।
মেহেদী হাসান,ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ
দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে ভূমি নিয়ে দ্বন্দে পাল্টা-পাল্টি সংবাদ সম্মেলন করেছেন দুই পক্ষ। ফুলবাড়ী পৌর শহরের গৌরিপাড়া মৌজায় ২৪৯ দাগে পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত ৬৭ শতাংশ জমি ভাগাভাগী নিয়ে দ্বন্দে গত ২৩ অক্টোবর একটি সংবাদ সম্মেলন করেন প্রতিপক্ষ মোহাম্মদ আলী কাদের নেওয়াজ।
এরই প্রতিবাদে ওই সংবাদ সম্মেলনটিতে মিথ্য ও ভিত্তিহীন তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে এমন দাবী করে বুধবার (২৬ অক্টোবর) সকাল ১১টায় টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিএম ইন্সটিটিউটের অধ্যক্ষ মো. আবু তৈয়ব ছালাহ উদ্দিন একটি সংবাদ সম্মেলন করেন।
এসময় লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ফুলবাড়ী পৌর শহরের গৌরিপাড়া মৌজায় ২৪৯ দাগে ৬৭ শতাংশ জমির মধ্যে পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত ৩৫ শতাংশ জমিতে ২০০১ সালে ফুলবাড়ী টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিএম ইন্সটিটিউট প্রতিষ্ঠা করা হয়। পরবতীর্তে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নামে আবাসিক ভবন সম্প্রসারণ কাজের জন্য ৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা বরাদ্দ সাপেক্ষে চার তলা ভবনের শ্রেণী কক্ষ নির্মাণের অনুমোদন প্রাপ্ত হলে ভবন নির্মাণে প্রতিপক্ষরা বাঁধা প্রদান করছে।
প্রতিষ্ঠানের জমির দিক নির্ণয় নিয়ে পারিবারিক দ্বন্দ চলে আসছিল যা সমঝোতাও হয়েছে এবং পশ্চিম দিকে প্রতিপক্ষের অংশ আর পূর্বদিকে ওই প্রতিষ্ঠানের অংশ। এরপরেও প্রতিপক্ষরা সমঝোতা না মেনে প্রতিষ্ঠানের জায়গাকে নিজেদের জমি দাবি করে ভবন নির্মাণের বাঁধাসহ হুমকী প্রদান করে। এরপর ওই কতিপয় দুস্কৃতিকারী কুচক্রিমহল মিথ্য ও ভিত্তিহিন তথ্য পরিবেশন করে সংবাদ সম্মেলন করেছে। যা মোটেও সত্যি নয়। আমরা এই প্রতিষ্ঠান বিদ্বেষি চক্রান্তকারীদের শাস্তির দাবিসহ তিব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক বিপ্লব কুমার দাস, মো. মাহামুদুল হাসান, সোহরাব হোসেন,তারিকুল ইসলাম চৌধুরী প্রমুখ।
বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে প্রতিপক্ষ মোহাম্মদ আলী কাদের নেওয়াজ জানান, তার বাবা মরহুম দারাজ উদ্দিন মন্ডল তাদের দুই ভাইয়ের নামে ওই জমিটি সমান ভাবে দিক নির্ণয় করে বন্টন করে দেন। পরবর্তীতে তার ভাই মোজাফ্ফর হোসেনের ছেলে ওই প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ মো. আবু তৈয়ব ছালাহ উদ্দিন বন্টক নামা অনুযায়ী দিক নির্ণয় না মেনে গায়ের জোরে প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করছে। বিষয়টি নিয়ে আদালত থেকে আমরা রায় পেলেও তারা তা মানছে না।