প্রতিনিধি ঠাকুরগাঁও: বাংলাদেশের জনগণ হচ্ছে আওয়ামী লীগের একদিনের পাগড়ি। বিয়ের দিন বর এর মাথায় যেভাবে পাগলী (টুপি) পড়িয়ে দেওয়া হয়, পরে আবার সেটাকে মাথা থেকে খুলে রেখে দেওয়া হয়। ঠিক আওয়ামী লীগ ও নির্বাচনের আগে দিন জনগনকে ব্যবহার করে পরে আবার ছুড়ে ফেলে দেয় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সোমবার (১৩ মার্চ) বিকেলে ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্ট ঠাকুরগাঁও জেলা শাখার উদ্যোগে সদস্য সংগ্রহ অভিযান ও যোগদান অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, সাধারণ মানুষের চলা খুবই কঠিন হয়ে পড়েছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা এমন একটি দেশে বাস করি। যে দেশে টাকা ছাড়া চাকরি হয় না। একটা পিয়নের চাকুরীর জন্য ১৫ লাখ টাকা লাগে। ঝাড়ুদার এর জন্য ৫ লাখ। এই যদি হয় দেশের অবস্থা তাহলে দেশের কাছে আমাদের মূল্যটা কি? ১৯৭১ সালে যে দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে, যে চেতনা নিয়ে যুদ্ধ করেছিলাম হিন্দি, মুসলমান, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান একসাথে বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য।
আমরা চেয়েছিলাম সাম্যের বাংলাদেশ, ন্যায়বিচারের ভিত্তিতে বাংলাদেশ, মানবিক মর্যাদার বাংলাদেশ। বুঝিনি কে হিন্দু, কে মুসলমান, কে খ্রিস্টান সবাইকে তার মর্যাদা দিতে হবে ন্যায় বিচার পেতে হবে সাম্যের ভিত্তিতে চলতে দিতে হবে।
তিনি আরো বলেন, দেশের হিন্দু সম্প্রদায়েরা ভালো নেই। তাদের জমি দখল করে নেওয়া হচ্ছে। মন্দিরে হামলা চালানো হচ্ছে। তারা কোন বিচার পায় না। আমরা হিন্দু, বৌদ্ধ, মুসলিম, খ্রিস্টান বুঝিনা। আমরা বুঝি সকলেই আমরা মানুষ। দেশের হিন্দু সম্প্রাদায়ের মানুষেরা আজ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। তারা ন্যায় বিচার পায় না।
বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের
জেলা শাখার সভাপতি মনোরঞ্জন সিং এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব এসএন তরুণ দে, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মিল্টন বৈদ্য,
জেলা বিএনপির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা তৈমুর রহমান, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক পয়গাম আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, জেলা মহিলা দলের সভানেত্রী ফোরাতুন নাহার প্যারিস,
ফ্রন্টের রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও ঠাকুরগাঁও জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক সত্যজিৎ কুমার কুন্ডু, জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক ও পীরগঞ্জ উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সুকুমার রায় সহ অন্যান্যরা।
অনুষ্ঠানের শুরুতে যোগদান কৃতদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেয়া হয়।
অনুষ্ঠান শেষে ঠাকুরগাঁও জেলার বিভিন্ন উপজেলার প্রায় ৪২০ জন হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন বিএনপিতে যোগদান করেন।