স্টাফ রিপোর্টারঃ
চাঁদপুরের প্রথম নারী সংগঠন “বিজয়ী” এর উদ্যোগে ৩০ জন নারীকে ফ্রিতে হাতের তৈরি হেডপিস ও কাঠের গয়না তৈরির প্রশিক্ষন করানো হয়।
অদ্য ৩রা সেপ্টেম্বর বিকাল ৩ ঘটিকায় চাঁদপুর পৌরসভার পুরান বাজার দাতব্য চিকিৎসালয়ে প্যানেল মেয়র এর কার্যালয়ে চাঁদপুরে নারী উদ্যোক্তাদের সাবলম্বী করতে চাঁদপুরের প্রথম ট্রেনিং বেইজ নারী সংগঠন “বিজয়ী”এই প্রশিক্ষন প্রদান করেন।
“হ্যান্ড মেইড হেডপিস” তৈরিতে প্রশিক্ষন প্রদান করেন এসপিসিয়াস এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক আসফিয়া জাহান।
“হ্যান্ড পেইন্ট জুয়েলারী” তৈরিতে প্রশিক্ষন প্রদান করেন মৌরি’স ক্রাফট এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহেরা মৌরী।
বিজয়ী” এর উদ্যোগে “বিজয়ী তৈরিতে বিজয়ী”- এই স্লোগানে ফ্রি প্রশিক্ষন কর্মশালাটি বিজয়ীর প্রেসিডেন্ট খালেদা ইয়াসমিন রুবির সভাপতিত্বে পরিচালনা করেন বিজয়ী এর ফাউন্ডার তানিয়া ইশতিয়াক খান।
বিজয়ীর প্রেসিডেন্ট খালেদা ইয়াসমিন রুবি উপস্থিত ট্রেইনার আসফিয়া জাহান ও মাহেরা মৌরী কে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তার বক্তব্যে বলেন – নারীদের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে বিজয়ী। ইনশাআল্লাহ হাতে কলমে প্রশিক্ষন প্রাপ্তদের সাবলম্বী করতে সব সময় পাশে থাকবে বিজয়ী। বিজয়ীর মাসিক কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী এ মাসে আরও বেশ কিছু ট্রেনিং এর ব্যবস্থা করবো। সবাইকে সাথে নিয়ে বিজয়ী হব আমরা। বিজয়ী ফাউন্ডার তানিয়া খান অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছে নারীদের সাবলম্বী করতে যা আশা করি অতি কম সময়ের মধ্যে সফলতার আলো দেখবে। চাঁদপুরের মেয়েরাই হবে দেশের রোল মডেল। বিজয়ী এর এখন মূল লক্ষ্য প্রতিটি ঘরের নারীদের হাতের কাজ প্রশিক্ষন দিয়ে নারীদের আর্থিকভাবে স্বচ্ছল করা।
বিজয়ীর ফাউন্ডার তানিয়া ইশতিয়াক খান চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র জিল্লুর রহমান জুয়েল এবং প্যানেল মেয়র মোহাম্মদ আলী মাঝির প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন- নারী-পুরুষে ভেদাভেদ দূর, দেশকে এগিয়ে নেয়া এবং রূপকল্প ২০৪১’ বাস্তবায়নে নারীর ক্ষমতায়ন জরুরি। নারীকে উন্নয়নের মূল ধারায় সম্পৃক্ত করতে দেশে নারী উদ্যোক্তা সৃষ্টি এবং উদ্যোক্তা ব্যবসায়ীদের সহায়তার বিকল্প নেই। তারই ধারাবাহিকতায় বিজয়ী চাঁদপুরের নারীদের নিয়ে কাজ করা প্রথম নারী সংগঠন। এর মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হচ্ছে দেশের নারীদের বিভিন্ন প্রশিক্ষনের মাধ্যমে আত্মনির্ভরশীল করে গড়ে তোলা।
সারাদেশে নারী উদ্যোক্তা সৃষ্টি, সুষ্ঠুভাবে তাদের ব্যবসা পরিচালনা, সম্প্রসারণে সার্বিক সহায়তা প্রদান, দেশের অর্থনীতিতে নারীদের অবদান রাখাসহ নারীর ক্ষমতায়নে কাজ করা।
তানিয়া খান আরও বলেন করোনার সময় থেকে বিজয়ী এর উদ্যোগে প্রথম অনলাইন বেইজ ট্রেনিং শুরু করি এবং করোনার প্রকোপ কমে আসায় জীবনযাত্রা স্বাভাবিক হওয়ায় এখন আমরা অফলাইনে হাতে কলমে কাজ শিখানো আরম্ভ করি। এই ট্রেনিং গুলো সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন করতে যারা সার্বিক ভাবে সহযোগিতা করছেন তাদের কাছে কৃতজ্ঞ।
এ সময় উক্ত প্রশিক্ষনে উপস্থিত ছিলেন- নারী উদ্যোক্তা
আসফিয়া, সুলতানা পিংকি, উম্মে হানী, পুষ্পিত পুষ্প,কাশফিয়া আয়রা, নিহা, রেশমী আক্তার , সামিয়া, রিমা আক্তার, শাহনাজ আক্তার, মাহেরা মৌরী,শারমিন আকতার বর্ষা, নসিয়া আক্তার, মাহমুদা আকতার, বৃষ্টি আক্তার, ইসরাত জাহান, বদরুনাহার নিতুন, সুমাইয়া আক্তার, রিংকি আক্তার, সাদিয়া আফরোজ, সুমাইয়া আক্তার, মাহামুদা আক্তার, স্বর্না পোদ্দার, ফরিদা ইয়াসমিন, মোহছেনা আক্তার রিমি, তানজিলা রহমান ইলা, তাসলিমা মুক্তার, রীনা আক্তার, মুমতাহা ইসলাম,নুসরাত জাহান,রোকসানা আক্তার, সামিয়া খান, আফসানা আরা বর্ষা, ফাবিহা বুশরা, আয়াতুল ইবনে মায়া, জুমা ইসলাম
বিজয়ীর মডারেটর কবি ফয়েজ খান, জাহিদ শিকদার সহ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।