রাউজান (চট্টগ্রাম)প্রতিনিধি;
প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে রাউজানে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অবৈধ বালু উত্তোলন ও জলমহাল সরকারি ইজারা ছাড়ায় লুটপাটে লিপ্ত এলাকার কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি।সরেজমিনে দেখা গেছে, কর্ণফুলীনদী, হালদা নদী,সর্তা খাল, ডাবুয়া খালসহ নদী-ছড়া-খাল-বিল ও কৃষিজ জমিতে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে প্রতিনিয়ত অবৈধ বালু উত্তোলন অবহ্যাত রয়েছে।সর্তা খালে বালু উত্তোলন করা হয়,হলদিয়া হচ্চার ঘাট,নোয়াজিষপুর মিলন মাষ্টারের ঘাটা, চিকদাইর,পশ্চিম গহিরা, কাসখালি খালে ডাবুয়ায় মেলুয়ায় রাবার বাগান এলাকায় ও বাগোয়ান ইউনিয়নের কয়েকটি স্থানে কর্ণফুলীনদী থেকে বালু উত্তোলন করা হয়।এছাড়া রাউজানের অর্ধশত সরকারি দিঘি ও পুকুর- জলাশয় সরকারি ইজারা ছাড়াই চলছে মাছের চাষাবাদ।সংশ্লিষ্ট উপজেলা প্রশাসনের নিরবতায় ইজারা বহির্ভূত এসব জায়গা থেকে অবাধে বালু উত্তোলন ও সরকারি দিঘি- পুকুর চাষ করে লুটেপুটে খাচ্ছে প্রভাবশালীরা।ফলে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আয় হারাচ্ছে।এসব অবৈধ কর্মকাণ্ড বন্ধে স্থানীয় প্রশাসনের সত্যিকারের সক্রিয়তা দেখতে চাই স্থানীয় লোকজন।জানা যায়, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন হালদা নদীর মা-মাছসহ জৈববৈচিত্র রক্ষায় নদী থেকে বালুমহাল ইজারা বন্ধ করে দিলেও বিভিন্নস্থানে নৌযানে বালু উত্তোলন করছে প্রভাবশালীরা।এতে প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত হালদা নদীর মা-মাছসহ জৈববৈচিত্র হুমকির মুখে পড়ছে।উপজেলার নোয়াজিষপুর ঈশা খা দিঘি, হলদিয়া বৃক্ষবানপুর দিঘি,কদলপুর লঙ্কর উজির দিঘি,পাহাড়তলীতে মহামুনি দিঘি,পশ্চিম গুজরায় মগদাই জলপাইন্যা দিঘি, পূর্ব গুজরায় মহাজন দিঘি, উপজেলা সদর নলপুকুর, উপজেলা জামে মসজিদ পুকুরসহ সরকারি দিঘি,পুকুর-জলাশয় গুলো একসময়ে ইজারা দেয়া হতো।ইজারা বাবদ সরকারি কোষাগারে জমা হতো কোটি কোটি টাকার রাজস্ব। উপজেলা সূত্রে জানা যায়,গত আট-দশ বছর ধরে সরকারি মালিকানাধীন দিঘি ও জলাশয় কোন ধরনের ইজারা দেয়া হয়নি। ইজারা না নিয়ে সরকারি দিঘি ও পুকুরের মধ্যে মাছ চাষ করে লুটেপুটে খাচ্ছে এলাকার প্রভাবশালী ব্যক্তিরা।এতে সরকার হারাচ্ছে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব আয়। এবিষয়ে জানতে চাইলে রাউজান উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুস সামাদ শিকদার বলেন,আমি রাউজানে আসার পূর্বেই থেকে সরকারি দিঘি,পুকুর-জলাশয় ও বালুর মহাল কয়েক বছর ধরে ইজারা দেয়া হয়নি।শুধুমাত্র কর্ণফুলী নদী রাউজানের অংশের নোয়াপাড়ায় একটি বালুর মহাল ইজারা দেয়া হয়েছে।আর কোনো বালুমহালের ইজারা নেই।অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের কারণে অনেক জায়গায় বাড়িঘর, ফসলি জমি বিলীন হচ্ছে, নদীর গতিপথ পরিবর্তন হচ্ছে।এসব অবৈধ বালু মহাল বন্ধ করতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে।এসব সরকারি দিঘি,পুকুর-জলাশয় ও বালু মহাল ইজারা আওতায় আনা গেলে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আয় পাবে বলে জানান তিনি।