কাতার থেকে ইউসুফ পাটোয়ারী লিংকনঃ
কাতারে যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাব গাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২০২৩ পালন করেছে।
দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশ দূতাবাস প্রাঙ্গন ও বাংলাদেশ এমএইচএম স্কুল ও কলেজের মিলনাতয়নে দূতাবাসের কর্মকর্তা/কর্মচারী,
বাংলাদেশ কমিউনিটির সদস্য, স্কুলের পরিচালক, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে দূতাবাস কর্তৃক বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালা আয়োজনের মাধ্যমে
দিবসটি পালিত হয়েছে। রাষ্ট্রদূত কর্তৃক আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করার মাধ্যমে অনুষ্ঠানের কার্যক্রম শুরু করা হয়। অতঃপর
পবিত্র কুরআন থেকে তেলাওয়াত এবং বঙ্গবন্ধু ও ভাষা শহিদসহ মুক্তিযুদ্ধে সকল শহিদের আত্মার মাগফেরাত এবং দেশ ও জাতির
মঙ্গল কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। ভাষা শহিদগণের স্মরণে এক মিনিট নীরবতাও পালন করা হয়। দিবসটি উপলক্ষে মহামান্য
রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মাননীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও মাননীয় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ করে শোনানো হয়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
কর্তৃক প্রেরিত ভাষা আন্দোলনের উপর একটি ভিডিও চিত্র প্রদর্শন করা হয়। এ ছাড়াও দিবসটি উপলক্ষে আলোচনা সভা, রচনা প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে রচনা প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদেরকে সনদপত্র ও পুরস্কার প্রদান করা হয়।
অমর একুশে আলোচনায় কাতারে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত জনাব মোঃ নজরুল ইসলাম বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনে শহিদদের প্রতি
গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে বলেন যে, ভাষা আন্দোলনের পথ ধরে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের সূচনা হয়, যার ফলে ১৯৭১ সালে জাতির
পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করে। রাষ্ট্রদূত মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় প্রবাসীদের অবদান রাখার আহ্বান জানিয়ে বলেন, এ অবদানের মধ্য দিয়ে ভাষা শহিদ এবং স্বাধীনতার সূর্য সন্তানদের আত্মত্যাগের প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করা সম্ভব হবে। তিনি ভাষা আন্দোলনে আত্মত্যাগকারী সকল শহিদকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে সর্বস্তরে
বাংলা ভাষার ব্যবহার নিশ্চিত করা এবং আমাদের মাতৃভাষা ও সংস্কৃতি সংরক্ষণ ও তাকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরতে সবাইকে আহ্বান জানান। এ ছাড়াও রাষ্ট্রদূত মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক গৃহীত বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের
সোনার বাংলা গড়ে তুলতে সকলকে যার যার অবস্থান থেকে সহযোগিতার জন্য আহ্বান জানান।
উল্লেখ্য, সকালে দোহাস্থ বাংলাদেশ এমএইচএম স্কুল ও কলেজে রাষ্ট্রদূত জনাব মোঃ নজরুল ইসলাম জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করে
সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন। এ সময় দূতাবাসের কর্মকর্তা/কর্মচারী, বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ বাংলাদেশ কমিউনিটির সদস্য, বাংলাদেশ এমএইচএম স্কুল ও কলেজের পরিচালক, শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও শিক্ষার্থীদের অভিভাবকগণ উপস্থিত ছিলেন।