পলাশ (নরসিংদী) প্রতিনিধি : নরসিংদীর মাধবদীর ভগিরথপুর হাজী সফিউদ্দিনের মালিকানাধীন নিলা ডাইং এন্ড প্রিন্টিং ফিনিশিং মিলের রং মাষ্টারকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন নিহতের শ্যালক ও একই মিলের কর্মরত শ্রমিক কিরন মিয়া। ঘটনাটি ঘটেছে আজ রবিবার (৩০ জুলাই) ভোর ৩ টায় মিলের ৩য় তলায়।
নিহতের স্বজন ও পুলিশ সুত্রে জানা যায়, বিগত ১০ বছর যাবত ময়মনসিংহ জেলার কোতোয়ালি থানার নেহালিয়া কান্দা গ্রামের কুদ্দুস আলীর পুত্র নেজামূল ইসলাম ওরফে নাজমুল (৩৫) রং মাষ্টার হিসেবে উক্ত মিলে কর্মরত ছিলেন।
রবিবার মিলের ভিতর সবাই কর্মরত থাকা অবস্থায় রাতে মিলের তয় তলায় বিভিন্ন আওয়াজ পেয়ে নাজমুলের শ্যালক কিরন তয় তলায় উঠে তার দুলাভাইকে মৃত অবস্থায় দেখতে পেয়ে চিৎকার শুরু করলে ঘটনা জানা জানি হয়। পরে নিহতের স্বজনদের আর মিলের ভিতর প্রবেশ করতে দেয়নি বলে তারা অভিযোগ করেন।
খবর পেয়ে ইন্ডাষ্ট্রিয়াল পুলিশ ও স্থানীয় মাথবদী থানা পুলিশ মিলের ভিতর থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
নিহতের শ্যালক অভিযোগ করে বলেন, আমরা একই সাথে দীর্ঘদিন যাবত এই মিলে কাজ করে আসছি। আমার দুলাভাইকে মিল কর্তৃপক্ষ পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করেছে। তবে কি কারনে কারা নাজমূলকে হত্যা করেছে এ বিষয়ে নাম সহ সে কিছুই বলতে পারেনি শুধু বলছে মিল কর্তৃপক্ষ।
এব্যাপারে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের এ এস পি, জি, জি বিশ্বাস বলেন, ঘটনাটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড। তবে এ ঘটনার তদন্তভার আমরা নেইনি। মাধবদী থানা পুলিশের উপর তদন্ত বার দেয়া হয়েছে।
মাধবদী থানার ওসি তদন্ত তরিকুল ইসলাম জানান, প্রাথমিকভাবে আমরা ধারণা করছি নাজমুলকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে আমরা মিলের ৯জন কর্মচারীকে ইতি পূর্বে আটক করে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করছি। জিজ্ঞাসাবাদে মিলের ভিতর কি ঘটনা ঘটেছিল তা দ্রুত তদন্ত করে বের করে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে।
পুলিশ আরো জানায়, নিহতের পরিবারকে সংবাদ পাঠানো হয়েছে তারা আসলে হত্যা মামলা নেয়া হবে। খবর পেয়ে নরসিংদী পুলিশ সুপার মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তবে ঘটনার বিষয় জানতে মিল মালিকের সাথে বাব বার যোগাযোগেরে চেষ্টা করেও তাদের কাউকে পাওয়া যায়নি। এবং তারা নিহতের স্বজন ও গনমাধ্যম কর্মীদের ভিতেরে প্রবেশ করতে বাধা প্রদান করেন।