নিউজ ডেস্কঃ
আওয়ামী লীগের অন্যতম সহযোগী সংগঠন মহিলা আওয়ামী লীগের ষষ্ঠ জাতীয় সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জেলা-উপজেলা পর্যায়ে কর্মজীবী মহিলা হোস্টেল তৈরি করা হবে। তিনি বলেন, প্রতিটি ক্ষেত্রে নারীদের জন্য বিশেষ বরাদ্দ আছে। প্রতিটি পরিবারে পুরুষের পাশাপাশি নারীদের হিসেব করেই ঘর দেওয়া হয়েছে। নারীরা সব ক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছে।
শনিবার (২৬ নভেম্বর) বিকেলে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রধান অতিথি বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বিএনপির সঙ্গে সংলাপের সম্ভাবনা প্রকারান্তরে নাকচ করে দিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, অনেকে বলেন ডায়ালগ করতে হবে। আলোচনা করতে হবে। কাদের সঙ্গে? ওই বিএনপি, খালেদা জিয়া-তারেক জিয়া? সাজাপ্রাপ্ত আসামি। যারা গ্রেনেড হামলা করে আমাকে হত্যার চেষ্টা করেছে। এখন ওই দুর্নীতিবাজ-সাজাপ্রাপ্ত, এতিমের অর্থ আত্মসাতিকারী, আর অর্থ ও অস্ত্র পাচারকারী, গ্রেনেড হামলাকারী, আইভি রহমানের হত্যাকারী। আর জিয়াউর রহমান ছিল আমার বাবার হত্যাকারী। আর এদের সঙ্গে ডায়ালগ করতে হবে! আলোচনা করতে হবে! আবার মানবাধিকারের কথাও বলেন। এটা কেমন ধরনের কথা-জিজ্ঞাসা করি।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়া বক্তৃতা দিয়েছিল-শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী তো দূরের কথা বিরোধী দলীয় নেতাও কখনও হবে না। আওয়ামী লীগ একশ বছরেও ক্ষমতায় যাবে না। আল্লাহ এ ধরনের গর্ভভরা কথা পছন্দ করেন না। আর বাংলাদেশের মানুষ তো একেবারেই পছন্দ করে না। এজন্য খালেদা জিয়ার মুখের কথা তার বেলায়ই লেগে গেছে।
এর আগে সকাল থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে নেতা-কর্মীরা সম্মেলনস্থলে সমবেত হন। নারী নেত্রীদের ব্যানার, প্ল্যাকার্ড ও ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও আশপাশের এলাকা।
উদ্বোধনী অধিবেশন শেষে কাউন্সিল অধিবেশনে সংগঠনের শীর্ষ দুই নেত্রী নির্বাচন করা হবে। কাউন্সিলররা নেতৃত্ব নির্বাচনের ক্ষমতা আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার ওপর অর্পণ করবেন। একইসঙ্গে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের কমিটিও ঘোষণা করা হতে পারে।
মহিলা আওয়ামী লীগ ১৯৬৯ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি প্রতিষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশের রাজনীতির ক্ষেত্রে নারীদের সবচেয়ে বড় সংগঠন মহিলা আওয়ামী লীগ। এই সংগঠনে এবার যারা নেতৃত্বে আসবেন, তাদের আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকালীন পরিস্থিতি সামলাতে হবে। নিজেদের যোগ্য প্রমাণে মরিয়া মহিলা নেত্রীরা।
ভোরের কাগজ