এম কে এরশাদ-চাঁদপুর সরকারি ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে দালালদের উৎপাত দিন দিন বেড়ে চলেছে । এদের কারণে হয়রানির শিকার হচ্ছেন সাধারণ রোগীরা। দালালরা বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে রোগীদের সুকৌশলে বুঝিয়ে পাশে থাকা বিভিন্ন ডায়গনিস্ট সেন্টার গুলোতে নিয়ে যাচ্ছে। এ গুলো দেখার যেন কেউ নেই।
অনুসন্ধানে দেখা যায়, অনেক ডায়াগনস্টিক সেন্টারে রয়েছে ডাক্তারদের চেম্বার। চাঁদপুর সদর হাসপাতালে আসা রোগীদেরকে কৌশলে ঐসব চেম্বারে নিয়ে যাচ্ছে দালালরা। এতে সরকারি বিনামুল্যের চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হন রোগীরা। এভাবে প্রতিনিয়ত হাসপাতালের চিত্র দেখা যাচ্ছে। সরেজমিনে দেখা যায়, ঔষধ কোম্পানির রিপ্রেজেনটিটিভরা রোগীদের বিভিন্নভাবে হয়রানি করতে থাকে। অনেকে অভিযোগ করে বলছেন হাসপাতালের পাশে থাকা যে ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলো রয়েছে সেখানে তাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে কিছু নারী পুরুষ দালাল। ডায়গনস্টিক সেন্টারের মালিকরা হাসপাতালে নিয়োগ দিয়ে রাখে দালালদের। তারাই বিভিন্ন ডাক্তারদের রুমের সামনে ডিউটি করেন। সেখান থেকে রোগীদের বুঝিয়ে ডায়গনস্টিক সেন্টারে নিয়ে গেলে প্রতি রোগীদের বিপরীতে মালিকরা শতকরা ৩০ থেকে ৫০ পার্সেন্ট টাকা দেন। সদর হাসপাতালের ডাক্তারদের সময়ের নিয়ম থাকলেও ডিউটির সময়ের মধ্যেই চলে যান প্রাইভেট চেম্বারে।
এইভাবে হাসপাতালে অনিয়ম দিন দিন বেড়েই চলছে। হাসপাতালের সামনে যেসব ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে তারাই দালাল পালছে বলে অভিযোগ রোগীদের। দালাল যারা হাসপাতালে রোগীদের নিয়ে টানা হেঁচড়া করে ডায়গনস্টিক সেন্টারগুলোতে নিয়ে যাচ্ছে এমন কিছু দালালদের তথ্য অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যরা হলেন মসজিদ গলির ফ্রেমাস ডায়গনিক সেন্টারের শাবানা আক্তার ( ২৮), মিনতি রানী (৪৫), সুস্মিতা (৪০), নাদিয়া আক্তার ( ৪৫), মিম ডায়গনিক সেন্টার হোসনে আরা আক্তার (৩০), পাখি দাস ( ৪৫), তাকওয়া ডায়গনিক সেন্টার ও রুনা দাস (৪৮), সুমি আক্তার (২১), আফরোজা বেগম ( ২৬), জাহানারা বেগম (৩৫), খুরশিদা বেগম ( ৪৮), মোঃ হাবিবুর রহমান (৪৭), হাসপাতালের জনবলের সদস্য মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, হাসপাতালের রুম নম্বর ২০২ এর রিতা দাশ, রুম নং ২০৪)সহ টিকেট কাউন্টার জরুরি ভিবাগের সামনে অনেক দালাল প্রতিদিন এভাবেই ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোতে রোগীদের বাগিয়ে নিয়ে বিপুল অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে।
তাদের কারণে হয়রানির শিকার হচ্ছে গ্রাম অঞ্চল থেকে আসা সহজ সরল শত শত সাধারণ রোগী। এদিকে রোগী আয়েশা বেগম ও মো. শাহজালাল চাঁদপুর সময়কে অভিযোগ করে জানান, ‘ভাই কি বলবো টাকা নাই হাসপাতালের ডাক্তার বিনা পয়সায় দেখাবো, ডাক্তার আগে বিভিন্ন পরীক্ষা করতে হবে। তখন একজন মহিলা এসে বললো এগুলো সব পরীক্ষা করতে হবে পাশে ডায়গনস্টিক সেন্টার আছে। সদর হাসপাতালে এই সব পরীক্ষা হয় না। এর পর আমাকে নিয়ে গেলো পাশের একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে। যেখানে আমার এক্সরে, রক্ত, ও পেসাব পরীক্ষা করে। অনেক টাকা বিল হয়েছে আমি এত টাকা বিল দিতে পারিনি। তাই আমাকে অনেক গালমন্দ করেছে। কিছু টাকা কম দিয়ে আসি। আমি পরে ওষুধ কেনার মত টাকা আর ছিল না।
এভাবেই প্রতিনিয়ত হয়রানির শিকার হচ্ছে রোগীরা । এভাবেই দির্ঘদিন যাবৎ হাসপাতালে সাধারণ রোগীদের হয়রানির অভিযোগ আসছিল।
হাসপাতালের সামনে যে কয়টি ডায়গোনিস্ট সেন্টার আছে সেখানে নিয়ে যাওয়া হয় রোগীদেরকে। চাঁদপুর সদর হাসপাতালের ডাক্তারদের মধ্যে অনেকে ওইসব ডায়গনস্টিক সেন্টার গুলোতে চেম্বার করেন। দালালরা সাধারণ রোগীদেরকে তাদের আয়ত্বে নিয়ে তাদের কাছ থেকে নেওয়া হয় মোটা অংকের টাকা । এভাবে প্রতিনিয়ত হয়রানীর শিকার হচ্ছে সাধারণ রোগীরা।
এদিকে অনেকে বলছেন যে, ডাক্তারেরাই তাদেরকে লাগিয়ে রাখেন। মূলত ডাক্তার ও ডায়গনস্টিক সেন্টার মালিকরা মিলে এই দালালদেরকে হাসপাতালে লাগিয়ে রাখছে রোগীদের পটানোর জন্য। আর ঐসব দালালরা রোগীদের বুঝিয়ে আনার জন্য অনেক কৌশল ব্যবহার করে ডায়গনস্টিক সেন্টারগুলোতে রোগীদের পরীক্ষা নিরীক্ষা করলে দালাল ও ডাক্তারেরা টাকা ভাগ পান। এই জন্যই চাঁদপুর সদর হাসপাতালে প্রতিনিয়ত চলছে দালালদের আনাগোনা।
খোঁজ নিয়ে জানাযায় হাসপাতালের বিভিন্ন অনিয়ম বেড়েই চলেছে। এ ব্যাপারে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসনিকভাবে দালালদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার বলে মনে করেন সাধারণ মানুষ। তবে এই অনুসন্ধানে আরো বেশ কিছু দালালের নাম উঠে এসেছে। যা আমরা ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করবো
অনুসন্ধানে দেখা যায়, অনেক ডায়াগনস্টিক সেন্টারে রয়েছে ডাক্তারদের চেম্বার। চাঁদপুর সদর হাসপাতালে আসা রোগীদেরকে কৌশলে ঐসব চেম্বারে নিয়ে যাচ্ছে দালালরা। এতে সরকারি বিনামুল্যের চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হন রোগীরা। এভাবে প্রতিনিয়ত হাসপাতালের চিত্র দেখা যাচ্ছে। সরেজমিনে দেখা যায়, ঔষধ কোম্পানির রিপ্রেজেনটিটিভরা রোগীদের বিভিন্নভাবে হয়রানি করতে থাকে। অনেকে অভিযোগ করে বলছেন হাসপাতালের পাশে থাকা যে ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলো রয়েছে সেখানে তাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে কিছু নারী পুরুষ দালাল। ডায়গনস্টিক সেন্টারের মালিকরা হাসপাতালে নিয়োগ দিয়ে রাখে দালালদের। তারাই বিভিন্ন ডাক্তারদের রুমের সামনে ডিউটি করেন। সেখান থেকে রোগীদের বুঝিয়ে ডায়গনস্টিক সেন্টারে নিয়ে গেলে প্রতি রোগীদের বিপরীতে মালিকরা শতকরা ৩০ থেকে ৫০ পার্সেন্ট টাকা দেন। সদর হাসপাতালের ডাক্তারদের সময়ের নিয়ম থাকলেও ডিউটির সময়ের মধ্যেই চলে যান প্রাইভেট চেম্বারে।
এইভাবে হাসপাতালে অনিয়ম দিন দিন বেড়েই চলছে। হাসপাতালের সামনে যেসব ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে তারাই দালাল পালছে বলে অভিযোগ রোগীদের। দালাল যারা হাসপাতালে রোগীদের নিয়ে টানা হেঁচড়া করে ডায়গনস্টিক সেন্টারগুলোতে নিয়ে যাচ্ছে এমন কিছু দালালদের তথ্য অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যরা হলেন মসজিদ গলির ফ্রেমাস ডায়গনিক সেন্টারের শাবানা আক্তার ( ২৮), মিনতি রানী (৪৫), সুস্মিতা (৪০), নাদিয়া আক্তার ( ৪৫), মিম ডায়গনিক সেন্টার হোসনে আরা আক্তার (৩০), পাখি দাস ( ৪৫), তাকওয়া ডায়গনিক সেন্টার ও রুনা দাস (৪৮), সুমি আক্তার (২১), আফরোজা বেগম ( ২৬), জাহানারা বেগম (৩৫), খুরশিদা বেগম ( ৪৮), মোঃ হাবিবুর রহমান (৪৭), হাসপাতালের জনবলের সদস্য মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, হাসপাতালের রুম নম্বর ২০২ এর রিতা দাশ, রুম নং ২০৪)সহ টিকেট কাউন্টার জরুরি ভিবাগের সামনে অনেক দালাল প্রতিদিন এভাবেই ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোতে রোগীদের বাগিয়ে নিয়ে বিপুল অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে।
তাদের কারণে হয়রানির শিকার হচ্ছে গ্রাম অঞ্চল থেকে আসা সহজ সরল শত শত সাধারণ রোগী। এদিকে রোগী আয়েশা বেগম ও মো. শাহজালাল চাঁদপুর সময়কে অভিযোগ করে জানান, ‘ভাই কি বলবো টাকা নাই হাসপাতালের ডাক্তার বিনা পয়সায় দেখাবো, ডাক্তার আগে বিভিন্ন পরীক্ষা করতে হবে। তখন একজন মহিলা এসে বললো এগুলো সব পরীক্ষা করতে হবে পাশে ডায়গনস্টিক সেন্টার আছে। সদর হাসপাতালে এই সব পরীক্ষা হয় না। এর পর আমাকে নিয়ে গেলো পাশের একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে। যেখানে আমার এক্সরে, রক্ত, ও পেসাব পরীক্ষা করে। অনেক টাকা বিল হয়েছে আমি এত টাকা বিল দিতে পারিনি। তাই আমাকে অনেক গালমন্দ করেছে। কিছু টাকা কম দিয়ে আসি। আমি পরে ওষুধ কেনার মত টাকা আর ছিল না।
এভাবেই প্রতিনিয়ত হয়রানির শিকার হচ্ছে রোগীরা । এভাবেই দির্ঘদিন যাবৎ হাসপাতালে সাধারণ রোগীদের হয়রানির অভিযোগ আসছিল।
হাসপাতালের সামনে যে কয়টি ডায়গোনিস্ট সেন্টার আছে সেখানে নিয়ে যাওয়া হয় রোগীদেরকে। চাঁদপুর সদর হাসপাতালের ডাক্তারদের মধ্যে অনেকে ওইসব ডায়গনস্টিক সেন্টার গুলোতে চেম্বার করেন। দালালরা সাধারণ রোগীদেরকে তাদের আয়ত্বে নিয়ে তাদের কাছ থেকে নেওয়া হয় মোটা অংকের টাকা । এভাবে প্রতিনিয়ত হয়রানীর শিকার হচ্ছে সাধারণ রোগীরা।
এদিকে অনেকে বলছেন যে, ডাক্তারেরাই তাদেরকে লাগিয়ে রাখেন। মূলত ডাক্তার ও ডায়গনস্টিক সেন্টার মালিকরা মিলে এই দালালদেরকে হাসপাতালে লাগিয়ে রাখছে রোগীদের পটানোর জন্য। আর ঐসব দালালরা রোগীদের বুঝিয়ে আনার জন্য অনেক কৌশল ব্যবহার করে ডায়গনস্টিক সেন্টারগুলোতে রোগীদের পরীক্ষা নিরীক্ষা করলে দালাল ও ডাক্তারেরা টাকা ভাগ পান। এই জন্যই চাঁদপুর সদর হাসপাতালে প্রতিনিয়ত চলছে দালালদের আনাগোনা।
খোঁজ নিয়ে জানাযায় হাসপাতালের বিভিন্ন অনিয়ম বেড়েই চলেছে। এ ব্যাপারে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসনিকভাবে দালালদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার বলে মনে করেন সাধারণ মানুষ। তবে এই অনুসন্ধানে আরো বেশ কিছু দালালের নাম উঠে এসেছে। যা আমরা ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করবো