হাবিবুর রহমান, চিলমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধিঃ কুড়িগ্রামের চিলমারীতে ‘বাংলাদেশ ছাত্রলীগের’ হস্তক্ষেপে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের ফরমফিলাপ ফি কমিয়েছেন মাদ্রাসার কর্তৃপক্ষ। অতিরিক্ত ফি নেয়ায় ফরমফিলাপের শেষ দিন পর্যন্ত মাত্র পাঁচজন শিক্ষার্থী ফরমফিলাপের টাকা জমা দিয়েছেন বলে জানা যায়। তবে অতিরিক্ত টাকা দিতে পারেনি ৬০ জন শিক্ষার্থী। উপজেলা চিলমারী সিনিয়র আলিম মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানা যায়। মাদ্রাসায় আলিম পরিক্ষার ফরমফিলাপের জন্য তিনহাজার ২শ’ টাকা করে নেয়া হচ্ছিল। এতে করে এলাকার অনেক দরিদ্র শিক্ষার্থীই শেষ দিন পর্যন্ত ও ফরমফিলাপের টাকা জমা দিতে পারছিলেন না। আজ (বুধবার) বেলা ১২টার দিকে অতিরিক্ত ফি আদায়ের বিষয়টি ছাত্রলীগের উপজেলা সম্মেলন প্রস্তুত কমিটির আহবায়ক মোঃ বদিউজ্জামান বদরুলকে কল করে জানান এক শিক্ষার্থীর ভাই। তাৎক্ষনিক বিষয়টি আমলে নিয়ে মাদ্রাসায় গিয়ে দায়িত্বরত অফিস সহকারীর সঙ্গে কথা বলে সকল শিক্ষার্থীদের জন্য সহনীয় পর্যায়ে ফরমফিলাপের টাকা নিতে বলেন। যাতে করে কোন শিক্ষার্থীর টাকা জমা দিতে কষ্ট না হয়। সেই দিক থেকে যতটা সম্ভব ফি কমিয়ে টাকা নেয়ার অনুরোধ জানান তিনি। শিক্ষার্থীর বড় ভাই মোঃ আব্দুল কুদ্দুস বলেন, ৩ হাজার ২শ টাকা দিয়ে ফরমফিলাপ করাটা অনেক কষ্টকর, এত টাকা কই পাই। আর ফরমফিলাপের শেষ দিন আজকে দিনেও ৬০ জনের মতো শিক্ষার্থী ফরমফিলাপ করতে পারেননি। পরে আমি বিষয়টি ছাত্রলীগের আহবায়ক মোঃ বদরুল ভাইকে জানাই। তিনি মাদ্র্রাসায় গিয়ে কথা বলে সকল শিক্ষার্থীদের জন্য ফরমফিলাপের বিষয়ে কথা বলেন।
উপজেলা ছাত্রলীগের সম্মেলন প্রস্তুত কমিটির আহবায়ক মোঃ বদিউজ্জামান বদরুল বলেন, অতিরিক্ত টাকা নেয়ার বিষয়টি যখন আমাকে কল করে জানানো হয়। তখনি আমি মাদ্রাসায় গিয়ে কথা বলে যেটা না নিলে নয় সেটা নেয়ার জন্য কথা বলেছি। তিনি আর ও বলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সব সময় মানুষের পাশে থেকে কাজ করে যাচ্ছেন। ছাত্রলীগ হচ্ছে ছাত্রদের সংগঠন তাই আমরা ছাত্রদের পাশে থেকে কাজ করে যাচ্ছি। ফরমফিলাপের দায়িত্বে থাকা অফিস সহকারী মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম জুয়েল জানান, ছাত্রলীগের আহবায়ক মাদ্রাসায় এসেছিলেন। তিনি সহনীয় পর্যায়ে টাকা নিতে অনুরোধ করেছেন। সব দিক বিবেচনা করে আমরা নির্দিষ্ট বোর্ড ফি নিয়ে ফরমফিলাপ করছি।