নিউজ ডেস্ক:
শক্তি বাড়িয়ে চলছে ঘূর্ণিঝড় মোকা। ‘সুপার সাইক্লোন’ মোকার আঘাতের ঝুঁকির মুখে রোহিঙ্গা ক্যাম্পসহ কক্সবাজার অঞ্চল। ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ২২০ কিলোমিটার বেগে আগামী রবিবার সকাল থেকে সোমবার সকালের মধ্যে ২৪ ঘণ্টা ধরে ‘মোকা’র তাণ্ডবরূপ দেখা যাবে। এমনটাই জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. এনামুর রহমান। ভয়ংকর ঘূর্ণিঝড় মোকা মোকাবিলায় নেয়া হচ্ছে প্রস্তুতি। সিপিপিকে (ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি) সতর্কবার্তা প্রচার করছে। উপকূলীয় জেলায় প্রস্তুত ফায়ার স্টেশন ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
ঘূর্ণিঝড়টির সম্ভাব্য গতিপথ বিশ্লেষণ করে আবহাওয়াবিদরা বলেছেন, আজ বৃহস্পতিবার ‘প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে’ রূপ নিচ্ছে ‘মোকা’। তাণ্ডব চালাবে কক্সবাজার ও মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে। রবিবার থেকে টেকনাফ ও সেন্টমার্টিন এলাকাজুড়ে আঘাতের আশঙ্কা থাকলেও গত শনিবার থেকে ‘প্রবল ঘূর্ণিঝড়’ ধীরে ধীরে শক্তি ক্ষয় করতে শুরু করবে বলেও সুখবর দিয়েছে সংশ্লিষ্টরা।
যা বলছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী : সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় ‘মোকা’র মোকাবিলার প্রস্তুতি নিয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস ও প্রস্তুতি নিয়ে গতকাল বুধবার সচিবালয়ে প্রেস ব্রিফিং করেন প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান। ‘মোকা’ সুপার সাইক্লোনে রূপ নিতে পারে, এমন আশঙ্কার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, আগামী রবিবার বাংলাদেশের কক্সবাজার উপকূল অতিক্রম করতে পারে। সুস্পষ্ট লঘুচাপটি বৃহস্পতিবার মধ্যে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। ১৩ মে সন্ধ্যা থেকে ১৪ মে সকালের মধ্যে এটা আঘাত হানার পূর্বাভাস পাওয়া গেছে।
ভোরের কাগজ