মোঃ হোসেন গাজী।।
সৌদি আরব থেকে মৃত্যুর খবর আসার ১ মাস পর আনোয়ার হোসেন (৪০) নামে এক প্রবাসীর মরদেহ পেয়েছেন তাঁর স্বজনেরা।
২২ জুলাই শনিবার দুপুরে লাশবাহী একটি গাড়ি মরদেহটি পৌঁছে দেয় তাঁর বাড়িতে। পরে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হয়।
হাইমচর উপজেলার উত্তর আলগী ইউনিয়নের ছোট লক্ষীপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ওই এলাকার আলহাজ্ব আঃ কাদির মাঝির চতুর্থ ছেলে।
স্বজনেরা জানান, সৌদি আরবে কাজ করতে গিয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হন, পরে তাকে ওখানকার আর বাহার কিং আল ফাহাদ হসপিটালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ২২ জুন মৃত্যু হয় হাজ্বী আনোয়ার হোসেন মাঝির। মৃত্যুর খবর দেশের বাড়িতে স্ত্রী ও স্বজনেরা জানতে পারেন ঐদিনেই। পরে আনোয়ার হোসেনের বড় ভাই মোঃ আবুল কাশেম মাঝি ও তার পরিবার মরদেহ দেশে আনতে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন। মন্ত্রণালয় প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জোগাড় ও যাবতীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতেই কেটে গেছে প্রায় ১ মাস।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রবাসে মারা যাওয়ার আনোয়ার হোসেনের বাড়িতে স্ত্রী, ১১ বছরের পুত্র ও ৬ বছরের এক কন্যা সন্তান রয়েছে। জীবিকার তাগিদে বিদেশে পাড়ি দিয়েছিলেন তিনি। সৌদিতে প্রায় ২২ বছর যাবত চাকরি করেন।
আনোয়ারের বড় ভাই মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেন মাঝি বলেন, ‘মৃত্যুর খবরের পর থেকে পুরো পরিবারের শোকের ছায়া নেমে আসে। মরদেহ না পাওয়াতে শোক বেড়ে আরও দ্বিগুণ হয়। শত বাধাবিপত্তি আর অক্লান্ত পরিশ্রম করে মরদেহ দেশে আনতে পেরেছি। ভাইকে দাফন করেছি কবরস্থানে। আর কোনো কিছু চাওয়ার নেই।’ বাংলাদেশ বিমানবন্দর থেকে আমার বড় ভাই আবুল কাশেম আমার ছোট ভাইয়ের লাশটি গ্রহন করেন।
হাইমচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ইয়াসিন বলেন, ‘মারা যাওয়ার খবর শুনেছিলাম। তবে মরদেহ দেশে এসেছে কি না, তা জানা নেই। বিদেশে কেউ মারা গেলে মরদেহ আনতে অনেক সময় লাগে।