শাহাদাত হোসেন, রাউজান প্রতিনিধি:
বাংলাদেশে বৈধ চ্যানেলে সর্বাধিক বৈদেশিক মুদ্রা প্রেরণকারী’ হিসেবে ৭ম বারের মতো-সিআইপি নির্বাচিত হয়েছেন চট্টগ্রাম সমিতি ওমানের সভাপতি মোহাম্মদ ইয়াছিন চৌধুরী। তিনি বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় গতকাল আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবসে রাজধানী ওসমানী মিলানায়তে এক অনুষ্ঠানে তার হাতে সনদ ও সম্মাননা স্মারক তুলে দেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মস্থান মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ইমরান আহমদ।জানা যায়, ২০১১ সালে প্রথমবার এই সম্মাননা পান। এরপর ২০১৫ ,২০১৬ সাল থেকে টানা সাতবার পেলেন এই সম্মাননা। এবার প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় ২০২০ সালে সর্বাধিক বৈদেশিক মুদ্রা প্রেরণকারী ক্যাটাগরিতে তাঁকে সম্মাননা দিয়েছে।মোহাম্মদ ইয়াছিন চৌধুরী ১৯৯৫ সালে স্নাতক পাস করে ২১ বছর বয়সে শ্রমিক ভিসা নিয়ে পাড়ি জমান মধ্যপ্রাচ্যের ওমানে।সেখানে তিনি আসবাবের দোকানে বাংলাদেশি মুদ্রায় ১০ হাজার টাকা বেতনের চাকরি করতে।তিনি চাকরিতে আটকে থাকতে চাননি।সেখানে তিনি কঠোর পরিশ্রম করে ধীরে ধীরে গড়ে তোলেন নিজের আসবাবশিল্পের প্রতিষ্ঠান।দুই বছরে আসবাবের ব্যবসায় সফলতা পাওয়ার পর আল কামেল এন্টারপ্রাইজ’ নামের একটি প্রতিষ্ঠান খুলে হিমায়িত মাছের ব্যবসা।হিমায়িত মাছের ব্যবসায়ও সফল হয়েছেন তিনি।তাঁর এসব প্রতিষ্ঠানে দুইশ’রও বেশি বাংলাদেশি শ্রমিক কাজ করছে।চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার চিকদাইর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের দক্ষিন সর্তা গ্রামের আলম শাহ্ চৌধুরী বাড়ীর মোহাম্মদ মুছা চৌধুরী ও খুরশীদা বেগমের ৪র্থ সন্তান ইয়াছিন চৌধুরী।তাঁর পাঁচ ভাই ও দুই বোন। ইয়াছিন চৌধুরী এক মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান। তাঁর বাবাও ছিলেন প্রবাসী। বিদেশ থেকে ফিরে তিনি এলাকায় ছোট একটি মুদির দোকান দেন। তাতেই চলতো সংসার। তিনি ২১ বছর বয়সে ওমানে গিয়ে দুই বছরের মধ্যে নিজেকে সফল ব্যবসায়ী হিসাবে গড়ে তোলেন। বর্তমান ইয়াছিন চৌধুরী একজন সফল উদ্যোক্তা।শুধু একজন সফল উদ্যোক্তাই নন, দেশে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স পাঠানো ব্যক্তিদের মধ্যে তিনিও একজন। ইয়াছিন চৌধুরী জানান, মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ওমানজুড়ে রয়েছে তাঁর আসবাবের ১২টি শোরুম। পাশাপাশি হিমায়িত মাছের ব্যবসায়ও রয়েছে।তাঁর প্রতিষ্ঠানে ২শ’রও বেশি বাংলাদেশি শ্রমিক কাজ করে।৭ম বারের মতো প্রাবসী সিআইপি হওয়ার অনুভূতি জানাতে চাইলে ইয়াছিন চৌধুরী বলেন, আমি প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছি কঠোর পরিশ্রম আর সততা দিয়ে প্রবাসে একজন সাধারণ শ্রমিকও মালিক হতে পারেন, রাষ্ট্রীয় সম্মান অর্জন করতে পারেন। তাই সরকার দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ এই সম্মাননা দেয়।