শাহাদাত হোসেন, রাউজান প্রতিনিধি:
সর্তা খালের ভাঙ্গনে রাউজান অংশে ফসলী জমি বিলিন হয়ে যাচ্ছে।ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কয়েক’শ পরিবারের কৃষকরা।রাউজান অংশে ভাঙ্গে ফটিকছড়ি সীমনায় জেগে উঠছে বিশাল চর।এসব জেগে উঠা চর দখলে নিয়ে ফটিকছড়ি এলাকায় প্রভাবশালীরা অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন অব্যহত রেখেছে। ভাঙ্গ রোধে রাউজান অংশে বালু উত্তোলন বন্ধ করেছে উপজেলা প্রশাসন।ফটিকছড়ি অংশে বালু উত্তোলনের মহোৎসব চলায় রাউজান অংশে ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে।সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,ফটিকছড়ি অংশে কোন প্রকার ইজারা ছাড়া সর্তা খালে পাওয়ার পাম্প বসিয়ে বালু উত্তোলন করছে বালু খেকোরা। যার ফলে প্রতিনিয়ত সর্তার খালের ভাঙ্গন বৃদ্ধি পেয়ে এলাকার মানুষের বসতঘর ফসলী জমি খালে বিলিন হয়ে যাচ্ছে। তবুও বালু খেকোরা বালু উত্তোলন বন্ধ করেনি। রাউজান উপজেলার ১নং হলদিয়া ইউনিয়নের হচ্ছার ঘাট, দক্ষিণ খিরাম,বড়ুয়া পাড়া,বইজ্যার হাট, উত্তর সর্তা এলাকায় সর্তা খালের মধ্যে এক সময়ে পাওয়ার পাম্প বসিয়ে বালু উত্তোলন করতো রাউজানের কিছু দুর্বৃত্তরা। সর্তা খালের ভাঙ্গন বৃদ্ধি পাওয়ায় রাউজানের সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী নির্দেশনায় উপজেলা প্রশাসন খাল থেকে রাউজান অংশে বালু উত্তোলন বন্ধ করে দেয়। এর পর থেকে প্রশাসন বালু মহল ইজারা বন্ধ রাখে। কিন্তু সর্তা খালের ফটিকছড়ি অংশের খিরাম, ধর্মপুর ইউনিয়নের আধার মানিক, সমিতির হাট এলাকায় সর্তা খালে পাওয়ার পাম্প বসিয়ে উত্তোলন করা হচ্ছে বালু। পরিদর্শন কালে আরো দেখা যায়, সর্তা খালের ভাঙ্গনে হচ্ছার ঘাট এলাকার বিপুল পরিমান ফসলী জমি সর্তার খালে বিলিন হয়ে গেছে। অন্যদিকে ফটিকছড়ি উপজেলার খিরাম অংশে জেগে উঠেছে বিশাল চর। রাউজানের হলদিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা শফিকুল ইসলাম বলেন, সর্তার খালের রাউজান হলদিয়া ইউনিয়ন অংশে বালু উত্তোলন করা বন্ধ রয়েছে। ফটিকছড়ি উপজেলা খিরাম, ধর্মপুর ইউনিয়নের আধার মানিক, সমিতির হাট এলাকায় সর্তার খাল থেকে পাওয়ার পাম্প বসিয়ে চলছে বালু উত্তোলন। সর্তার খালের ফটিকছড়ি অংশে বালু উত্তোলন করায় রাউজানের হলদিয়া ইউনিয়নের হচ্ছার ঘাট এলাকায় ৫০ একরের বেশী ফসলী জমি খালে বিলিন হয়ে ফটিকছড়ি অংশে বিশাল চর জেগে উঠেছে। জেগে উঠা চর দখল করছে ফটিকছড়ি এলাকার প্রভাবশালী ব্যক্তিরা। তিনি আরো বলেন, সম্প্রতি রাউজান উপজেলা সহকারী কমিশনার ভুমি রিদয়ানুল ইসলাম, ফটিকছড়ি উপজেলা সহকারী কমিশনার ভুমি পুলিশের সহায়তায় অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এসময় সর্তার খালের ফটিকছড়ি অংশে পাওয়ার পাম্প বসিয়ে বালু উত্তোলন কালে পাওয়ার পাম্প জব্দ করা হয়। অভিযানের পর পর আবারো সর্তার খালের ফটিকছড়ি অংশে কয়েকটি স্থানে পাওয়ার পাম্প বসিয়ে বালু উত্তোলন করছে বালুখেকো প্রভাবশালী ব্যক্তিরা। তিনি রাউজান ফটিকছড়ি সীমনায় সর্তা খালে ফটিকছড়ি অংশে আবারো পাওয়ার পাম্প বসিয়ে সর্তার খাল থেকে বালু উত্তোলনের বিষয়টি রাউজান উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবদুস সামাদ শিকদারকে অবহিত করেছে বলে জানান।