তানোর প্রতিনিধি: রাজশাহীর তানোরের আলোচিত উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল্লাহ আহম্মেদ এবার কীটনাশক ব্যবসায়ীদের তোপের মুখে পড়েছেন। জানা গেছে,গত ২৮ মার্চ মঙ্গলবার উপজেলা কৃষি অফিস মিলনায়তনে উপজেলা কৃষি বিভাগের উদ্যোগে কীটনাশক ব্যবসায়ীদের মতবিনিময় সভা আয়োজন করা হয়। এদিন উপজেলা উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা মোস্তফা কামালের সঞ্চালনায় ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল্লাহ আহম্মেদের সভাপতিত্বে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন রাজশাহী উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মাজদার হোসেন। এ সময় তিনি কীটনাশক ব্যবসায়ীদের কাছে জানতে চান এক বিঘা জমিতে কোন ফসলে কি পরিমাণ সার ও কীটনাশক ব্যবহার করতে হবে। কিন্তু কোনো কীটনাশক ব্যবসায়ী সঠিক তথ্য দিতে না পারায় তিনি বিম্ময়ে হতবাক। তিনি কীটনাশক ব্যবসায়ীদের কাছে প্রশ্ন রাখেন তাহলে তারা কৃষককে কি পরামর্শ দেন। এ সময় কীটনাশক ব্যবসায়ীরা কৃষি কর্মকর্তার দিকে অভিযোগের আঙ্গুল তুলে তীব্র সমালোচনা ও বদলীর দাবি করে বলেন, এই কর্মকর্তা এখানে আশার পর তারা কোনো পরামর্শ তো দুরের কথা কৃষি কর্মকর্তাকে কোনদিন মাঠে দেখেননি। কারণ কৃষি কর্মকর্তা নিজেই অফিস সময় মানেন না। স্টেশনে তার অবস্থান বাধ্যতামুলক হলেও তিনি সরকারি গাড়ি ব্যবহার করে রাজশাহী শহর থেকে যাতায়াত করেন। এতে তার অফিসে আসতেই পথে এক ঘন্টা সময় অতিবাহিত হয়ে যায়। অথচ সরকারি নিয়মানুযায়ী প্রত্যেক দপ্তর প্রধানকে সকাল ৯ টায় উপস্থিত হয়ে এক ঘন্টা দপ্তরে উপস্থিত থাকার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।এছাড়াও তার স্ত্রী দেবীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রায় দেড় বছর যাবত নিয়মিত উপস্থিত না হয়ে বাড়িতে বসে বেতনভাতা উত্তোলন করে আসছেন। এদিকে প্রধান অতিথি কীটনাশক ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে বলেন,অধিকাংশসময় আপনাদের কথার উপর নির্ভর করে কৃষক জমিতে কীটনাশক ও সার ব্যবহার করে থাকেন। তিনি বলেন,মাত্রারিক্ত কীটনাশক ও সার ব্যবহার বন্ধ করতে হবে কোনো অবস্থাতেই প্রয়োজনের অতিরিক্ত সার কীটনাশক
ব্যবহার করা যাবে না। তিনি আরো বলেন, তানোর উপজেলায় জমি পরীক্ষা করে দেখা গেছে,আলু রোপণের আগে প্রতি শতক জমিতে ৫ কেজি করে চুন ব্যবহার করতে হবে। তার জন্য ব্যবসায়ী কোম্পানিরর রিটেলারদের সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে, কোনো ভাবেই ভেজাল কীটনাশক ব্যবহার করা যাবে না।কারণ দিনের দিন কৃষি জমি কমছে, কিন্তু চাষাবাদ বাড়ছে, এজন্য জমির উর্বরতা কোনভাবেই নষ্ট করা যাবে না, বিশেষ করে মঠ কর্মীদের আরো সতর্ক থাকতে হবে। কারণ কৃষক উৎপাদন করছে বলেই দেশ টিকে আছে, পা ফাটা কৃষকেরাই আমাদের মুল চালিকা শক্তি সুতরাং সার্বক্ষণিক তাদের পাশে থেকে কৃৃষি পরামর্শ দিতেে হবে। এবিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল্লাহ আহম্মেদ বলেন, এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি, এটা একটা অপপ্রচার।