পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ছোট ভাই বড় ভাই নিয়ে কথা-কাটাকাটি করে এই শিক্ষার্থীর উপর হামলা করে বলে জানা যায়। ঘটনাটি ঘটে গত ৩ জুলাই সোমবার রাত ৯ ঘটিকায় কোড়ালিয়া ছৈয়াল বাড়ি রোর্ড এলাকায়।
আহত শিক্ষার্থী তাহসিন হোসেন ছৈয়াল এর মা মাসুমা বেগম জানান আমি চাঁদপুর জেলা আওয়ামী মহিলা যুবলীগের সভাপতি ফরিদা এর নেতৃত্বে আমি মহিলা যুবলীগ করি। আমি ফামের্সীতে ঔষুধ কেনার জন্য যাই। ওই সময় পিছনে পিছনে আমার ছেলে আসে। ঠিক ঐ সময় আমার ছেলে থেকে ছোট হৃদয়, অভি, সাহরিয়াজ বলে তাদেরকে বড় ভাই বলে ডাকতে, আমার ছেলে বলে তোমরাত আমার ছোট, এই নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়ে হৃদয়, অভি, সাহরিয়াজ আমার ছেলেকে লাটি, বেল্ট, চুরি সাবাটি দিয়ে এলোপাথাড়ি আঘাত করে মারাত্মক রক্তাক্ত জখম করে। পরে তাদের বড় ভাই রাহুল, হাবিব, লাদেন এসে আমার ছেলেকে আমাকে মারধোর করে। তারা আমার ছেলের উপর সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে তাদের উপর হামলা করে গুরুত্ব আহত করে মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে। শরীলের বিভিন্ন জায়গায় মারাত্মক জগম করেছে। আহত অবস্থায় আমার ছেলেকে হাসপাতে নিয়ে আসলে তারা বাধা প্রদান করেন। রক্তাক্ত অবস্থায় আমি ও আমার মেয়ে আমার ছেলেকে হাসপাতালে নিয়ে আসলে ডাক্তার আমার ছেলের খারাপ অবস্থা দেখে হাসপাতালে ভর্তি দেন। আমি সকলের কাছে এর বিচার চাই, এই কিশোর গ্যাংদের উৎপাত বন্ধ করা হোক, তাদের উপযুক্ত বিচার করা হোক, আমার মত যেন কোন মা আর কান্না করতে না হয়। আহত ভুক্তভোগী পরিবার এ বিষয় চাঁদপুর মডেল থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছ বলে জানাযায়।
এদিকে এই ঘটনার পরপর এলাকায় চলছে নিন্দার ঝড়। এলাবাসীর দাবি অচিরেই যদি এই কিশোর গ্যাং দের দমন করা না হয়, এই প্রজন্মের সকল সন্তারাই খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে বাঁচাতে হলে এই কিশোর গ্যাংদের দমন করা দরকার বলে মনে করেন এলাকা বাসী। এ বিষয়ে চাঁদপুর জেলা প্রশাসক পুলিশ সুপার বিষয়টি নজর দিয়ে কিশোর গ্যাংদের গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনা দরকার বলে মনে করেন এলাকাবাস।