হাবিবুর রহমান, চিলমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধিঃ কুড়িগ্রামের চিলমারীতে রানীগঞ্জ ইউনিয়নে একটি রাস্তা না থাকায়, শতশত মানুষ চরম দুর্ভোগে দিন কাটাচ্ছেন।
সরো জমিনে গিয়ে দেখা যায়, রাণীগঞ্জ ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ খারুয়ারটারী গ্রামে একটি রাস্তা না থাকায়, চরম দুর্ভোগে পড়েছে এলাকার শতশত মানুষ। জানা যায় ঐ এলাকার মানুষরা পুর্ব পুরুষ হতে ফকিরের হাট মফিজিয়া আলিম মাদ্রাসার পুর্ব দিকের রাস্তা দিয়ে আসা-যাওয়া করত। কিন্তু হঠাৎ করে মাদ্রাসার সুপার ঐ রাস্তা বন্ধ করে দেয়, এতে করে এলাকার মানুষের মাঝে ক্ষোপ সৃষ্টি হয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে, আঃ আজিজ, আফজাল, লাল মিয়া, আঃ হাই, আয়নাল হক, ফুল মিয়া, গোলেনুর ও মাজেদা বেগম বলেন- আমরা আমাদের বাপ-দাদার আমল থেকে এই রাস্তা দিয়ে হাটি আসছি। আমাদের এই রাস্তা কোন সুপার বন্ধ করেনি, এই সুপার আসার পর থেকে আমাদের অনেক সমস্যা হচ্ছে, এখন তিনি আমাদের রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে। হামরা গুলে এহন কি করি চলা-ফেরা করম, তাতে যদি কাইয়ো মরে তার খাটলি খেন, হামরা গুলে কেমন করি বার করম। হামরা গুলে মেম্বর, চেরম্যান, ও টিএনও/ইউএনও স্যারের কাছে একটা রাস্তা চাই, এই বলে গ্রামবাসীরা দাবী করেন। এই বিষয়ে কথা হলে, ফকিরের হাট মফিজিয়া আলিম মাদ্রাসার সুপার মাওলানা মোঃ শমসের আলী বলেন, এই রাস্তাটি খোলা থাকলে মাদ্রাসায় বখাটে ছেলেদের আড্ডা ও মাদকের আসর বসে, তাই রাস্তাটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এই বিষয়ে ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মোঃ মন্জুরুল ইসলামের সাথে কথা হলে তিনি বলেন- ঐ রাস্তাটি মাদ্রাসার সুপার বন্ধ করে দিয়েছিল, আমার কাছে এলাকার সকল মানুষ অভিযোগ নিয়ে এসেছিলেন, আমি তাদের প্রতিনিধি তাই তাদের রাস্তার কথা ভেবে আমি নিজে গিয়ে ঐ রাস্তাটি খুলে দেই। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মাহবুবুর রহমানের সাথে কথা হলে তিনি বলেন – এই রাস্তার ব্যাপারে আমার নিকট একটি অভিযোগ এসেছিল, পরে অভিযোগের ভিত্তিতে আমি সেখানে গিয়েছিলাম, এলাকাবাসীদের সাথে তাদের রাস্তার ব্যাপারে কথা বলেছি। এবং মাদ্রাসার সুপারের সাথে কথা বলেছি এবং তাদের দুপক্ষের বিষয়টা জানতে পেরেছি। পরবর্তীতে সময় মত দু-পক্ষের সাথে বসে, বিষয়টির সমাধান করা হবে বলে তিনি জানান।