শাহাদাত হোসেন, রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:
চট্টগ্রামের রাউজানে প্রবাসীর বাড়িতে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনায় ৮ জন ডাকাত-স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৭।সোমবার (২১ নভেম্বর) রাউজান থানার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৪৬ ভরি ,স্বর্ণালঙ্কার কয়েন ও সোনা বিক্রির নগদ ৩০ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।গ্রেপ্তাররা হলেন- মুসা, সাইদুল ইসলাম প্রকাশ সাইফুল, খোরশেদুল আলম, সাজ্জাদ হোসেন, মো. বাপ্পি, সজল শীল, মো. ইদ্রিস প্রকাশ কাজল ও বিপ্লব চন্দ্র সাহা।
মঙ্গলবার র্যাব-৭ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নুরুল আবছার।তিনি বলেন গত ২৭ অক্টোবর রাউজান পৌর ৭নং ওয়ার্ডের ছত্রপাড়া হাজী মোহাম্মদ আলী চৌধুরীর বাড়ির প্রবাসী মোহাম্মদ সরোয়ার চৌধুরী দুবাই থেকে দেশে আসেন। পরদিন ২৮ অক্টোবর রাতে তাঁর বাড়ির আধা কিলোমিটার দূরে তিনি স্ব-পরিবারে নিয়ে তাঁর মামার বিয়ের অনুষ্ঠানে যান। ঘরে রেখে যান তার বয়স্ক বাবাকে। এই সুযোগে গভীর রাতে ডাকাত দলরা তার লোহার গ্রিল কেটে ঘরে প্রবেশ করে। ভিতরে ঢুকেই তার বাবার মুখ চেপে ধরে হাত-পা বেঁধে চেপে ধরে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। পরে আলমারিতে থাকা ৭০ ভরি স্বর্ণালঙ্কার, নগদ ৫ লাখ টাকা ও ৫টি মোবাইল ও একটি ট্যাব নিয়ে যায়। ভোর ৪টা পর্যন্ত তারা ওই বাড়িতে ডাকাতি করে। এ ঘটনায় গত ৯ নভেম্বর সরোয়ার চৌধুরী রাউজান থানায় মামলা দায়ের করেন। এছাড়া তিনি আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য র্যাবের কাছেও লিখিত আবদেন করেন।তিনি আরও বলেন, তার আবেদনের পর এ ঘটনায় র্যাব অভিযান শুরু করে। গতকাল সোমবার বিকেলে রাউজানের দক্ষিণ গহিরা সিবের ঘাট এলাকার একটি বাসা থেকে ডাকাতির মূলহোতা মুসাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে ডাকাতি করা স্বর্ণালঙ্কার বিক্রির টাকাসহ মোট ৬ লাখ ৯৯ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যমতে- গহিরার উত্তর-পূর্ব কোতোয়ালী ঘোনা দলই এলাকার একটি বাড়ি থেকে সাইদুল ইসলাম প্রকাশ সাইফুলকে গ্রেপ্তার করা হয়। ফের তাদের দুইজনের দেওয়া তথ্যমতে- আরও ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ডাকাতি কাজে গ্রিল কাটার, ছোরা, টর্চ লাইটসহ ৪৬ ভরি স্বর্ণালঙ্কার, কয়েন এবং ডাকাতি হওয়া স্বর্ণ বিক্রির ৩০ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়। এছাড়া ডাকাতির মালামাল গ্রহণকারী স্বর্ণ ব্যবসায়ী বিপ্লব চন্দ্র সাহাকে তার দোকান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার আসামিরা ডাকাতরি ঘটনার কথা স্বীকার করে। তাদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য রাউজান থানায় হস্তান্তর করা হয়।