তানোর প্রতিনিধি: রাজশাহীর তানোর উপজেলা প্রকৌশলীর দপ্তরসহ মিলনায়তনের ৩টি এসির পাইপসহ তার চুরি হয়েছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। মিলনায়তনের ২টি প্রকৌশলীর কক্ষের ১টি। গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে ঘটে তার চুরির ঘটনা। এখবর ছড়িয়ে পড়লে ক্যাম্পাসপাড়াসহ এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। তবে, এবিষয়ে এখন পর্যন্ত থানায় কোন জিডি বা মামলা হয়নি।
উপজেলা প্রকৌশলী সাইদুর রহমান চুরির ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এর আগেও ২ বার একই ভাবে পাইপসহ তার চুরি হয়েছিলো। তিনি বলেন, বুধবার সকালে অফিসে এসে এসি চালু করতে গিয়ে দেখি এসি চালু হচ্ছেনা। পরে পেছনে গিয়ে দেখা যায়, মেশিন থেকে এসির লাইনের পাইপসহ তার কেটে নিয়ে গেছে চোরেরা। তিনি আরো বলেন, থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কে বিষয়টি জানানোর পর তিনি এসে দেখে গেছেন, দেখা যাক চোর ধরা পড়ে কিনা। এরিপোর্ট লিখার সময় বৃহস্পতিবার বিকালে নতুন ভাবে এসির পাইপসহ সংযোগ তার লাগানোর কাজ চলছিলো বলেও জানান উপজেলা প্রকৌশলী সাইদুর রহমান।
থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কামরুজ্জামান মিয়া বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। তবে, কেউ কোন অভিযোগ দেননি জানিয়ে তিনি আরো বলেন, নাইডগার্ড থাকেনা, নাইডগার্ড থাকলে এমন ঘটনা ঘটতনা। তিনি বলেন, প্রায় প্রতিটি দপ্তরেই নাইডগার্ড রয়েছে কিন্তু কেউ থাকেনা, আমাগী মাসে আইন শৃংখলার মাসিক সভায় এসব বিষয়ে আলোচনা করা হবে বলেও জানান তিনি।
জানা গেছে, মঙ্গলবার রাতের যেকোন সময়ে চোরেরা প্রকৌশলীর দপ্তরের ১টি এসির তার ও পাইপ ও মিলনায়তনের ২ টি এসির তার চুরি করে নিয়ে যায়। বুধবার সকালে অফিসে এসে এসি চালু করতে গিয়ে দেয়া যায় এসির বাইরের মেশিন থেকে কক্ষে লাগানোর এসির তার ও পাইপ নাই। চোরেরা চুরি করে নিয়ে গেছে। উপজেলা ক্যাম্পাস থেকে তার চুরি হলে বাহিরের অবস্থা কি হতে পারে। কারন সিসি ক্যামেরা অফিসের নৈশ প্রহরী থাকার পরও চুরি হচ্ছে। এর আগেও কয়েকবার চুরি হয়েছে। এসব উপজেলা প্রশাসনের এক প্রকার গাফলতি ও অলোশতা ছাড়া কিছুই না।
এব্যাপারে যোগাযোগের জন্য তানোর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিল্লাল হোসেনের সরকারী মোবাইল ফোনে কল করা হলে তিনি রিসিভ না করায় বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
সারোয়ার হোসেন
০৬জুলাই/২০২৩ইং
০১৭৬০-৮৫৭৯৮৮