকলে খারাপটা আছেই।তেমনি নারী হিসেবে নিজে কিছু করব এজন্য বাধা সম্মুখীন তো হতেই হবে। সমাজে নানা মানুষ নানাভাবে নিজের আত্নবিশ্বাসটা ভেঙে দিতে চেয়েছে দূর্বল হয়ে পরেছি কিন্তু হার মানি নি যেহেতু বিজয়ীর সাথে আছি বিজয়ীর মতো একটা প্লাটফর্ম পেয়েছি ইনশাল্লাহ সকল বাধা অতিক্রম করে এগিয়ে যাবোই যাবো।

প্রতিবেদকঃ উদ্যোক্তা হওয়ার পেছনে সবচেয়ে বেশি কার সহযোগিতা ও উৎসাহ পেয়েছেন এবং কিভাবে পেয়েছেন?

○উত্তরঃ আমার উদ্যোক্তা হওয়ার পিছনে সর্বপ্রথম অবদান আমার আম্মুর..যিনি একজন পুরুষের দ্বায়িত্ব একাই কাধে নিয়ে একাই সবটা লড়ে আমাদের শিক্ষা দিয়েছেন.. সমাজে চলতে শিখিয়েছেন.. তারপর বিজয়ীর ফাউন্ডার তানিয়া ইশতিয়াক খান আপুর যিনি আম্মুর পর আমার দ্বিতীয় আস্থাভাজন আপন মানুষ কারণ উনার হাত ধরেই আজ আমি সফল উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন দেখেছি আর আজ পূরনের পথে।

প্রতিবেদক- নতুন নারী উদ্যোক্তাদের জন্য আপনার পরামর্শ কি?

উত্তর-আমি এইটুকুই বলব কেউ কিছু করতে চাইলে প্রথম প্রয়োজন নিজের আত্নবিশ্বাস.. যে হ্যা আমি নারী আমি পারবো।দ্বিতীয় হচ্ছে একটি প্ল্যাটফর্ম যেখানে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার মতো অসংখ্যক সুযোগ রয়েছে। বিজয়ী যা আমাকে বিজয়ী হওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে। অতএব সবাইকে বলবো বিজয় লাভ হতে বিজয়ীকে কি বেছে নাও। ইনশাল্লাহ সফলতা আসবেই…

Leave a Reply

Your email address will not be published.

আজকের দিন-তারিখ
  • শুক্রবার (রাত ৩:৩০)
  • ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • ১৭ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি
  • ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ (গ্রীষ্মকাল)
পুরানো সংবাদ
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০