তানোর প্রতিনিধি: রাজশাহীর তানোরে পুলিশ পাহারায় আওয়ামীলীগের দুগ্রুপের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলের দিকে আওয়ামীলীগ আয়োজিত গোল্লাপাড়া ফুটবল মাঠে ও গোল্লাপাড়া কাটপট্রিতে মনোনয়ন প্রত্যাশী গোলাম রাব্বানীর আয়োজনে চলছে সভা। এদিকে উভয় গ্রুপের সভা সঠিক ভাবে সম্পন্ন ও আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সভার মাঝে বিপুল পরিমান পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। উভয়গ্রুপের সভা নিয়ে টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, তানোর পৌর সদর গোল্লাপাড়া ফুটবল মাঠে মাইক ছাড়াই চলে শোক দিবসের আলোচনা। উপজেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে ও উপজেলা সভাপতি মাইনুল ইসলাম স্বপনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ প্রদীপ সরকার।
অপর দিকে সাবেক সভাপতি গোলাম রাব্বানীর শোক সভায় বক্তব্য দিচ্ছিলেন সাবেক ছাত্র লীগ নেতা পাপুল সরকার। তার বক্তব্য শেষ হওয়ার পর বক্তব্য দেন সাবেক সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন।তার পর বক্তব্য দেন সাবেক সভাপতি গোলাম রাব্বানী। তার শোক সভায় সভাপতিত্ব করেন তানোর পৌর মেয়র ইমরুল হক। সাবেক ছাত্র লীগ সম্পাদক মৃদুল কুমার ঘোষের সঞ্চালনায় আরো উপস্থিত ছিলেন মেয়রের ভাই সোহেল রানা, পৌর যুবলীগ সভাপতি রাজিব সরকার হিরো, প্রয়াত বিএনপি নেতা শীষ মোহাম্মাদের অন্যতম সহচর কোর্ট এলাকার হযরত আলী।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্পাক প্রদীপ সরকার বলেন আমরা ১৭ আগস্টে বিগত ২০০৫ সালে সারা দেশে বিএনপি জোট সরকারের সময় দেশব্যাপী সিরিজ বোমা হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও ফুটবল মাঠে প্রতিবাদ সভা করেছি। সাবেক সভাপতি গোলাম রাব্বানীরা মাইকে জাতীয় শোক দিবসের সভা করছে মাইকে এজন্য আপনার সভার কোন সমস্যা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি জানান, কোন সমস্যা হয়নি বলে তিনি একটি উদাহরণ দেন আমিসহ কয়েকজন গোল্লাপাড়া বাজারে রাতেও থাকি,সারা বাজার কুকুরেরা ঘেওঘেও করে সমস্যা হয়না। সভার নেতাদের কাছে জানতে চাওয়া হয় ব্যক্তিগত আয়োজনে জাতীয় শোক সভা হয় কিনা নেতারা জানান, ব্যক্তিগত ব্যানারে সভা করার কোন সুযোগ নেই।
সাবেক সভাপতি গোলাম রাব্বানীর কাছে জানতে চাওয়া হয় কার আয়োজনে এবং পাল্টাপাল্টি সভার জন্য সমস্যা হয়েছে কিনা তিনি জানান, আমার ব্যক্তিগত আয়োজনে, তারা কোথায় সভা করেছে জানিনা। ব্যক্তিগত আয়োজনে সভা করা যায় কিনা জানতে চাইলে সাবেক সম্পাদক মামুন জানান তৃনমুল আওয়ামী লীগের আয়োজনে, এনামে কোন সংগঠন আছে কিনা প্রশ্ন করা হলে রাব্বানী সাব জানিয়ে দেন আমি মনোনায়ন প্রত্যাশী আমার আয়োজনে এবং সব ভেদাভেদ ভূলে আমি ঐক্যের ডাক দিয়েছি।
বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, উভয়গ্রুপ এক জায়গায় সভা করা ও আগে বিক্ষোভ মিছিল এবং পুলিশে দেখে আমরা কিছুটা হলেও আতংকিত হয়ে পড়েছিলাম। তবে আওয়ামী লীগের আয়োজনে সভায় কোন মাইক ছিল না। এজন্য তাদের সভা অনেকের নজরে আসেনি। কিন্তু রাব্বানীর সভায় মাইক থাকলেও উপস্থিতি কম ছিল।
উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জুবায়ের ইসলাম জানান, জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ব্যক্তিগত ব্যানারে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল করার কোন সুযোগ নেই।
থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি আব্দুর রহিম বলেন, আইন শৃঙ্খলা সাভাবিক রাখতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল। তবে উভয়ে শান্তিপূর্ণ ভাবে সভা করেছে।
সারোয়ার হোসেন
১৭ আগস্ট /২০২৩ইং
০১৭৬০-৮৫৭৯৮৮