পৌরসভার অতীত ও নব আলোকিত পৌরসভা চাঁদপুর

 

মাহাবুবুর রহমান সেলিমঃ

পৌরসভা হচ্ছে জাতীয় আঞ্চলিক আইন দ্বারা অনুমোদিত একটি একক প্রশাসনিক বিভাগ। যা জাতীয় ও আঞ্চলিক আইন দ্বারা অধীনস্থ হিসেবে অনুমোদিত ও বিবেচিত। পৌরসভা ল্যেটিন থেকে উদ্ভূত “municipium” (মিউনিসিপিয়াম )শব্দ যার অর্থ হচ্ছে “দায়িত্ব হোল্ডার” ইংরেজিতে “Municipal”।
এটি শহর আঞ্চলিক স্বায়ত্ত শাসন ব্যবস্থার একটি পরিপূর্ণ ও গুরুত্বপূর্ণ একক বা অংশ বিশেষ।
এই উপমহাদেশে সর্বপ্রথম ১৮৪২ সালে পৌর প্রতিষ্ঠান গঠন আইন পাস হয় এবং ১৯৩২ সালে অবিভক্ত বাংলায় প্রচলিত হয় বঙ্গীয় পৌরসভা আইন বেঙ্গল মিউনিসিপ্যাল এ্যক্ট। ঢাকা পৌরসভা গঠিত হয় ১৮৬৪ সালে এবং স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশ পৌরসভা অধ্যাদেশ জারি হয় ১৯৭৭ সালে। বর্তমান সময়ে ২০০৯ সাল অনুসারে প্রদত্ত স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) আইন দ্বারা বাংলাদেশের পৌরসভা গুলি পরিচালিত ও প্রতিষ্ঠিত। বাংলাদেশে মোট পৌরসভার সংখ্যা হচ্ছে ৩২৮ টি যা শহর অঞ্চলীয় সাহিত্য শাসন ব্যবস্থার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ বিশেষ বা ইউনিট। এতে একজন মেয়র সহ নির্দিষ্ট সংখ্যক ওয়ার্ড কমিশনার নিয়ে গঠিত হয় পৌরসভা। পৌরসভার সর্বোচ্চ দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নগর পিতা বা নগরপতি বলা হয় তিনিই মেয়র। একটি পূর্ণাঙ্গ পৌরসভায় আঠারটি ওয়ার্ড থাকে। প্রতি ওয়ার্ড থেকে একজন কাউন্সিলর এবং প্রতি তিনটি ওয়ার্ড থেকে সংরক্ষিত আসনে একজন মহিলা কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়ে থাকে। এভাবেই পৌরসভার মোট সদস্য সংখ্যা একজন নির্বাচিত মেয়র সহ ১৮ জন, কাউন্সিলর এবং ৬ জন মহিলা কাউন্সিলর সহ মোট ২৫ জন সদস্য। এছাড়া প্রত্যেক পৌরসভায় থাকেন একজন নির্বাহী কর্মকর্তা যিনি পৌরসভার কাজের সমন্বয় ও সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য নিয়োজিত থাকেন। আরেকটি বিষয় পৌরসভার মেয়র এর অনুপস্থিতিতে পৌরসভার কার্যক্রম চালিয়ে রাখার জন্য কাউন্সিলিগনের মধ্য থেকে তিনজন প্যানেল মেয়র নির্ধারণ করা হয়।
পৌরসভা একটি নাগরিক সংস্থা। পৌর পর্যায়ে আদর্শিক ক্ষমতা যা স্থানীয়ভাবে পৌরসভা সংক্রান্ত সরকারি আদেশ, সার্কুলার এবং প্রশাসনিক বিধান মোতাবেক শহর উন্নয়ন, পরিকল্পনা ও প্রণয়ন করা। এখানে থাকে গণতান্ত্রিকভাবে ভোটের মাধ্যমে একজন নির্বাচিত মেয়র সহ কাউন্সিলর গন,
অর্থাৎ নির্বাচিত গভর্নিং বডি। যাদের রয়েছে জনগণের উপর ট্যাক্স আদায় করার ক্ষমতা এবং এলাকার উন্নয়নে তা ব্যয় করা। সকল উন্নয়নমূলক ও নান্দনিক পরিকল্পনা প্রস্তুত অনুমোদন, সংশোধন প্রচার ও তা কার্যকরী করা। পৌরসভা হল একটি স্থানীয় প্রশাসনিক সত্তা যা একটি একক এলাকা বা একাধিককে গোষ্ঠীভুক্ত করে জন ঐক্য গড়ে তুলতে সক্ষম। যা মানুষের জন্য অতি কল্যাণকর ও উন্নয়নের চাবিকাঠি। পৌরসভা মূলত ইউনিয়ন পরিষদের মত শিক্ষা, জনস্বাস্থ্য, সামাজিক উন্নয়ন, জনকল্যাণ এবং পারিবারিক সমস্যা সহ নানা ধরনের বিচার কার্য সম্পাদন করে থাকেন। এছাড়া বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ এবং পানি নিষ্কাশন সহ অস্বাস্থ্যকর ও নানা ভেজাল যুক্ত খাদ্য নিয়ন্ত্রণ। সড়ক নির্মাণ, রক্ষণাবেক্ষণ এবং যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ রাখা। এবং পার্ক ও উদ্যান প্রতিষ্ঠার লক্ষে উন্মুক্ত প্রাঙ্গণ সহ জলাশয় সংরক্ষণ এবং পর্যবেক্ষণ।
চাঁদপুর পৌরসভা
চাঁদপুর সদর উপজেলার মধ্যাংশে চাঁদপুর পৌরসভার অবস্থান। ১৮৯৬ সালে চাঁদপুর পৌরসভা প্রতিষ্ঠা লাভ করে। ঐতিহাসিকভাবে চাঁদপুর পৌরসভার খ্যাতি পৃথিবীব্যাপী। চাঁদপুর কে প্রাচ্যের ডান্ডি বলা হত। এটি বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম নদী বন্দর। অন্যদিকে ইলিশের রাজধানী খ্যাত এই শহর যা মানুষের মধ্যে বিশেষ স্থান জুড়ে আছে। বর্তমানে “ইলিশের বাড়ি চাঁদপুর” প্রথম ব্র্যান্ডিং জেলা হিসেবে সুনাম অর্জন করেছে সর্বত্র। পর্যটক সম্ভাবনাময় স্থান হিসেবে বড় স্টেশন “মোলহেড”। ভৌগলিক বিশ্লেষণে পদ্মা, মেঘনা ও ডাকাতিয়ার সঙ্গম স্থলে চাঁদপুর পৌরসভা। ডাকাতিয়া নদীর দুপাশে পৌরসভা বিভক্ত দুটি খন্ডে নতুন বাজার ও পুরান বাজার। মোট আয়তন ২৫.৬১ বর্গ কিলোমিটার (৯.৮৯ বর্গমাইল)। ঐতিহাসিকদের মতে ব্রিটিশ শাসনকালে মেজর জেমস রেনোল নামে একজন ইংরেজ জরিপকারী পূর্ববঙ্গের মানচিত্র অংকন করেছিলেন তাতে চাঁদপুর নামের একটি জনপদ উল্লেখ ছিল। রেনোলের মানচিত্রে আরো ছিল ১৭৭৯ সালে ত্রিপুরা জেলার নরসিংহপুরস্ত চাঁদপুরের অবস্থান। ১৯৬০ সাল পর্যন্ত চাঁদপুর ত্রিপুরা বিভাগের অধীনস্থ ছিল। ১৯৮৪ সালে জেলা হিসেবে আত্মপ্রকাশ লাভ করে। চাঁদপুর নিয়ে অনেক জল্পনা কল্পনা তাই অনেকের মতে ভাঙ্গনের মুখে বিপন্ন, তবু হৃদয়ে আশার সুর, এই সেই চাঁদপুর। চাঁদপুরের নামকরণ নিয়ে নানা মতভেদ ছিল ঐতিহাসিকদের মধ্যে। বাংলার বারো ভূঁইয়াদের আমলে চাঁদপুর অঞ্চল ছিল বিক্রমপুরের জমিদার চাঁদ রায়ের দখলে। তার শাসন কেন্দ্র ছিল এই অঞ্চলে। অন্যদিকে ঐতিহাসিক জেএম সেনগুপ্তের মতে চাঁদ রায়ের নাম অনুসারে এই অঞ্চলের নাম চাঁদপুর। আরেকটি মতে চাঁদপুর শহর  সংলগ্ন কুড়ালিয়া গ্রামে এক ফকির বাস করতেন, সম্ভবত এই চাঁদ ফকিরের নাম অনুসারে এই অঞ্চলের নামকরণ হয় চাঁদপুর।
চাঁদপুর পৌরসভায় রয়েছে ১৫ টি ওয়ার্ড জাতীয় সংসদের ২৬২ নং নির্বাচনী এলাকা চাঁদপুর ৩ এর অংশ। চাঁদপুর পৌরসভায় চারটি কলেজ, ১৭ টি স্কুল এন্ড কলেজ, ১৭ টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং ৪৬ টি প্রাথমিক বিদ্যালয় এর মধ্যে পৌরসভার পরিচালনাধীন নিজস্ব বিদ্যালয় রয়েছে তিনটির মত। চাঁদপুর পৌরসভা নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা এক লাখ ১৬ হাজার ৪৮৭ জন।। তার মধ্যে পুরুষ ভোটার ৫৮ হাজার১৪৪ জন এবং মহিলা ভোটার ৫৮ হাজার ৩৪৩ জন। স্বাক্ষরতার হার ৬৭.৪ শতাংশ, যা ২০২১ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী। রমণী মোহন রায় ছিলেন প্রথম নির্বাচিত পৌর চেয়ারম্যান, ১৯২০ সালের ৪ঠা জুন থেকে ১৯২৬ সালের ২৩ শে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।
বর্তমান মেয়র হচ্ছেন জিল্লুর রহমান জুয়েল। যিনি নির্বাচিত হয়েছেন নান্দনিক চাঁদপুর গরার আলোকিত প্রত্যয় নিয়ে ও নাগরিক সেবা প্রদানে অঙ্গীকারবদ্ধ বুদ্ধিমত্তা ও সততার সাথে। দারুন ভাবে সৃজনশীল কর্মকাণ্ড, সুস্থতা ও আস্থাভাজন যা নগরবাসীর জন্য কল্যাণকর ও সুখকর। আকাশছোঁয়ার নান্দনিক সুখ জীবন চলার পথে সর্বদাই তার একটা কোমল অনুভূতি, কিছু করার জন্য মানুষের কল্যাণে। সেই সাথে নিজেকে সম্পূর্ণ দুর্নীতিমুক্ত রেখে নৈতিক মূল্যবোধ, দেশপ্রেম, সামাজিক দায়িত্ববোধ এবং একজন দক্ষ সুনাগরিক হিসেবে পৌরসভার সকল কর্মকান্ড পরিচালনা করে যাচ্ছেন। এবং পৌরসভা কে উঁচু করে দাঁড়াবার অভিপ্রায়ে স্বকীয় সৃজনশীল প্রতিভার মাধ্যমে পৌরসভাকে সুন্দর আত্মনির্ভরশীল অবস্থানে এগিয়ে নেওয়ার প্রত্যয়ে কাজ করে যাচ্ছেন প্রতিনিয়ত। বর্তমান মেয়রের অসাধারণ কৃতিত্ব ১২৪ বছরের পুরনো গ্যাজেট উদ্ধার, এটা একটা বিশাল সাফল্য। আসাম বেঙ্গল গেটওয়ে খ্যাত নিকোষ আঁধার থেকে এই শহরটির পৌরসভা হিসেবে স্বীকৃতি এক অভূতপূর্ব। এই সাফল্য সময়োচিত নিঃসন্দেহে ঐতিহাসিক উদ্দীপনা মূলক। পৌরসভার নতুন কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে পৌরসভার ডিজিটাল সনদের নতুন দিগন্ত, পৌরসভা সেবা বাতায়ন। সরকারের “ডিজিটাল বাংলাদেশ” বিনির্মাণের সূত্র ধরে নাগরিক সেবা সমূহ জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে তৈরি হয় পৌরসভা সফটওয়্যার যা আমাদের দেশে এই প্রথম পদক্ষেপ, এতে বিশ্বের যে কোন প্রান্ত থেকে ঘরে বসে সেবা নিতে পারবে পৌরবাসী। এটা আমাদের জন্য একটা বিশাল প্রাপ্তি। শত বছর পেরিয়ে ১২৫ বছরে পদার্পণ করতে যাচ্ছে চাঁদপুর পৌরসভা। এরই মধ্যে কত রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, লেখক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও নানা গুণীজনের জন্ম ও মৃত্যু হয়েছে। চাঁদপুর পৌরসভার একটি অন্যতম সেবামূলক প্রতিষ্ঠান পুরান বাজারস্থ দাতব্য চিকিৎসালয়।  ১৯২০ সালে তৎকালীন পৌর চেয়ারম্যান ও স্থানীয় বণিক সমিতির পৃষ্ঠপোষকতার এটি স্থাপিত হয়। এই দাতব্য চিকিৎসালয়ে চিকিৎসক হিসেবে  ছিলেন চাঁদপুরের প্রথম মুসলিম পৌর মিউনিসিপাল, ডাক্তার মিনাজ উদ্দিন খান। এই দাতব্য চিকিৎসালয় টি আজও দাঁড়িয়ে আছে কালের সাক্ষী হিসেবে। যদিও তার চারপাশ মেঘনার করার গ্রাসে তলিয়ে গেছে। চাঁদপুরের সুধীজনের আকূল আবেদন এই প্রতিষ্ঠানটি অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে, ডঃ মিনাজ উদ্দিন খান সাহেবের নামে নতুন ভাবে তৈরি করা হোক। সম্ভ্রান্ত পরিবারের এই স্বনামধন্য মহতী মানুষটি ডাক্তার হিসেবে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত পৌরবাসীর সেবা করে গেছেন যা আজও মানুষের মনে স্মরণীয় হয়ে আছে। এই কাঙ্ক্ষিত স্বপ্নটির সাথে একাত্মতা গোটা পৌরবাসীর। করোনা কালীন সময়ে মানুষের পাশে ছিল মেয়র জিল্লুর রহমান জুয়েলের কিউআরসি। করোনা ভাইরাসের কারণে গোটা বিশ্বসহ সারা দেশ যখন গভীরভাবে আক্রান্ত তখন চাঁদপুর জেলাও ছিল লকডাউনের আওতায়। মানুষ তখন স্বাভাবিক জীবন যাপনে প্রচন্ড বাধা প্রাপ্ত। তখন চাঁদপুরের সারা জাগানো স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন কুইক রেসপন্স ডিউরিং ক্রাইসিস (কিউআরসি) যার অতুলনীয় ভূমিকা মানুষ আজও মনে রেখেছে। কর্মহীন হয়ে পড়া  নিম্ন মধ্যবিত্ত অসহায় মানুষগুলি যখন ঘরে বসে কাতরাচ্ছে খাদ্য ও ওষুধের অভাবে তখন বিনা পারিশ্রমিকে বাজার, ঔষধ ও জরুরী পরিবহনসহ নানাবিদ সেবা প্রধান ছিল এই সংগঠনটির মূল উদ্দেশ্য। ৫০ জন স্বেচ্ছাসেবী নিয়ে গঠিত এবং ১০ জন চিকিৎসকের সমন্বয়ে টেলিফোনের মাধ্যমে হাজারো অধিক মানুষকে চিকিৎসা সেবা দিয়েছেন। ২ শতাধিক রোগীকে হাসপাতালে পৌঁছে দেওয়া এবং ৮ হাজারও বেশি পরিবারকে খাদ্য সহায়তা সহ ২৪ ঘন্টা সেবা। তাদের হটলাইনগুলো ছিল সদা সচল। এমনকি রোগী মারা গেলে জানাজা ও দাফনের ব্যবস্থা, হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কেউ মারা গেলে তার সৎকার করা। মশার উপদ্রব থেকে রক্ষার জন্য নিজেদের উদ্যোগে মেশিনে ওষুধ ছিটানো ইত্যাদি সব জনহিতকর কর্মকাণ্ডে  নিয়োজিত ছিল  কিউআরসি। সার্বক্ষণিক সক্রিয় থাকা এই মহতী সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা হচ্ছেন চাঁদপুর পৌরসভার বহুল আলোচিত সুযোগ্য মেয়র, জনাব জিল্লুর রহমান।  চাঁদপুর পৌরসভায় অনেক নতুন কার্যক্রম প্রথম থেকেই শুদ্ধভাবে চালু হয়েছে। এজন্য বর্তমান মেয়র জিল্লুর রহমান জুয়েল অনেক ধন্যবাদও প্রশংসার দাবিদার। পৌরসভার অপচয় কমানো এবং আয় বৃদ্ধি এবং নান্দনিক পর্যটন কেন্দ্র গড়ার চেষ্টা। কোন সার্ভিস চার্জ ছাড়া পরিচ্ছন্ন কর্মীরা ব্যাংকের মাধ্যমে বেতন গ্রহণ করছে, যার ফলে বিভিন্ন অনিয়ম থেকে মুক্ত হল এই পরিশ্রম কর্মীরা। শহরের স্বর্ণ খোলায় বহুতল ভবন করে সকলের জন্য একটি করে ফ্ল্যাট দেওয়ার অঙ্গীকার, ইতিমধ্যে এর কাজ শুরু হয়ে গেছে। তিন মাসের মধ্যেই একটি আধুনিক কনফারেন্স রুম তৈরি করা হয়েছে। ১২৫ বছরের ঐতিহ্যবাহী চাঁদপুর পৌরসভায় যা ছিল না। এখন থেকে পৌরসভার নাগরিক সেবা পেতে কাউকে অফিসের রুমে রুমে যেতে হবে না। এই তথ্যপ্রযুক্তির যুগে চিন্তা ধারার পরিশুদ্ধ পরিবর্তন অনেকটাই মানুষের উন্নয়ন।
শত বছর পেরিয়ে ১২৫ বছরের পদার্পণ করতে যাচ্ছে চাঁদপুর পৌরসভা তারই আলোকে নানাহ প্রস্তুতি। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে বিভিন্ন ওয়ার্ডের ২৫৬ জন নারী পাবে ব্যবসা সহায়তা অর্থ প্রদান। এছাড়া সেলাই মেশিন, প্রশিক্ষণ সার্টিফিকেট সহ নানাবিধ উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে।
শিল্পকলায় হতে যাচ্ছে ১৫ দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠান।
আনন্দে আপ্লুত পৌরবাসীর মন ও প্রাণ। বৈচিত্রের ছোঁয়া পথে ঘাটে অফুরন্ত উল্লাস। মানুষের হৃদয়ে শান্ত, স্নিগ্ধ ও নান্দনিক ছোঁয়া। সাজবে আজ পৌরসভা, নতুন সাজে সজ্জিত হয়ে নতুন আশার আলোয়।
আলোকিত চাঁদপুর।
একশ পঁচিশ বছর উচ্ছ্বাসে ভরপুর
ইলিশের চত্বরে পৌরসভা চাঁদপুর।
ডাকাতিয়ার বালুচরে অপরূপ কাশ বনে
নান্দিকতার ক্যানভাসে মুক্ত বিহঙ্গনে।

রূপালী চাঁদের আলোয় হাজারো তারার আলপনা
ঐক্যের ঝংকারে জীবন ছোঁয়ায় রঙ্গিন উদ্দীপনা।
স্বপ্নেরা আশা বুনে প্রতিটি প্রহর গুনে জীবন হল সুমধুর
তোমার আমার প্রাণের শহর পৌরসভা চাঁদপুর।

গভীর প্রত্যয় আর উল্লাসে সারা দিগন্ত জুড়ে
জীবন চলার পথে বিশুদ্ধতার দীপ্ত শপথ নিয়ে
চলো এগিয়ে যাই এগিয়ে যাই সুন্দর আগামী পথে
গরবো মোরা এ দেশটাকে আলোর দিশারী হয়ে।

 

লেখকঃ

মাহাবুবুর রহমান সেলিম
সভাপতি “শিল্পচূড়া” সাহিত্য, সংস্কৃতিক ও সামাজিক সংগঠন।
সভাপতি “জয়ধ্বনি” সংগীত, সাহিত্য, সংস্কৃতিক ও সামাজিক সংগঠন চাঁদপুর জেলা।
সভাপতি “মাদকমুক্ত চাঁদপুর গরি” চাঁদপুর জেলা‌। প্রধান নির্বাহী সম্পাদক “দৈনিক একাত্তর কন্ঠ”।

Leave a Reply

Your email address will not be published.

আজকের দিন-তারিখ
  • শনিবার (দুপুর ১২:২২)
  • ৫ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • ২রা রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
  • ২০শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ (শরৎকাল)
পুরানো সংবাদ
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০৩১