মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ময়মনসিংহের ত্রিশালের মোখলেসুর রহমান মুকুলসহ (৬৫) পলাতক ছয় আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
মৃত্যুদণ্ড পাওয়া অন্য আসামিরা হলেন- মো. সাইদুর রহমান রতন (৫৬), সামসুল হক বাচ্চু (৭০), শামছুল হক ফকির (৭৫), নুরুল হক ফকির (৭০), সুলতান ফকির ওরফে সুলতান মাহমুদ (৫৮), এবিএম মুফাজ্জল হুসাইন (৭০) ও নকিব হোসেন আদিল সরকার (৬৫)।
সোমবার (২৩ জানুয়ারি) ট্রাইব্যুনাল চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামসহ তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এ রায় ঘোষণা করেন।
প্রসিকিউটর সুলতান মাহমুদ সিমন জানান, আটক, অপহরণ, নির্যাতন, হত্যাসহ ছয়টি অভিযোগে আসামিদের বিরুদ্ধে রায় হয়। রায়ে পলাতকদের দ্রুত গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেয় ট্রাইব্যুনাল। তিনটি অভিযোগে তিনজনকে হত্যার অভিযোগে তাদের মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়। বাকি তিন অভিযোগে সাত বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। প্রথম অভিযোগে ত্রিশালের মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হামিদকে হত্যার অভিযোগে ছযজনকেই মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। বিচার শুরুতে এ মামলায় মোট নয় আসামি ছিলো। পরে কারাগারে তিন আসামি মারা যায়। বিচার শুরুর পর থেকেই ছয় আসামি পলাতক।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ১৯৭১ সালের জুন-জুলাইয়ে ত্রিশালের আহমেদাবাদে একটি বিদ্যালয়ে ক্যাম্প স্থাপন করে শান্তি ও রাজাকার বাহিনী। ওই সময় কাকচর গ্রামের ইউনুছ আলী বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নদী পারাপার করতেন। এ কারণে ইউনুছ আলীকে ধরে ক্যাম্পে নিয়ে যান ২০-২৫ জন। নির্যাতনের পর ৭১ সালের ১৫ আগস্ট সকালে তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এছাড়া ওই রাজাকার বাহিনীর সদস্যরা মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে এলাকায় লুটপাট ও ধর্ষণের মতো অপরাধ করে।
২০১৫ সালের ২৮ ডিসেম্বর ময়মনসিংহের বিচারিক আদালতে মামলাটি করেন মুক্তিযুদ্ধে শহীদ ইউনুছ আলীর ছেলে রুহুল আমিন। পরে ওইদিনই দুপুরে বিচারক আবেদা সুলতানা মামলাটি আমলে নিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে পাঠানোর আদেশ দেন।
এস.এম রুবেল আকন্দ,
ত্রিশাল, ময়মনসিংহ।
০১৭৫২৮২৫৩২৩