হাজীগঞ্জ প্রতিনিধি :
বিতর্ক যেন পিছু ছাড়ছে হাজীগঞ্জ গোল্ডেন হসপিটাল এন্ড ট্রমা সেন্টারের। গণমাধ্যমে উঠে আসা নানা অনিয়ম, ভূয়া চিকিৎসক, ভুল চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যুসহ নানান অভিযোগ উঠে আসা হাসপাতালের বিরুদ্ধে এবার সাংবাদিকের স্ত্রী হওয়ায় ১ ঘন্টা বসিয়ে রেখে আল্ট্রাস্নোগ্রাফী পরীক্ষা না করার অভিযোগ উঠেছে।
১০ জুলাই সোমবার সকাল ১০টায় জরুরী ভিত্তিতে আল্ট্রাস্নোগ্রাফী পরীক্ষা করার জন্য বাসার নিকটবর্তী হাজীগঞ্জ বাজারের ডিগ্রি কলেজ রোডে হক টাওয়ারে অবস্থিত গোল্ডেন হসপিটাল এন্ড ট্রমা সেন্টারে স্ত্রী ফামেতা আক্তারকে নিয়ে যায় সাংবাদিক মজিবুর রহমান রনি।
মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার মহিবুল আলম রুবেল এর চিকিৎসাপত্রে জরুরী আল্ট্রাস্নোগ্রাফী করাতে গেলে দীর্ঘ ১ ঘন্টা রোগীকে বসিয়ে রাখে হাসপাতালের ডিউটিরত গাইনী ও আল্ট্রাস্নোগ্রাফী চিকিৎসক উম্মে হাবিবা খান মিস্টি। এরপর সাংবাদিক মজিবুর রহমান রনি আল্ট্রাস্নোগ্রাফী পরীক্ষা বিষয়ে জানতে ডা. উম্মে হাবিবা খান মিস্টিকে জিজ্ঞেস করলে তিনি সাংবাদিকদের পরিবার হওয়ার কারণে তিনি আল্টাস্নোগ্রাফী করাতে অস্বীকৃতি জানান। আল্ট্রাস্নোগ্রাফী না করেই রোগীকে চলে যেতে বাধ্য করেন। দীর্ঘ ১ ঘন্টা রোগীকে বসিয়ে রাখার কারণে যথা সময়ে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দিতে না স্ত্রী ফাতেমা বেগম অসুস্থ্য হয়ে পড়ে।
গোল্ডেন হসপিটালের পরিচালক ডা. রইসুল ইসলাম রুবেল নিয়ে বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে। হাজীগঞ্জ ইসলামিয়া মর্ডান হসপিটালে রোগী নবজাতক এবং প্রসূতির মৃত্যুর ঘটনায় অভিযোগের তীর ডা. রইসুল ইসলাম রুবেলের দিকে উঠে। সার্জন না হয়েও তিনি নিজেই সিজারিয়ান অপারেশন করাতে গিয়ে গাফিলতিতে রোগীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।
এ নিয়ে সাংবাদিক মজিবুর রহমান রনিসহ গণমাধ্যম কর্মীরা সংবাদ প্রকাশ করেন। বিভিন্ন সময়ে সংবাদ প্রকাশ করাকে কেন্দ্র ডা. রইসুল ইসলাম রুবেল এবং গোল্ডেন হসপিটালের ডা. উম্মে হাবিবা খান মিস্টি ক্ষিপ্ত হয়। এ কারণে সাংবাদিক মজিবুর রহমানের স্ত্রীকে আল্ট্রাস্নোগ্রাফী পরীক্ষা করাতে অস্বীকৃতি জানানো হয় বলে দাবী করেন এ সাংবাদিক।
এ বিষয়ে সাংবাদিক মজিবুর রহমান রনি গোল্ডেন হসপিটালের ডা. উম্মে হাবিবা খান মিস্টির বিরুদ্ধে দায়িত্বের অবহেলার অভিযোগ এনে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
সাংবাদিক মজিবুর রহমান রনি বলেন, আমার স্ত্রী অসুস্থ’্য হলে ডা. মহিবুল আলম রুবেলের কাছে নিয়ে যাই, ডাক্তারের চিকিৎসাপত্র অনুযায়ী জরুরী ভিত্তিতে আল্ট্রাস্নোগ্রাফী পরীক্ষা করাতে গোল্ডেন হসপিটালে যাই। সেখানে এক ঘন্টা বসিয়ে রেখে ডা. উম্মে হাবিবা খান মিস্টি এসে বলেন, সাংবাদিকের স্ত্রীকে কোন ধরণের পরীক্ষা করাতে পারবে না। এ বিষয়ে আমি সুষ্ঠু বিচার চাই। যেন আর কোন সাংবাদিকের স্ত্রীকে চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হতে না হয়।
এ বিষয়ে গোল্ডেন হসপিটালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. রইসুল ইসলাম রুবেল বলেন, সিসি ক্যামেরা দেখে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। হাসপাতালে যারাই আসবে প্রত্যেককে চিকিৎসা সেবা দেওয়াই হাসপাতালের কাজ। কে কার রোগী এ বিষয় দেখার কথা নয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা ডা. গোলাম মাওলা নঈম বলেন, অভিযোগ পেয়েছি বিষয়টি তদন্ত করলে সত্যতা বেরিয়ে আসবে।
আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, জুলাই ১১, ২০২৩, ১৯৫ বার পঠিত