মোশারফ হোসেন ফারুক মৃধা ফরিদগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
শ্রেনী কক্ষ সংকটে শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে ফরিদগঞ্জের অন্যতম প্রাচীন বিদ্যাপিঠ কড়ৈতলী উচ্চ বিদ্যালয়।
১৯৬৬ সালে প্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয়টিতে পুরানো দোতলা ভবন এর পাশাপাশি বিদ্যালয়টির ৪ তলা ভবনের বরাদ্ধ হলেও প্রথম তলা কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হলেও নেই চারতলা ভবনের কাজের কোন অগ্রগতি। অফিস কক্ষ ও শিক্ষক মিলনায়তনে ব্যতীত দোতলা ও একতলা ভবনে কক্ষেগুলোতে শত ঘাতপ্রতিঘাতের মধ্য দিয়েই চালাতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের পাঠদান কার্যক্রম।
বিদ্যালয়টির ভবন সংকট এতটাই তীগ্ন যে শ্রেণীকক্ষ সংকটের কারনে স্কুল মাঠে খড়ের উপর ক্লাস করানোর নজীর আছে বহুবার। বিদ্যালয়ের কক্ষ সংকটেই ভোগান্তি এতেই শেষ নয়, বিদ্যালয়টিতে শিক্ষক সংকট এতটাই ব্যাপকতা ধারণ করেছে যে বর্তমান সময়ে বিদ্যালয়টিতে ৫ জন শিক্ষক সংকট রয়েছে। ইংরেজী, বাংলা, হিসাব বিজ্ঞান, ভৌত বিজ্ঞান ও তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তির কোন শিক্ষক নেই। এতে করে কখনো খণ্ডকালীন শিক্ষক কিংবা কখনো অন্য বিষয়ের শিক্ষককে দিয়ে টেনেহিঁচড়ে চালাতে হচ্ছে নিয়মিত পাঠদান কার্যক্রম।
সাম্প্রতি সময়ে বিদ্যালয়টির সাবেক শিক্ষার্থীদের পূনর্মিলনী অনুষ্ঠানে বিদ্যালয়টিকে স্কুল এন্ড কলেজে রূপান্তর করার দাবী উঠেছে। কিন্তু কলেজ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের যে নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম আছে তার মধ্যে এক একর চার শতাংশ ভুমি থাকা প্রয়োজন, কিন্তু সেটি নেই। এছাড়া কলেজ কার্যক্রম বাস্তবায়নে শিক্ষক নিয়োগ কলেজ এমপি ভুক্তির পূর্বে ভবন নির্মান এবং কলেজ চালানোর জন্য নিয়োগকৃত শিক্ষকদের বেতন চালিয়ে নেওয়া এসব যেন দোয়াশা মাত্র।
এ বিষয়ে কড়ৈতলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সমরেন্দ্র মিত্র জানান, যেখানে অবকাঠামো গত সীমাবদ্ধতার কারনে মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের নিয়মিত পাঠদান করানো কষ্টকর হচ্ছে, সেখানে স্কুল এন্ড কলেজ রূপান্ত করা কি আদোও বাস্তবে সম্ভব? বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রমের অগ্রতির জন্য এখন সবচেয়ে বেশি জরুরী বিদ্যালয় শ্রেনী কক্ষের স্বল্পতা সমাধান করে চাহিদা অনু্যায়ী এনটিসিআর থেকে শিক্ষক নিয়োগ পেলে শিক্ষাকার্যক্রমে অনেকাংশেই স্বাভাবিকতা ফিরে আসবে।
এ বিষয়ে ফরিদগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শাহ্ আলী রেজা আশরাফী জানান, ভবনের বিষয়টি সরকারি বাজেটের উপর নির্ভর করে, কোথাও কোথাও একবারেই চার তলা ভবন করে দেওয়া হয়েছে আবার কোথাও কোথাও ধাপে ধাপে সেটি দেওয়া হচ্ছে। এনটিসিআর এর শিক্ষক নিয়োগের বিষয়ে কোন কোন প্রতিষ্ঠানে নারী কোটা পূরনের বিষয়টি পূরন হয়নি বলে সে কারনে অনেক প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে।