তানোর প্রতিনিধি: রাজশাহীর তানোরে থানা থেকে বাজাজ কোম্পানীর সিএনজি গায়েব হয়ে গেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এঘটনায় সিএনজি মালিক আবুল হোসেন গত সোমবার পুলিশ সুপারের নিকট লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এর আগে মটরসাইকেল গায়েবের ঘটনার রেশ না কাটতেই আবারো সিএনজি গায়েবের অভিযোগ। এতে করে ওসির বিরুদ্ধে চরম বিব্রত ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ। এখবর ছড়িয়ে পড়লে সাধারন মানুষ থেকে শুরু করে সর্ব মহলে ক্ষোভ ও চরম অসন্তোষ বিরাজ করছে। সেই সাথে ওসির এমন ঘটনার পরও তিনি কিভাবে স্বপদে বহাল আছেন এমন নানা প্রশ্ন বিরাজমান।
অভিযোগে উল্লেখ, বিগত প্রায় দেড় বছর আগে তৎকালিন ওসি রাকিবুল হাসান রাকিব আবুল হোসেনের সিএনজি জব্দ করেন। এর কয়েকদিন পর ওই সময়ে সংরক্ষিত ৪.৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলরসহ স্হানীয় কিছু ব্যক্তিদের নিয়ে থানায় সিএনজি নিতে আসেন মালিক পৌর সদর এলাকার আমশো মথুরাপুর গ্রামের মৃত আমজাদ আলীর পুত্র আবুল হোসেন। কিন্তু কাগজপত্রের সমস্যা থাকায় তখন সিএনজি মালিককে দেওয়া হয়নি। এঅবস্হায় ওসি রাকিবুল হাসান রাকিব বদলি হয়ে যান। নতুন ওসি হিসেবে আসেন কামরুজ্জামান মিয়া। তিনি যোগদানের পর সিএনজিসহ বেশ কিছু বাইক গায়েব হয়েছে।
সিএনজি মালিক আবুল হোসেন জানান, এওসি আসার পরও সিএনজি থানায় ছিল। কিন্তু প্রায় একমাস ধরে সিএনজি থানায় দেখতে পাচ্ছিনা। ওসির কাছে সিএনজির কথা বলা মাত্রই তিনি নানা ধরনের হুমকি ধামকি এবং বিভিন্ন মামলার ভয় দেখান। আমি অসহায় গরিব। রোজগারের একমাত্র উপায় ছিল সিএনজি। সেটাও পাওয়া যাচ্ছে না। আমি খেয়ে না খেয়ে দিন পার করছি। সিএনজি পাওয়ার জন্য এসপি বরাবর অভিযোগ দিয়েছি। কিন্তু চরম আতংকে আছি। কারন অন্য কোন মামলা দিয়ে ফাসিয়ে দিতেও পারে।
এবিষয়ে থানার ওসি কামরুজ্জাম মিয়ার মোবাইলে ফোন দেওয়া হলে রিসিভ করেন নি।
এব্যাপারে পুলিশ সুপার ( এসপি) এবিএম মাসুম রানার মোবাইলে ফোন দেওয়া হলে তিনিও রিসিভ করেন নি।
সারোয়ার হোসেন
৩০আগস্ট/২০২২ইং