পিরোজপুর প্রতিনিধি:
পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ায় হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে পৌরমার্কেট নির্মানের অভিযোগ উঠেছে পৌরসভার কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। এই অভিযোগে সোমবার দুপুরে পিরোজপুর পেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছে মোঃ জাকির উদ্দিন সাবু নামে এক ভূক্তভোগী।
লিখিত বক্তব্যে উপজেলার ভান্ডারিয়া শহরের পেশকারবাড়ী এলাকার মোঃ জাকির উদ্দিন সাবু জানান, তাদের পৈত্রিক জমিতে ভান্ডারিয়া সদর ইউনিয়ন পরিষদ অবস্থিত ছিল ওই জমির খাজনা তার দাদা হামিদ উদ্দিন এবং তার মৃত্যুর পর তার ওয়ারিশরা দিয়ে আসছে। ভান্ডারিয়া মৌজায় জে এল নং ২১ এ এস এ খতিয়ান নং ৩০৬৫ এর বি এস দাগ নং ৬০৮ এ ১২ শতাংশ জমি মধ্যে ৭ শতাংশ জমির মালিক। যার মূল্য এক কোটি টাকা। এর তবে সম্প্রতি ভান্ডারিয়া ইউনিয়ন পরিষদ বিলুপ্ত করে ভান্ডারিয়া পৌরসভা গঠন করা হয়। আর পৌরসভার কার্যক্রম পরিচালনা করতে জমি অধিগ্রহন করে পৌরভবন নির্মানের কাজ চলমান রয়েছে। এদিকে বিলুপ্ত হওয়া ইউনিয়ন পরিষদ এবং পরিষদ প্রাঙ্গনে থাকা জমিতে ভারত সরকারের দেওয়া উপহারের দেড় কোটি টাকা মূল্যের বিশুদ্ধ পানির পাম্প ভেঙে পৌরমার্কেট নির্মান করছে পৌর কর্তৃপক্ষ। এক কোটি টাকা মূল্যের ৭ শতাংশ জমি এক্ষেত্রে ওয়ারিশদের কাছ থেকে ওই জমি অধিগ্রহন করা হয় নাই। এমনকি পানির পাম্পটি ভেঙে ফেলায় বিশুদ্ধ পানি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে কয়েক হাজার পৌরবাসী।
এ ঘটনায় জাকির ভান্ডারিয়া সহকারী জজ আদালতে এ বছরের এপ্রিল মাসে ভান্ডারিয়া পৌর প্রশাসক/মেয়র এবং সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করে একটি স্বত্ব আদায়ের মামলা দায়ের করে। পরবর্তীতে দায়রা জজ পিরোজপুর মামলার বিবাদীদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন। এরপর জাকির উচ্চ আদালতের স্মরণাপন্ন হলে, সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট ডিভিশন থেকে গত ১৭ অক্টোবর ওই জমির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। এ মর্মে মার্কেট নির্মানস্থলে একটি সাইনবোর্ডও টাঙানো হয়েছে। এরপরও আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে পৌরকর্তৃপক্ষ মার্কেট নির্মান কাজ অব্যহত রেখেছে। তাই সংবাদ সম্মেলনে নিজের পৈত্রিক সম্পত্তি রক্ষায় স্থানীয় প্রশাসনের সার্বিক সহযোগীতা কামনা করেছেন জাকির।
ভান্ডারিয়া পৌরসভার প্রশাসক খসরু জমাদ্দার কে এ বিষয়ে জানতে একাধিকবার মোবাইল ফোনে কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেনি।
পিরোজপুর প্রতিনিধি