স্টাফ রিপোটার।।
হাইমচর উপজেলার ২ নং উঃ আলগী ইউনিয়নের ঢেলের বাজার সংলগ্ন নয়ানী লক্ষীপুর গ্রামের স্হানীয় বাসিন্দা মৃত সোলেমান মৃধা ও তার ছেলে, প্রবাসী বিল্লাল হোসেন মৃধার পরিবারের উপর একাধিকবার কিশোর গ্যাং সুমন মিয়া হেলাল এর নেতৃত্বে এ হামলায় একই পরিবারের ৫ জন আহত হয়।
১৪ মে বৃহস্পতিবার বিকালে উপরোক্ত চাঁন মিয়া ও তার ছেলে কিশোর গ্যাং সুমন মিয়া, ওসমান মিয়া চাঁন মিয়ার শ্যালক হেলাল গং এর সাথে বর্বরোচিত এই সন্ত্রাসী হামলায় অসহায় মৃত সোলেমান মৃধা ও তার ছেলে প্রবাসী বিল্লাল, আলমগীর, শরিফ মৃধা, মৃত সোলেমান মৃধার কন্যা রাশিদা বেগম, রাশিদা বেগমের স্বামী রতন সহ তার পরিবারের ৫ জন সদস্য গুরুতর আহত হয়। পরে স্হানীয় এলাকাবাসী ও মৃত সোলেমান মৃধা ও তার ছেলে শরীফ হোসেন, আলমগীর হোসেন, রাশিদা বেগম, স্বামী রতন স্বজনরা আহতদের উদ্ধার করে হাইমচর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করে।
আহতদের মধ্যে আলমগীর হোসেন, শরীর হোসেন, রাশিদা বেগমের স্বামী রতন মিজি, মৃত সোলেমান মৃধার স্ত্রীর শারীরিক অবস্থার অবনতি দেখা দিলে কর্তব্যরত চিকিৎসকগন তাদেরকে চাঁদপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করার পরামর্শ দিলে আহত আলমগীর, শরীফ, রতন, রাশিদা বেগম( মৃত সোলেমান মৃধার স্ত্রী) চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আহত গন হলো মৃত সোলেমান মৃধা ছেলে আলমগীর, শরীফ মৃধা, মেয়ে রাশিদা বেগম, রাশিদা বেগমের স্বামী রতন, (মৃত সোলেমান মৃধা স্ত্রী) রেজিয়া।
প্রবাসী বিল্লাল হোসেনের পরিবারের উপর
একাধিকবার বর্বরোচিত হামলা ও লুটপাট চালায় একই গ্রামের সন্ত্রাসী বাহিনী চাঁন মিয়া, সুমন, ওসমান এবং চাঁন মিয়ার শ্যালক হেলাল এর নেতৃত্ব কিশোর গ্যাং
এ হামলায় বহিরাগত ও অজ্ঞাত আরো একাধিক সন্ত্রাসী মৃত সোলেমান মৃধা পরিবারের উপর শুধু বর্বরোচিত হামলা করেই খ্যান্ত হয়নি সন্ত্রাসীরা প্রবাসী বিল্লাল হোসেনের বসত ঘরে অনাধিকার প্রবেশ করে লুটপাট চালায়।
এই সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় মৃত সোলেমান মৃধার পরিবারের পক্ষ থেকে হাইমচর থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
এ ঘটনার বিষয়ে প্রবাসী ও রেমিটেন্স যোদ্ধা বিল্লাল হোসেন জানান, আমাদের বাড়ির সম্মুখে আমাদের গাছের পাকনা আম পাড়াকে কেন্দ্র করে আম গাছে আম পাড়াতে যায় কিশোর গ্যাং সুমন ও তার পিতা চাঁন মিয়া, ওসমান মিয়ার নেতৃত্বে তারা জোরপূর্বক ভাবে আম পাড়ে কিন্তু এ ব্যাপারে আমার ভাইয়েরা প্রতিবাদ করায় তারা আমাদের বাড়ির সামনে এসে আমাদেরকে গালমন্দ করে, আমাদের উপর বর্বরোচিত সন্ত্রাসী স্টাইলে হামলা চালায় এবং আমারদের বিরুদ্ধে উল্টো মিথ্যা অপবাদে মামলা দিয়ে হয়ারানি করছে। আমরা প্রশাসনের কাছে তদন্ত সাপেক্ষে প্রকৃত অপরাধীকে চিহ্নিত করে বিচারের দাবী করছি এবং এই ব্যাপারে প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
আহতরা হামলা কারীর কিশোর গ্যাং সুমন মিয়া, চাঁন মিয়া ওসমান এবং শ্যালক হেলাল এর বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ও আইনগত ব্যবস্হা নেয়ার জন্য প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেন স্থানীয় এলাকাবাসী।