নারী উদ্যোক্তা আয়েশা রহমান এর বিজয়ী হওয়ার গল্প 

 

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

পৃথিবীতে যা কিছু মহান সৃষ্টি চির কল্যাণকর, অর্ধেক তার করিয়াছে নারী অর্ধেক তার নর’। নারী ও পুরুষকে এভাবেই দেখেছেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম। বর্তমানে নারীরা কোনো কাজেই পিছিয়ে নেই। তারা তাদের নিজ যোগ্যতায় এগিয়ে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। ঘরে বাইরে সব পেশায় নিজেদের নিয়োজিত করছে। সৃষ্টি হচ্ছে নতুন নতুন উদ্যোক্তা। অনলাইন ব্যবসায়ের প্রবর্তনের ফলে নারীরা আরও বেশি পরিমাণে সফল উদ্যোক্তায় পরিণত হচ্ছে। তেমনি একজন আয়েশা রহমান” শখের হাড়ি “নামক একটি ব্রান্ড প্রতিষ্ঠা করে ব্যবসা করছেন নারী উদ্যোক্তা আয়েশা রহমান।

আয়েশা রহমান সম্প্রতি মুখোমুখি হয়েছেন গ্রীন বাংলা নিউজের প্রতিনিধির।শুনিয়েছেন তার সফলতার গল্প। সাক্ষাতকারটি নিয়েছেন গ্রীন বাংলা নিউজের নিজস্ব প্রতিবেদক।

প্রতিবেদক : আপনার বিজয়ী নারী উদ্যোক্তা হওয়ার এর শুরুর গল্পটা জানতে চাই-

উত্তর- আসসালামু আলাইকুম আমি আয়েশা রহমান সংসার জীবনে কিছু করতে পারলাম না, মনে মনে অনেক কষ্ট পেতাম। একদম হাজবেন্ড এর টাকার উপর নির্ভরশীল হয়ে আছি। জানি এটা স্বাভাবিক, কিন্ত আমার কাছে ভালো লাগতো না। যখন এমন নয় ছয় ভাবছি সেই মুহূর্তে আশেপাশের উদ্যোগতা দের দেখে মনে আশার আলো হয়ে উঠল। নিজে বিজনেস শুরু করার প্রথম বাড়িতে অপলাইনে থ্রীপিস বিক্রি করতাম কারন অনলাইন সম্পর্কে আমি ততটা বুজিনি, আর বয়স তো কম হলো না ৩ মেয়ে ২ ছেলে ২ মেয়ের বিয়ে দিলাম নাতিন ও আছে ২ জন। যাক স্বল্প পুজি নিয়ে বিজনেস চালু করলাম, অনলাইন ফেজবুক সম্পর্কে একটু একটু ধারনা হলো, এই ভাবে শুরু অনলাইন বুজার পর বিজয়ী তে আসা আর বিজয়ী থেকে পিজ্জার ট্রেনিং নেওয়া।

প্রতিবেদকঃ আপনার পন্য সম্পর্কে বলুন-

উত্তর- হোমমেইড ফুড, কেক, পিজ্জা, হেন্ড প্রিন্ট পান্জাবি শাড়ি থ্রি পিছ।

প্রতিবেদকঃ আপনার ব্যবসায়িক অবস্থান কীভাবে বেড়েছে, ভবিষ্যত পরিকল্পনা কি-

আমি অল্প পুঁজি নিয়ে নেমে ছিলাম, আলহামদুলিল্লাহ এখন ভালো রেসপন্স পাচ্ছি কাস্টমার ও খুশি,আমি আগে থেকেই বিজনেস করতাম কিন্তু বিজয়ীতে যাওয়ার পর আমার পরিচিতি আরও বাড়লো। আমাকে সবাই চিনতেছে জানতেছে এবং আলহামদুলিল্লাহ ভালো সেল হচ্ছে এবং বিজয়ী থেকে ফ্রী ট্রেনিং গুলো নিয়ে আমি বিজনেসের আইটেম আরো বাড়িয়েছি।

প্রতিবেদকঃ নারী হিসেবে ব্যবসা করতে এসে কোনো ধরনের প্রতিবন্ধকতার সন্মুখীন হয়েছেন কি?


উত্তরঃ আমাদের সমাজে সবসময়ই সব পুরুষের চোখে নারীরা ছোট হয়ে থাকে। নারীরা কিছু করবে নারীর টাকা ইনকাম করবে এটা সব পুরুষ মেনে নিতে পারেনা।।
তবে আবার নতুন করে এক আলোর দেখা পেলাম তা হলো নারী জাগরনের নতুন উজ্জ্বল মুখ তানিয়া ইশতিয়াক খান আপুর বিজয়ী নামে একটি চমৎকার সংগঠনে। যা আমাকে নতুন করে একটা পরিচিত দিয়েছে। আমি খুব আনন্দিত যে এখন বিজয়ীর একজন সদস্য হতে পেরে। মানুষের জীবনে প্রাপ্তির শেষ নেই, তাই বিজয়ীর মাধ্যমে আরো ভালো কিছু পেতে এবং ছোট এই স্বপ্ন টাকে আরো বড় করতে এই পথ চলা। আজ একজন নারী উদ্যোক্তা হিসেবে নিজেকে তৈরি করা র জন্যে চেষ্টা করছি। সফল নারী উদ্যোক্তা হতে অনেক সময় লাগবে, সফল হতে পারবো কিনা তা সময় বলে দিবে। একজন উদ্যোক্তার পিছনের অনেক ঘটনা থাকে এটাই সত্যি।যেহেতু বিজয়ীর সাথে আছি তাই সকল বাধা অতিক্রম করে আমি সামনে এগিয়ে যাবোই যাবো।

প্রতিবেদকঃ উদ্যোক্তা হওয়ার পেছনে সবচেয়ে বেশি কার সহযোগিতা ও উৎসাহ পেয়েছেন এবং কিভাবে পেয়েছেন?

উত্তরঃ আমার নিজের উদ্যোগ, সন্তানদের অনেক সার্পট পেয়েছি মানসিক দিক, অনলাইন সম্পর্কে বুজিয়ে শিখিয়ে দেওয়া মোট কথা সন্তানরাই পাশে চিল, তারপর বিজয়ীতে আসার পর তানিয়া ইশতিয়াক খান বিজয়ীর ফাউন্ডার আপুর সাপোর্ট পেয়েছি।আপু এতো সুন্দর করে আমাদের মটিভেট করেন তা বলার মত না।

প্রতিবেদক- নতুন নারী উদ্যোক্তাদের জন্য আপনার পরামর্শ কি?

উত্তর- আমি এইটুকুই বলব কেউ কিছু করতে চাইলে প্রথম প্ল্যাটফর্ম হিসেবে বিজয়ী কে বেছে নাও। অবশ্যই সফল হবে।আর জীবনে কান কথা না শুনে চলবে সেই জীবনে সাকসেস আসবেই ইনশাআল্লাহ।এগিয়ে যাও… সফলত আসবেই…

Leave a Reply

Your email address will not be published.

আজকের দিন-তারিখ
  • বৃহস্পতিবার (বিকাল ৪:৫৭)
  • ২৮শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • ১৮ই রমজান, ১৪৪৫ হিজরি
  • ১৪ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ (বসন্তকাল)
পুরানো সংবাদ
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১