বাঁচতে চায় মেধাবী শিক্ষার্থী রিনা

মেহেদী হাসান,ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:
হতদরিদ্র পরিবারের মেধাবী শিক্ষার্থী রিনা আক্তার (২৫) । স্বপ্ন ছিল পড়ালেখা শেষ করে ব্যাংকার হওয়ার। চাকরি করে দরিদ্র বাবা-মায়ের অভাবের সংসারে দুঃখ ঘোচানো। ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস,হঠাৎ মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণে ( স্ট্রোক) পক্ষঘাতগ্রস্ত হয়ে তিনি এখন শয্যাশায়ী। বিছানায় শুয়ে শুয়ে তার দিন-রাত কাটে,ফেলছেন শুধুই অশ্রু।
রিনা আক্তার দিনাজপুরের ফুলবাড়ী পৌর এলাকার গৌরীপাড়া (থানাপাড়া) গ্রামের দিনমজুর রফিকুল ইসলামের দ্বিতীয় কন্যা। ২০১৯ সালে সে স্ট্রোক করে।সেসময় রংপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফেরেন। পরে তার পায়ে ঘা দেখা দেয়। ওই ঘা ধীরে ধীরে পুরো পায়ে ছড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে তার কোমর থেকে দুই পা প্যারালাইসড হয়ে যায়। ২০২১ সালে হুইলচেয়ারে বসেই উচ্চ মাধ্যমিক (এইচএসসি) পরীক্ষা দিয়ে উত্তিন্ন হন, ফল ৩ দশমিক ৮৮। দীর্ঘদিন শয্যাশায়ী থাকতে থাকতে রিনা আক্তারের শরীরের পেছনে এক পাশে ঘা দেখা দেয়। ওই ঘা এখন শরীরে ছড়িয়ে পড়ছে।
জানাগেছে,রিনা আক্তারের বাবা রফিকুল ইসলাম মেয়ের চিকিৎসার জন্য প্রতিবেশীদের সহযোগিতাসহ সরকারি কিছু অনুদান পেয়েছেন,তা দিয়েও চিকিৎসা খরচ মেটানো শেষ হয়নি। এরপর বারোকোনা গ্রামে থাকা তার বাড়িটি বিক্রি করে ওই টাকা নিয়ে ভারতের ভেলরে ক্রিশ্চিয়ান মেডিকেল কলেজ (সিএমসি) হাসপাতালে চিকিৎসা করান। সেখানকার চিকিৎসক জানায়, ভুল চিকিৎসার কারণে রিনা আক্তারের স্পাইনাল কর্ডের নার্ভে সমস্যা হয়েছে। ছয় মাস পর (জুন, ২০২৩) আবারও রিনাকে চিকিৎসার জন্য সেখানে যেতে বলেছেন চিকিৎসকরা। স্পাইনাল কর্ডের নার্ভের অপারেশনের জন্য এখন প্রয়োজন চার লাখ টাকা।
রিনার বাবা রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমি একজন দিনমজুর। আমার পক্ষে মেয়ের চিকিৎসার ব্যয় বহন করা কঠিন হয়ে পড়েছে। ইতঃপূর্বে প্রতিবেশীসহ সরকারি সহায়তা নিয়ে ভারতে চিকিৎসা করিয়েছি। এখন তো ভারতে নিয়ে যাওয়া দূরের কথা, ওষুধ কেনার সামর্থ্যও নেই আমার।তাই মেয়েকে বাঁচাতে প্রধানমন্ত্রীসহ দেশের বিত্তবানদের কাছে আর্থিক সহযোগিতা চাই।’ সকলের কাছে আমার আকুল
আবেদন।
রিনা আক্তার বলেন, ‘গরিব বাবার পক্ষে আমার চিকিৎসা চালানো সম্ভব নয়।আমার চিকিৎসার জন্য তিনি একমাত্র সম্বল বাড়িটিও বিক্রি করেছেন । এখন আমরা মানুষের জায়গায় ঝুপড়িঘরে থাকি। আমার চিকিৎসার জন্য সকলের কাছে সহযোগিতা চাই। আমি সুস্থ হয়ে পড়ালেখা করে চাকরি করতে চাই। আমার বাবা-মার দুঃখ দূর করতে চাই।’
রিনা আক্তারের সঙ্গে যোগাযোগের মোবাইল ফোন নম্বর ০১৩১৫-৭১৩১৪০। এই নম্বরেই তাকে বিকাশ এবং নগদে সহযোগিতা পাঠানো যাবে।

প্রেরক
মেহেদী হাসান
ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
মোবাইলঃ ০১৭৭০০৭০১১১

Leave a Reply

Your email address will not be published.

আজকের দিন-তারিখ
  • শুক্রবার (সন্ধ্যা ৭:৫৩)
  • ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • ১০ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি
  • ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ (গ্রীষ্মকাল)
পুরানো সংবাদ
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০