শাহাদাত হোসেন সাজ্জাদ রাউজান(চট্টগ্রাম)প্রতিনিধি॥
রাউজানের ১৪টি ইউনিয়ন পৌরসভার বিভিন্ন এলাকার ফসলি জমিতে বোরো ধানের চাষাবাদ শুরু করছেন কৃষক কৃষাণিরা। ইতোমধ্যে কৃষকরা জমিতে হাল চাষ ও পানি সেচ দিয়ে তৈরিকৃত জমিতে বীজতলা থেকে চারা উঠিয়ে জমিতে রোপণে ব্যস্তসময় পাড় করছে। সরজমিনে দেখা গেছে, এই উপজেলার হলদিয়া, ডাবুয়া, চিকদাইর,গহিরা, নোয়াজিশপুর, বিনাজুরী, কদলপুর, রাউজান, পূর্বগুজরা, পশ্চিমগুজরা, উরকিরচর, নোয়াপাড়া, বাগোয়ান, পাহাড়তলী ইউনিয়ন, রাউজান পৌর এলাকার আলী খীল, ওয়াহেদার খীল, ঢালারমুখ, পূর্ব রাউজান, পশ্চিম রাউজান, ঢেউয়া পাড়া, হাজীপাড়া, সাপলঙ্গা, গণি হাজীপাড়া, দলিলাবাদ, ছত্রপাড়া, ছিটিয়া পাড়া, সুলতানপুর কাজীপাড়া, পশ্চিম সুলতানপুর, মোবারক খীল, দক্ষিণ গহিরা, পূর্ব গহিরা, পশ্চিম গহিরা এলাকার ফসলি জমিতে সেচের পানি দিয়ে এলাকার কৃষকেরা বোরো ধানের চাষাবাদ শুরু করেছে।কৃষকরা বলেছেন এবার প্রতিটি ইউনিয়নে বোরো চাষাবাদের জন্য সেচ সুবিধা নিশ্চিত করায় বোরো চাষে আগ্রহী বেড়েছে।
একসময় কৃষকরা গরু-মহিষের মাধ্যমে জমিতে লাঙল-জোয়াল আর ‘হালের বলদ’ দিয়ে চাষাবাদ করতো। বর্তমানে প্রযুক্তির ছোঁয়ায় বদলে দিয়েছে কৃষি খাতকে।যে নাঙ্গল-জোয়াল আর ‘হালের বলদ’ ছিল কৃষকদের চাষাবাদের প্রধান উপকরণ। কালের পরিবর্তনে হারিয়ে গেছে এসব উপকরণ।এখন কৃষিতে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে চাষাবাদ করা হচ্ছে।নাঙ্গল-‘হালের বলদ পরিবর্তে কৃষিতে ব্যবহার হচ্ছে‘কলের নাঙল’ ট্রাক্টর।এই আধুনিক প্রযুক্তি ছোঁয়ায় যেমন কৃষদের সময়, শ্রম ও অর্থ সাশ্রয় হচ্ছে, তেমনি ফসলের উৎপাদনও বেড়েছে। হলদিয়া পাহাড়পাদদেশে থাকা শত শত একর জমিতে এখন উৎসবমুখর পরিবেশে জমিতে বোরো চারা লাগাতে দেখা গেছে সমতল-পাহাড়ি উপজাতি নারী পুরুষরা। একাজে নিয়োজিতদের মধ্যে কেউ বীজতলা থেকে বীজ উঠাচ্ছে, আবার কেউ কেউ চারা লাগাচ্ছে। বীজতলায় চারা উঠানোর কাজে নিয়োজিত উপজাতি নারীরা জানান, তারা স্বতঃস্ফুত ভাবে জোটবদ্ধ হয়ে মাঠে কৃষিকাজ করেন। একে অপরের জমিতে কাজ করেন বিনা পারিশ্রমিকে। আবার কোনো উপজেলা নারী কামলা হিসাবে কৃষিকাজে নিয়োজিত আছেন। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইমরান হোসেন বলেছেন এবার কৃষকদের সব সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করে দিয়েছেন এলাকার সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী। একারণে বোরো চাষে কৃষকরা তুলনামূলক আগেই চাষাবাদে নেমেছে। জানা যায় রাউজানে এবার বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্র ছয় হাজার দুইশ হেক্টর। এর মধ্যে হাইব্রিড ১২ শত হেক্টার. উফশি পাঁচ হাজার হেক্টর। এখন পর্যন্ত অর্জিত হয়েছে এক হাজার ৫০ হেক্টার হাইব্রিড ও উফশি ৪শ হেক্টর। তিনি আশা করছেন এবার ৪৪৫ হেক্টর পতিত জমি বোরো চাষের আওতায় আসবে।