মোঃ হোসেন গাজী।।
হাইমচর উপজেলার ২ নং উত্তর আলগী ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ড কমলাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে ছোট ছেলে মনির হোসেন গাজীকে জমি লিখে দিতে বাবা- মা, ভাইকে হুমকি ও বাবার নতুন দোকান নির্মাণে বাধা।
ছেলের এমন কর্মকান্ডের অভিযোগে হাইমচর থানায় মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে পিতা মোঃ মকবুল গাজী।
৯ সেপ্টেম্বর শুক্রবার হাইমচর উপজেলার কমলাপুর গ্রামে মকবুল গাজীর ও তার বড়ো ছেলে আনোয়ার হোসেন গাজীর দোকান নির্মাণে বাধা, ঘরবাড়ি ভাংচুরের ঘটনাটি ঘটেছে।
কমলাপুরের সেখানে গিয়ে দেখা যায়, মকবুল গাজী ও তাঁর স্ত্রী ঘরের দরজা বন্ধ করে ভেতরে বসে রয়েছেন। ছেলে মনির হোসেন গাজী প্রায় ১০/১২ জন ক্যাডার এনে বাড়ির সম্মুখে নতুন দোকান নির্মাণে বাধা, ভয়-ভীতি দেখিয়ে ঘরের জানালা ভাঙচুর করেন।
মকবুল গাজী তিনি বলেন আমার ছোট ছেলে মনির গাজী নতুন দোকান ও ঘরবাড়ি ভাঙচুর করেছে।’ তিনি বলেন, ‘বৃদ্ধ বয়সে আমরা এ ধরনের পরিস্থিতি থেকে নিস্তার চাই। আমার জমিজমা মোট ২০ শতক হেবা দলিলের মাধ্যমে আমার তিন ছেলে ও তিন মেয়ে রয়েছে আমি সবাইকে জমি সমান ভাগে ভাগ করে দিবো। আমার জমি আমি কাকে দেব সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখতিয়ার কেবলই আমার। এটা নিয়ে গ্রামের লোকজনের মাথা ঘামানো কী আছে।?
মকবুল গাজী তিনি আরো কান্না জড়িত কণ্ঠে জানান, দীঘ ১০ বছর ধরেই তার ছোট ছেলে মনির গাজীর সঙ্গে কোনো সম্পক নেই। তার অন্যায় কমকাণ্ডের ঘটনাটি আমি স্থানীয় মেম্বার, চেয়ারম্যান ও এলাকার গণ্যমাণ্য ব্যক্তিদেরকে মৌখিকভাবে অবগত করার পর সে আমার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে ভয়-ভীতি প্রদর্শন করছে।
এব্যাপারে মকবুল গাজীর বড় ছেলে আনোয়ার হোসেন গাজী তিনি এ ঘটনার সত্যাতা নিশ্চিত করে বলেন, মনির গাজী তাদের উপর একাধিকবার হামলা ঘটনা ও ঘটিয়েছে।
বাবা-মাকে নির্যাতন করার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মনির গাজী তিনি দাবি করেন, আব্বা জেনে বুঝে আমাকে জমিজমা থেকে বঞ্চিত করে বড় ভাইকে জমি লিখে দিচ্ছে বলে আমার ধারনা।
ভুক্তভোগী মকবুল গাজী তিনি প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।