মোঃ রাজিবুল ইসলাম বাবু স্টাফ রিপোর্টারঃ-
নাটোরে ভুয়া বিল ভাউচার তৈরি করে সরকারি বরাদ্দের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে এক প্রধান শিক্ষকের বিরম্নদ্ধে।
নাটোর জেলার সদর উপজেলার কাফুরিয়া ইউনিয়নের পাইকপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল আউয়ালের বিরুদ্ধে।
সম্প্রতি এলাকাবাসীর অভিযোগের ভিত্তিতে সরেজমিনে ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গেলে গনমাধ্যমকর্মীরা প্রধান শিক্ষকের ভুয়া বিল ভাউচারে অর্থ আত্মসাতের বিষয়টির সত্যতা খুঁজে পান।
এ সময় প্রধান শিক্ষকের কাছ থেকে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামের ক্রয় বিক্রয়ের রশিদ সংগ্রহ করে সেই সকল প্রতিষ্ঠানে ফোন দিতে থাকলে প্রধান শিক্ষক আব্দুল আউয়াল বলেন, এগুলো ভুয়া বিল ভাউচার।
এগুলো কিভাবে তৈরি করেছেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার অফিসের এস ও কে দুই হাজার টাকা ঘুষ দিয়ে করিয়ে নিয়েছেন বলে জানান। অর্থ আত্মসাতের কথা স্বীকার করে প্রধান শিক্ষক আব্দুল আউয়াল বলেন, আমি তো আপনাদের কাছে সবকিছু সত্য কথাই বলে দিলাম। আমরা কয় টাকা বেতন পাই। আপনাদের আত্মীয়স্বজন চাকরি করলে খোঁজ নিয়ে দেখেন। খুবই সামান্য বরাদ্দ আসে। আর সবাই এভাবেই কাজ করে। প্লিজ কোনো নিউজ করে মান সম্মান নষ্ট করেন না। বলে গনমাধ্যমকর্মী কে টাকা দিয়ে তার অপরাধ ঢাকার চেষ্টা করেন ওই প্রধান শিক্ষক।
এদিকে ভূয়া বিল ভাউচারে ওই বিদ্যালের মেরামত কজের রাজমিস্ত্রি মোঃ ইব্রাহিম আলী নামে ৬০,৫০০/- টাকা বিল ভাউচার করেছেন প্রধান শিক্ষক। সরজমিনে সেই রাজমিস্ত্রীর কাছে এই বিষয়ে জানতে চাইলে সে বলে আমি পাইকপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কোন কাজ করিনি, কাজ করেছে মানিক মিস্তিরি। মুঠোফোনে মানিক মিস্তিরি বলেন ওই বিদ্যালয়ের কাজ আমি করেছি, আমার কাজের বিল দিয়েছে ১০,৭০০/-টাকা, ৩২ বস্তা সিমেন্ট লেগেছে ওই পাইকপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তিনি বিল করেছে ৮০ বস্তার।
এ বিষয়ে পাইকপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মাহবুব উল আলম বলেন, ২০২১-২২ অর্থ বছরে ৪ লাখ ১০ হাজার টাকা সরকারি বরাদ্দ আসে। আমি প্রধান শিক্ষক কে বিশ্বাস করে সঠিকভাবে কাজগুলো করতে বলি। কিন্তু উনি ভুয়া বিল ভাউচার তৈরি করে নামমাত্র কাজ করে পুরো টাকা উত্তোলন করেছেন।
এই বিষয়ে নাটোর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ গোলাম নবী বলেন,পাইক পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল আওয়ালের বিরুদ্ধে আমরা অভিযোগ পেয়েছি বিষয়টি সঠিক তদন্ত করে সত্যতা পেলে ওই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিঃদ্রঃ- ভিডিও ফুটেজ ও ফোন রের্কড সংগৃহীত