অন্তর আহমেদ, নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি: নওগাঁয় দীর্ঘ অপেক্ষার পর রাস্তার কাজ শুরুতেই ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ। পাকা রাস্তা প্রশস্ত করণ কাজের ভরাট করা হচ্ছে, মাটির পরিবর্তে ছাই ও আঠাল মাটি (লাল মাটি)। রাস্তায় ছাই ফেলার পর গাড়ি চলাচলের সময় বাতাসে পুরো রাস্তায় ছাই উড়ছে।এতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে পথচারীদের।
তবে উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী নূর এ আলম বলছেন, রাস্তা প্রশস্তকরণে দু’পারে মাটি ব্যবহারের বিধান রয়েছে। ছাই- আঠাল মাটি, ইটের রাবিশ ব্যাবহারে রাস্তার দুপাশে তেমন কোন সমস্যা হবে না৷ এটা শুধু রাস্তা যেন ভেঙে না যায় তার জন্য দেওয়া। দু-পাশে তিন ফিট করে ছয় ফিট রাস্তা বৃদ্ধি করা হয়েছে এই মাটি গুলো রাস্তাকে সাপোর্ট দেওয়ার জন্য এতে মূল রাস্তার কোন সমস্যা হবে না বলে জানান তিনি।
জানা যায়, ৫৮ কোটি ৩৮ লক্ষ ৫১ হাজার টাকায় ৩৩কিলোমিটার রাস্তার ৪টি প্যাকেজ নওগাঁ বালু ডাঙ্গা মাতাজি মোড় থেকে বদলগাছি হয়ে নজিপুর প্রর্যন্ত। এক নং প্যাকেজ বালু ডাঙ্গা মাতাজি মোড় থেকে ছোট পাহাড়পুর বাজার ৭ কিঃ মিঃ তার মধ্যে ১ কিঃ মিঃ ৪ লেন। পাকা রাস্তা পুনঃস্থাপন ও প্রশস্তকরণের জন্য কাজ শুরু করেন মো: জামিল ইকবাল ও মো: মাহফুজ খাঁন নামে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। পাকা রাস্তার দুই ধারে প্রশস্তকরণে ছাই ও আঠাল মাটি ব্যাবহার করছেন। শিডিউলে উল্লেখ আছে দোআঁশ মাটি ব্যাবহারের কিন্তু দোআঁশ মাটি না পাওয়ার অজুহাতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা ব্যাবহার করছেন নিম্নমানের মাটি ছাই ও ইটের রাবিশ। এতে ভোগান্তিতে পড়ছে রাস্তায় চলাচলকারীরা।
রাস্তার পাশে ছাই ফেলাতে ছাই বাতাসে উঁড়ছে এতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়ে এলাকার বাসিন্দা সহ ঐ রাস্তা দিয়ে চলাচলকারী নওগাঁ-বদলগাছি-নজিপুর-জয়পুরহাটের কয়েক লাখ মানুষ।
এলাকাবাসী নাহিদুজ্জান বলেন, রাস্তার দু পার্শে প্রশস্ত করনে ভালো দোআঁশ মাটি ফেলার কথা কিন্তু পরিত্যাক্ত ছাই- আঠাল মাটি রাতে ট্রাকে করে এনে রাস্তায় ফেলা হচ্ছে। বাতাসে ছাই উড়ছে একটু বৃষ্টিতে আঠাল মাটি ভিজে পুরো রাস্তা কাদায় ভরে যাচ্ছে। কাদা ভরা ঐ রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে সমস্যায় পড়ে সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে পথচারীরা। এছাড়াও এই ছাই- আঠাল মাটি ব্যাবহার করে রাস্তা নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি, একটু ভারি বৃষ্টিতে ধুয়ে যাবে রাস্তার ছাই, আঠাল মাটি যুক্ত পাড়। এর প্রতিকার চেয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তর সহ বিভিন্ন জনপ্রতিনিধির কাছে অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পাচ্ছেন না তারা।
রাস্তার ঠিকাদারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তার সাইড ম্যানেজার আনোয়ার এর মোবাইল নাম্বার দিয়ে যোগাযোগ করতে বলেন, তাকে একাধিকবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন ধরেন নাই। তার নাম্বারে হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগ করা হলে সে কথা না বলে তার পি এ কামরুজ্জামান কে দিয়ে জাতীয় দৈনিক চিত্র পত্রিকার নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি অন্তর আহমেদ এর নাম্বার দিয়ে যোগাযোগ করতে বলেন, কামরুজ্জামান মুঠোফোনে প্রতিনিধিকে জানান, বরুণ কান্দি জেল খানার সামনে রাস্তার চার লেন কাজের সময় মাটির নিচে থেকে ছাই, আঠাল মাটি ও ইটের রাবিশ বের হয়েছে সেই ছাই, আঠাল মাটি ও রাবিশ ফালানোর যায়গা না থাকায় সেই ছাই-মাটি গুলো রাস্তার দু ধারে ফেলে ভরাটের কাজে লাগানো হয়েছে এতে কোন সমস্যা নাই।
ছাই- আঠাল মাটি পরিত্যাক্ত গভির নিচু যায়গা ভরাট কাজে ব্যবহৃত হয়। সেগুলো কেন রাস্তা দু’ ধরে প্রায় ২ কিঃ মিঃ রাস্তায় ফেলে রাস্তার দু পাশে যায়গা ভরাট করা হয়েছে এমন প্রশ্ন প্রতিবেদক করলে, সে কথার জবাবে কামরুজ্জামান বলেন, এগুলো আমি সঠিক জানি না আমার স্যার জানেন।
নির্বাহি প্রকৌশলী সওজ মো: রাশেদুল হক বলেন, মাটি দিয়ে ভরাট করার কথা আছে যদি তা না করা হয়, সোমবার পরিদর্শন করে ব্যবস্থা নিবেন বলে জানান তিনি।#