নিউজ ডেস্ক:
মোখা এর প্রভাবে সেন্টমার্টিনে ব্যাপক ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। জাপানের কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহ থেকে প্রাপ্ত চিত্রে ভারি বৃষ্টি শুরু হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে।
এদিকে, কুতুবদিয়ায় দমকা বাতাস শুরু হলেও বৃষ্টি নেই বলে জানা যায়।
শনিবার (১৩ মে) দিবাগত রাত তিনটা ৩২ মিনিটে কক্সবাজারের সেন্টমার্টিন দ্বীপে শক্তিশালী ঘুর্ণিঝড় মোকার আগ্রভাগ আঘাত হানার কথা জানিয়েছেন সাচকাচোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ু বিষয়ক গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ।
তিনি বলেন, কক্সবাজারের সেন্টমার্টিন, মহেশখালী, কুতুবদিয়া, টেকনাফের ওপর দিয়ে ঘূর্ণিঝড়টি যাবে। পুরো ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশের ওপর দিয়ে যাবে। আমি গত ২৪ ঘণ্টায় বারবার বলছি পুরো ঘূর্ণিঝড় সেন্টমার্টিন ও কক্সবাজরের ওপর দিয়ে যাবে।
আজ রাত দুইটা ১৭ মিনিটে তিনি জানান, ঘূর্ণিঝড় মোকার অগ্রবর্তী অংশ সেন্টমার্টিন দ্বীপের পৌঁছে গেছে।
সেন্টমার্টিন দ্বীপ থেকে সংবাদ পাওয়া গেছে, সেখানে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। জাপানের কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহ থেকে প্রাপ্ত চিত্রেও এ প্রমাণ মিলেছে। পরবর্তীতে হালকা বৃষ্টি ও দমকা হাওয়ার পরে বৃষ্টি থেমে গেছে।
শনিবার (১৩ মে) আবহাওয়া অধিদপ্তরের রাত নয়টার বিশেষ বুলেটিনে জানানো হয়, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৮০ কিলোমিটার যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ২০০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এদিকে, অতি ভারী বৃষ্টির হতে পারে কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রামের পাহাড়ি অঞ্চলে। এর প্রভাবে পার্বত্য চট্টগ্রামে ভূমি ধ্বস আশঙ্কা করা হচ্ছে।
রাত নয়টায় দেয়া আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বুলেটিনে বলা হয়, আজ (রবিবার) মধ্যরাত নাগাদ চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগের উপকূলীয় এলাকায় অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের অগ্রভাগের প্রভাব শুরু হতে পারে। অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটার এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৮০ কিলোমিটার যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ২০০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ রয়েছে।
ভোরের কাগজ