এমপি ফারুক চৌধুরীর প্রচেষ্টায় এগিয়ে যাচ্ছে তানোর-গোদাগাড়ীর উন্নয়ন

সারোয়ার হোসেন, তানোর: দেশজুড়ে আওয়ামী লীগ সরকারের চলমান উন্নয়ন অব্যাহত রেখে রাজশাহী-১(তানোর-গোদাগাড়ী) উপজেলার গ্রামীণ জনপদের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটিয়েছে এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী। আজ এই দুই উপজেলার প্রত্যান্ত গ্রামের মানুষকে আর কষ্ট করে মেঠোপথ হেঁটে বাজার হাটে যেতে হয়না,হয়না চিকিৎসা সেবার জন্য কষ্ট করে উপজেলা সদর মেডিকেলে। টাকার জন্য বন্ধ হয়না ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়া।

জানা গেছে, বিগত প্রায় ১৩ বছরে এমপি ওমর ওমর ফারুক চৌধূরীর নিরলস প্রচেষ্টায় তানোর-গোদাগাড়ী উপজেলার এ নজরকাড়া উন্নয়ন করা সম্ভব হয়েছে। যা বিগত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের প্রায় ১৫ বছরের উন্নয়নকে ছাড়িয়ে গেছে আওয়ামী লীগ দলীয় সরকারের আমলে। বরেন্দ্র অঞ্চলের অর্ন্তভুক্ত তানোর-গোদাগাড়ীর প্রত্যন্ত দূর্গম পল্লীর মেঠোপথ পাকাকরণ থেকে শুরু করে স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসা সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে নির্মিত হয়েছে আধূনিক ডিজিটাল প্রযুক্তি সম্পূর্ণ দৃষ্টিনন্দন সব নতুন নতুন শহীদ মিনার ও একাডেমিক ভবন।

অথচ বিগত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের প্রায় ১৫ বছরেও এসব উন্নয়ন কাজ হয়নি বলে দাবি স্থানীয়রা। তাদের দাবি, রাজশাহী-১ (তানোর-গোদাগাড়ী) আসনের সংসদ সদস্য ও রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ওমর ফারুক চৌধুরীর রাজনৈতিক দূরদর্শিতা ও দক্ষ নেতৃত্বে এই সংসদীয় এলকায় গত ১৩ বছরে উন্নয়নের দিক থেকে সর্বকালের রেকর্ড ছাড়িয়েছেন তিনি।
কৃষক ও মৎস্যজীবীদের ভাগ্যের চাকা ঘুরেছে সঙ্গে চাঙ্গা হয়েছে গ্রামীণ অর্থনীতির গতি। এছাড়া এই দুই উপজেলায় বিগত যে কোন সময়ের চেয়ে আইন-শৃঙ্খালা পরিস্থিতির তিনগুণ উন্নতি হয়েছে।এমনকি সুষ্ঠু পরিবেশে রয়েছে রাজনৈতিক সহাবস্থান এবং বন্ধ হয়েছে হানাহানি,থানায় দালালী বলে জানান স্থানীয়রা।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তর (এলজিইডি) তানোর ও গোদাগাড়ী অফিসের তথ্য মতে, ১৯৯১ সাল থেকে ১৫ বছর এই আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন বিএনপি নেতা ব্যারিষ্টার আমিনুল হক। পরে তিনি মন্ত্রীও হয়েছিলেন। তার আমলে তানোর উপজেলায় ১৮০ ও গোদাগাড়ী উপজেলায় ২১০ কিলোমিটার পাকা রাস্তা তৈরি হয়েছিল। আর ২০০৮ সালে এই আসনে প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে ততকালীন রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ওমর ফারুক চৌধুরী আওয়ামী লীগ সরকারের শেষ সময়ে শিল্প প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান।

অথচ তার স্বল্প সময়ের মধ্যেই গত ১৩ বছরে তানোর উপজেলায় প্রায় নতুন পাঁকা রাস্তা হয়েছে ১৯৬ কিলোমিটার ও গোদাগাড়ী উপজেলায় হয়েছে ২৪৫কিলোমিটার। এছাড়াও এই দুই উপজেলায় পুরাতন ভেঙ্গে যাওয়া প্রায় ২১৫ কিলোমিটার রাস্তা সংস্কার করা হয়েছে। এছাড়াও প্রায় শত কোটি টাকা ব্যয়ে দুই উপজেলায় ৬২টি স্কুল, কলেজে ও মাদ্রাসার ১থেকে ৪তলা পর্যন্ত আধূনিক ও দৃষ্টিনন্দন একাডেমিক ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। এবং আরো ৪তলা বিশিষ্ট প্রায় ২৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আধূনিক ও দৃষ্টিনন্দন একাডেমিক ভবনের নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে।

এমপি ওমর ফারুক চৌধূরীর সময়ে আধূনিক ও দৃষ্টিনন্দন যে পরিমাণ একাডেমিক ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। বিএনপি নেতা ব্যারিস্টার আমিনুল হকের ১৫ বছরেও এর ১সিকি ভাগও নির্মাণ করা হয়নি বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তাগণ।

শুধুমাত্র এমপি ওমর ফারুক চৌধূরীর প্রচেস্টায় ব্যক্তিগত উদ্যোগে হলেও কৃষি প্রধান তানোরে ৫টি কোল্ডস্টোর ও পোল্টি ফার্ম (ডিম উৎপাদন) ও বিভিন্ন রকমের কৃষিভিত্তিক শিল্প-কল কারখানা গড়ে উঠেছে। স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) তানোর উপজেলার প্রকৌশলী সাইদুর রহমান বলেন, গত ১৩ বছরে তানোর ও গোদাগাড়ী উপজেলার অবকাঠামোসহ বিভিন্ন পর্যায়ের উন্নয়নে কয়েক’শ কোটি টাকা বরাদ্দ এসেছে। যার মাধ্যমে রাস্তা ঘাট নির্মাণ ও সংস্কার এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ভবন নির্মাণসহ উন্নয়ন মুলক কাজ করা হয়েছে। ১৩ বছরের বরাদ্দ আগের যেকোন সময়ের অনেক বেশী বলে জানান তিনি।

তানোর উপজেলা কামারগাঁ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান ফজলে রাব্বি ফরহাদ বলেন, এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী এ আসনে নির্বাচিত হওয়ার পর রাস্তা-ঘাট স্কুল, কলেজের ভবনসহ নানা উন্নয়ন করে চলছেন। তার কাছে যেকোন কাজ নিয়ে আসা সাধারণ মানুষ খুব সহজেই যেতে পারেন কোন প্রতিনিধি ছাড়াই। সে কোন ধরনের দালালি পছন্দ করেন না। সঠিক পথে চলতে নেতাকর্মীদের নির্দেশ প্রদান করে থাকেন।

তানোর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ প্রদীপ সরকার বলেন, ২০০৮ সালে এ আসনে ওমর ফারুক চৌধুরী এমপি হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে তানোর-গোদাগাড়ীর নতুন অধ্যায় শুরু হয়েছে। থানায় কোন মামলা-হাঙ্গামা, দালাল নেই। নেই বড় নেতাদের দৌড় ঝাঁপ। তৃণমূল নেতাকর্মী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ এসব দিক থেকে সুখে-শান্তিতে বসবাস করছে বলে জানান তিনি।

তালন্দ ললিত মোহন ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ শ্রী বিষ্ণুপদ সরকার বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে এ আসনে মন্ত্রী এলাকার থাকলেও কলেজের তেমন কোন ভবন পাইনি। কিন্তু সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরীর চেষ্টায় কলেজের চারতলা বিশিষ্ট আধুনিক ও দৃষ্টিনন্দন একাডেমিক ভবন পেয়েছি যা তানোরবাসির দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা ছিল।

তানোর উপজেলার আদর্শ ও স্বর্ণপদক প্রাপ্ত কৃষক নূর মোহাম্মদ বলেন, এ অঞ্চলের কৃষকেরা কৃষিপণ্য উৎপাদন করে শুধু পাকা রাস্তার জন্য জেলার বাইরে নিয়ে যেতে পারতেন না। যার কারণে পণ্যের নায্য দামও পেতো না। আমাদের চাওয়া ছিল প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের মেঠোপথ পাকা করা এবং কৃষির উন্নয়ন। তবে কৃষকদের উন্নয়নে স্থানীয় এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী আমাদের চাওয়ার চেয়ে বেশি কিছু করেছেন। এখন তাদের উৎপাদিত আলু, ধান, পুকুরে চাষ তাজা মাছ ও কৃষিপণ্য জেলা শহরসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় খুব সহজেই পাঠাতে পারছেন বলে তিনি জানান।

সারোয়ার হোসেন
০৬ সেপ্টেম্বর/২০২২ইং

Leave a Reply

Your email address will not be published.

আজকের দিন-তারিখ
  • শুক্রবার (ভোর ৫:৩৫)
  • ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • ১৯শে রমজান, ১৪৪৫ হিজরি
  • ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ (বসন্তকাল)
পুরানো সংবাদ
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১