মাজহারুল রাসেল : অষ্টম ধাপে গতকাল ১৫ জুন অনুষ্ঠিত হয়ে গেল সোনারগাঁও উপজেলার প্রাণকেন্দ্র মোগরাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন।
প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক এই নির্বাচনে নৌকার পরাজয়ের মূল কারণ হিসেবে স্থানীয় সাধারণ ভোটাররা স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের দায়ী করছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভোটারদের কাছে জানতে চাইলে তারা জানান, নৌকার প্রার্থী হাজী শাহ মোঃ সোহাগ রনি কেন্দ্রীয় নেতাদের ম্যানেজ করে নৌকা প্রতীক এনেছেন ঠিকই কিন্তু স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ম্যানেজ করতে ব্যর্থ হয়েছেন।স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সকলে সদ্য পদত্যাগকারী আওয়ামী লীগ নেতা ও বর্তমান চেয়ারম্যান আরিফ মাসুদ বাবুর নির্বাচন করেছেন।আর যারা পদ-পদবি রক্ষার্থে নিয়ম রক্ষার জন্য নৌকার নির্বাচনে গিয়েছেন তারাই আবার নৌকাকে ডুবিয়েছেন।
বাড়িমজলিশ গ্রামের শামীম প্রধান বলেন,পাড়া মহল্লার স্থানীয় লোকজন নৌকার প্রার্থীর টাকা খেয়ে তাকে ভোট পাইয়ে দিতে ব্যর্থ হয়েছেন।কিন্তু এই নির্বাচনে সোহাগ রনি একা পরাজিত হন নেই পরাজিত হয়েছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ।
মোগরাপাড়া ইউপি নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী সোহাগ রনির পরাজয়ের বিষয়ে জানতে চাইলে বাড়িমজলিশ গ্রামের এক প্রবীণ ভোটার বলেন, মোগরাপাড়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সোহাগ রনি হেরে গেছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ও দুই বারের চেয়ারম্যান আরিফ মাসুদ বাবুর কাছে। এর অর্থ হচ্ছে বিদ্রোহী প্রার্থী অবশ্যই আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর চেয়ে বেশ জনপ্রিয়।
স্থানীয় নির্বাচনগুলোতে দলীয় মনোনয়নের চেয়ে প্রার্থীদের ব্যক্তিগত গ্রহণযোগ্যতা বেশি গুরুত্ব পায় ভোটারদের কাছে। স্থানীয় জনগণ সেসব প্রার্থীকে ভোট দেয় যারা সুখে-দুঃখে তাদের পাশে থাকে। এই থেকে বিচার করলে বোঝা যায় যে যারা মনোনয়ন পেয়েছেন এবং নির্বাচনে করেছেন তিনি আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর তুলনায় কম জনপ্রিয়। ফলে, প্রার্থী মনোনয়নের ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে আরও বেশি সচেতন হওয়ার প্রয়োজন ছিল।