অন্তর আহমেদ নওগাঁ জেলা প্রতিনিধিঃ নওগাঁ সদর উপজেলায় বলিহার ইউনিয়নের মনোহরপুর গ্রামে স্বামী একরামুল ইসলামের (২৬) বাড়িতে স্ত্রীর মর্যাদার দাবিতে স্বামীর বাড়িতে অনশন করছেন আশা বেগম (২৪) নামে এক গৃহবধূ।
ভুক্তভোগী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মহাদেবপুর উপজেলার ফাজিলপুর গ্রামের আব্দুর রহিম (কুদ্দুস) এর মেয়ে আশা বেগম ও সদর উপজেলার বলিহার ইউনিয়নের মনোহারপুর গ্রামের ইউনুস আলী ছেলে একরামুল ইসলাম ঢাকাতে চাকুরী করতেন।
প্রায় ১ বছর আগে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এবং এক সাথে বসবাস শুরু করে। পরে গত ২৬ জুলাই ঢাকা জামগড়া ইয়ারপুর ইউনিয়ন কাজী অফিসে ৫ লাখ টাকা দেনমোহর ধার্য করে বিয়ে করেন (রেজি: নং ০০৬)। গত ২২ সেপ্টেম্বর আশাকে রেখে বাসা থেকে চলে আসেন এবং যোগাযোগ বন্ধ করে দেন একরামুল। বাধ্য হয়ে আশাও আসেন স্বামীর বাড়িতে। আশার উপস্থিতি টের পেয়ে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায় একরামুল।আর তার পরিবারের লোকজন তাকে অস্বীকার করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। স্ত্রীর মর্যাদার দাবিতে স্বামীর বাড়িতে অনশনের সিদ্ধান্ত নেন আশা।
আশা বেগম বলেন,বিয়ের করে স্বামী-স্ত্রী মিলে ঢাকায় একটি বাসা ভাড়া নিয়ে সংসার করেছি। এখন আমার সাথে আমার স্বামী যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছে। আর তার পরিবারও আমাকে অস্বীকার করছে। তাই আমি একরামুলের বাড়িতে অবস্থান নিয়েছি। যতক্ষন পর্যন্ত স্ত্রীর মর্যাদা না পাবো এ বাড়িতেই অনশন চালিয়ে যাব।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে একরামুলের মা বলেন, আমার ছেলে বিয়ে করেছে কিনা তা আমার জানা নেই। এই মেয়েকে আমি বাড়ি তুলবোনা। আমার ছেলে বিয়ে করলেও বাড়িতে দুজনকেই তুলবোনা। বলিহার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মাসরেফুর রায়হান মাহিন বলেন, তাদের বিয়ের সত্যতা পাওয়া গেছে। কাজীর সাথে কথা হয়েছে তিনিও বিয়ে পড়ানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ওই ছেলের পরিবারে মেয়েটিকে তুলে দেয়ার চেষ্টা চলছে।
অন্তর আহমেদ
নওগাঁ
25-09-22