তানোর প্রতিনিধি: রাজশাহীর তানোরের কলমা ইউনিয়নের (ইউপি) আজিজপুর মোড়ের কীটনাশক ব্যবসায়ী ও আজিজপুর গ্রামের শামসুল ইসলামের পুত্র শাফিউল ইসলাম চোরা পথে সার এনে অবৈধ মজুদ ও বেশী দামে বিক্রি করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এখানো তার দোকানের পিছনের দুটি গুদাম ঘরে বিপুল পরিমাণ সারের অবৈধ মজুদ রয়েছে। কৃষকরা বলেন, বার বার বলার পরেও অজ্ঞাত কারণে
তার গুদামে বা দোকানে ভ্রাম্যমান আদালতের কোনো অভিযান করা হচ্ছে না। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ১৬ আগস্ট মঙ্গলবার রাতে শাফিউলের দোকানে চোরা পথে আশা বিপুল পরিমাণ ইউরিয়া সার কৃষকরা জব্দ করে প্রশাসনকে অবগত করেন।
কিন্ত্ত শাফিউল তার বাহিনী দিয়ে হামলা করে কৃষকদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
স্থানীয়রা জানান, শাফিউল রাজনৈতিক ক্ষমতার দাপটে বালাইনাশকের লাইসেন্স নিয়ে অবৈধভাবে সার মজুদ ও বেশী দামে বিক্রি করে কৃষকদের
পকেট কাটছে। কৃষকেরা বলছে,
ক্রয় রশিদ ছাড়াই বিভিন্ন কৌশলে চোরাপথে মান্দার চৌবাড়িয়া, সাবাইহাট, দেলুয়াবাড়ী, মোহনপুরের স্যামপুর, কেশরহাট ও ধুরইলসহ প্রভৃতি এলাকা থেকে রাঁতের আঁধারে চোরাপথে নিম্নমাণের সার এনে মজুদ ও অতিরিক্ত দামে বিক্রি করছে। এতে সাধারণ কৃষকেরা বিপাকে পড়েছে, আবার রশিদবিহীন এসব সার আসল নকল, ভেজাল না নিম্নমাণের সেটি নিয়েও কৃষকের চরম সঙ্কার মধ্যে রয়েছে। কারণ এসব সার ব্যবহার করে কৃষকেরা যদি কাঙ্খিত ফল না পায় তাহলে রশিদ না থাকায় তারা কাউকে দায়ী করতে পারবে না। কৃষকেরা জানান, গত বছর সাফিউলের দোকান থেকে অধিক দামে নিম্নমাণের সার কিনে তারা প্রতারিত হয়েছেন, কিন্ত্ত রশিদ না দেয়ায় তিনি পরে সার বিক্রির কথা অস্বীকার করেছেন। তারা বলেন, এবারেও উপজেলায় যখন পটাশ ও ডিএপি সারের সংকট তখানো তার দোকানে দাম বেশী দিলে এসব সার পাওয়া যাচ্ছে। প্রশ্ন উঠেছে, বিসিআইসির অনুমোদিত সার ডিলারগণ যখন সার পাচ্ছে না, তখন এই খুচরা কীটনাশক ব্যবসায়ী কোথায় সার পাচ্ছেন। এবিষয়ে শাফিউল ইসলাম বলেন, তিনি ব্যবসা করছেন, চুরি তো করছেন না, বেশী দামে সার কিনে তো কম দামে দামে বিক্রি করতে পারেন না।
এবিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল্লাহ বলেন, সুনিদ্রিষ্ট অভিযোগ পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সারোয়ার হোসেন